রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ষষ্ঠ ঋতম বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিক এবং রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল, দুটোতেই বাজিমাত করল হুগলি জেলা। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নাম ছিল ১৩ জনের। এ বার রাজ্য জয়েন্টের মেধাতালিকাতেও হুগলি জেলার নাম যোগ করলেন ঋতম বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঋতম হুগলির ত্রিবেণী টিস্যুজ় বিদ্যাপীঠের ছাত্র। মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থানে নাম রয়েছে তাঁর। আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চান। লক্ষ্য কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়া। আগামী দিনে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। তাই, রাজ্য জয়েন্টে উত্তীর্ণ হলেও আইআইটি-তে পড়ার ইচ্ছা, এখন সেই ফল প্রকাশের অপেক্ষাতেই রয়েছেন। ঋতমের বাবা দেবকীনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় চিকিৎসক। মা পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় গৃহবধূ। চলতি বছর আইএসসি পরীক্ষায় ৯৮. ২৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। ভাল ফল হবে তা আগে থেকেই প্রত্যাশিত ছিল। কারণ, দু’বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন ঋতম। পড়াশোনা করেন শুধুমাত্র নম্বরের জন্য নয়। বরং কোনও বিষয়কে ভাল করে বুঝে পড়তেই পছন্দ করেন তিনি। এই ফলে ঋতম খুশি। তবে আগামীতে কোথায় পড়বেন সেই সিদ্ধান্ত নেবেন আইআইটি-র ফলাফল প্রকাশের পরই।
প্রসঙ্গত, রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (ডব্লিউবিজেইই)-এ প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়ার কিংশুক পাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন কল্যাণীর শুভ্রদীপ পাল। তিনি কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাই স্কুলের ছাত্র। তৃতীয় হয়েছেন কল্যাণীর বিশপ মোরো স্কুলের ছাত্র বিবস্বন বিশ্বাস। প্রথম তিনের মেধাতালিকায় কলকাতার নাম না থাকলেও পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ময়ুখ চৌধুরী। তিনি সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের ছাত্র। কিংশুক এবং শুভ্রদীপ দু’জনেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বোর্ডের ছাত্র। এ ছাড়াও সপ্তম হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস, যিনি উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন। নবম হয়েছেন কলকাতার সৌনক কর। কিংশুক, শুভ্রদীপ, অভীক এবং সৌনক এই চার জনই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বোর্ডের। চলতি বছরে দশ জনের মেধাতালিকায় চার জন রয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে। সিবিএসই (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন)-এর চারজন। এবং সিআইএসসি (কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন)-এর তরফে দু’জনের নাম রয়েছে মেধাতালিকায়।
চলতি বছরে এক লক্ষ ৪২ হাজার ৬৯২ জন নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। রাজ্য ছাড়াও আন্দামান নিকোবর থেকে ১২ জন, দাদরা নগর হাভেলি থেকে ছ’জন, জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৮ জন, লাদাখ থেকে দু’জন, মেঘালয় থেকে ২৪, মিজোরাম থেকে তিন জন, গোয়া থেকে সাত জন এবং দমন ও দিউ থেকে পাঁচ জনের নাম পরীক্ষায় নথিভুক্ত করেছিলেন। পরীক্ষায় বসেছিলেন এক লক্ষ ১৩ হাজার ৪৯২ জন। তার মধ্যে ৭৯,০২৫ ছাত্র এবং ৩৪,৪৬৭ ছাত্রী। উত্তীর্ণের সংখ্যা এক লক্ষ ১২ হাজার ৯৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬২১ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩৪২ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy