পড়ুয়াড়া সামলাচ্ছেন ‘বুক ব্যাঙ্ক’-এর দায়িত্ব। নিজস্ব চিত্র।
উচ্চশিক্ষার পথে অর্থ অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, আর এই অর্থের অভাবে বই কেনার সুযোগ না থাকায় অনেক পড়ুয়ারাই পড়াশোনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। বইয়ের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে মেধা কোনও ভাবেই বঞ্চিত না হয় তাই ‘বুক ব্যাঙ্ক’ তৈরি করেছে ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ কলেজ।
কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রছাত্রীদের যৌথ উদ্যোগে কলেজের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ ‘বুক ব্যাঙ্ক’। ২০১৪ সালে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও, করোনা পরবর্তীকালে এর চাহিদা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানাচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এই ‘বুক ব্যাঙ্ক’ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং প্রাক্তনীরাও তাদের পুরনো বই এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন।
বিবেকানন্দ কলেজের ছাত্রী নেহা বিশ্বাস বলেন, “বহু পড়ুয়া রয়েছেন যাঁদের বাড়িতে পুরনো বই পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেকেই বইয়ের অভাবে পড়াশোনা করতে পারেন না। তাই তাঁদের জন্যই এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চ্যালেঞ্জটা কঠিন হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা এই ‘বুক ব্যাঙ্ক’-এ বই ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন, যা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করছে।”
বর্তমানে বিবেকানন্দ কলেজের ‘বুক ব্যাঙ্ক’-এ বইয়ের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। আগামী দিনে এই বইয়ের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নবকিশোর চন্দ বলেন, “আমাদের কলেজে প্রথম বার পড়তে আসা পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেক বেশি। বইয়ের অভাবে অনেকেই পড়াশোনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন, তাই ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজমুখী করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। করোনা মহামারীর পর এই উদ্যোগ যথেষ্ট সাফল্য লাভ করেছে।”
বর্তমানে এই ‘বুক ব্যাঙ্ক’-এর দায়িত্বে রয়েছেন কলেজের পড়ুয়ারা। ১৫ থেকে ২০ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে পড়ুয়াদের নিয়ে তাঁরাই এই পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন। লাইব্রেরির থেকে ‘বুক ব্যাঙ্ক’ বিষয়টি একটু আলাদা, এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পুরো সেমেস্টারের জন্য বই সংগ্রহ করতে পারবেন পড়ুয়ারা। বর্তমানে ২০০-র বেশি বই পড়ুয়াদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy