Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
New Appointment Rules

দীর্ঘ ছয় বছর ধরে থমকে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ

২০১৭ সালে শেষ বার প্রধানশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পর প্রায় ছয় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে শূন্য আসনের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:২৬
Share: Save:

প্রধানশিক্ষকের নিয়োগ বিধি দেড় বছর ধরে থমকে সরকারের ঘরে। ২০২২ সালের মে মাসে প্রধানশিক্ষক নিয়োগের নতুন নিয়ম তৈরি করে সরকারকে পাঠিয়ে দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পরে একাধিকবার একাধিক বিষয় সংশোধন করার পরেও থমকে আছে নিয়োগ বিধি। সেই বিধি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেই বিল আকারে বিধানসভায় পাশ করা হবে।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “আমরা অপেক্ষায় রয়েছি, ক্যাবিনেটে পাশ হয়ে গেলে শূন্য পদের সম্পূর্ণ তালিকা নিয়ে আমরা দ্রুত নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করব।”

২০১৭ সালে শেষ বার প্রধানশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা গ্রহণ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পর প্রায় ছয় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই পদে শূন্য আসনের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের মতন। গত বছর মে মাসে নিয়োগের নতুন বিধি তৈরি করে তা সরকারের কাছে পাঠিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানে ওএমআর শিট সংরক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তিন বছর উল্লেখ করা হয়েছিল সংরক্ষণের জন্য। পরবর্তীকালে অর্থ দফতরের তরফ থেকে তা পরিবর্তনের কথা জানানো হয় এসএসসি-কে। তিন নয় ১০ বছরের সংরক্ষণের কথা বলা হয় অর্থ দফতরের তরফ থেকে।

সরকারের এই নয়া সংরক্ষণ নীতিকে স্বাগত জানায় এসএসসি। তার পর একাধিক বার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দফতরে থমকে যায় সেই ফাইল। মন্ত্রিসভার অনুমোদন না মেলায় বিধানসভাতেও সেই বিল আনা যায়নি।

প্রধানশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এত দিন কোনও সংরক্ষিত আসন ছিল না, কিন্তু নয়া বিধিতে ৪৮ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর ৫২ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বাইরে রাখা হয়েছে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য ৩ শতাংশ, তফসিলি জাতি- ২২ শতাংশ, ওবিসি এ- ১০ শতাংশ এবং ওবিসি বি-এর জন্য ৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “নিয়োগের বিধি পাঠিয়ে দেওয়ার পরেও কেন তা দ্রুত পাশ করা হচ্ছে না, দীর্ঘ দিন ধরে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় স্কুল গুলিতে প্রশাসনিক দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে।”

ওএমআর শিট ১০ বছর সংরক্ষণ ছাড়াও স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে এই নয়া বিধিতে। প্রত্যেক প্রধানশিক্ষক পদপ্রার্থীদের ওএমআর শিটের কার্বন কপি দেওয়া হবে এবং ফলাফলের সঙ্গে ওএমআর শিটও পাবলিশ করা হবে। চূড়ান্ত যে প্যানেল প্রকাশ করা হবে তার পুরো তালিকা এসএসসি দফতরে ঝোলানো হবে, শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়া প্যানেল প্রকাশ করবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং অ্যাকাডেমিক স্কোর এবং ইন্টারভিউয়ের নম্বর প্রকাশ করা হবে প্রত্যেক পদপ্রার্থীদের।

অন্য বিষয়গুলি:

Appointment WBSSC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy