প্রতীকী ছবি
পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্বনির্ভর করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে ঠাকুরপুকুরের বিবেকানন্দ কলেজ। কলেজের বাগানেই মৌমাছি পালন করে তার থেকে মধু উৎপাদন এবং অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে অন্ত্রেপ্রেনিয়রশিপ ডেভেলপমেন্ট সেল (ইডিসি ) প্রজেক্ট-এর মাধ্যমে।
প্রাণীবিদ্যার শিক্ষক অমল কুমার পাত্র বলেন,“অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের স্বল্প সময়ের কোর্সের মাধ্যমে স্বনির্ভর করা এবং অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেওয়াই এই প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য।”
বারুইপুর এপিকালচার ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিবেকানন্দ কলেজ এ বার মৌমাছি পালনের এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে পড়ুয়াদের। নভেম্বর থেকে এই প্রশিক্ষণের ক্লাস শুরু হবে ১০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে।
ছয় সপ্তাহের এই প্রশিক্ষণে থিওরি এবং প্রাকটিক্যাল ক্লাস করানো হবে। প্রাথমিক ভাবে সপ্তাহে দু’দিন দিন ধার্য করা হয়েছে এই প্রশিক্ষণের জন্য। কলেজের অন্দরে সাত কাঠা জমির উপর ফুলের বাগান এবং ফল গাছ রয়েছে। প্রায় ১৫ রকম প্রজাতির ফুল রয়েছে এই বাগানে, সেখানেই কৃত্রিম ভাবে মৌমাছি পালন করা হবে।
এই মৌমাছি পালনের জন্য পাঁচটি বিশেষ ধরনের বাক্স আনা হবে তার মধ্যে ‘এপিস সিন্ডিকা’ প্রজাতির মৌমাছি রাখা হবে। বছরে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি মধু উৎপাদন করা হবে এই কৃত্রিম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। পুজোর পরেই এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন বারুইপুর এপিকালচার ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের কাছ থেকে। শুধু তাই নয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, কলেজের তরফ থেকে বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশিক্ষণরত পড়ুয়াদের জন্য। উৎপাদিত মধু কলেজের মধ্যেই ‘প্রচেষ্টা’ নামে যে বিশেষ স্টল রয়েছে সেখানেই বিক্রি করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy