Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
WBCHSE New Exam Rules

উচ্চ মাধ্যমিকের সিমেস্টারেও ফিরতে চলেছে পাশ-ফেল প্রথা

প্রথমে জানানো হয়েছিল শিক্ষা সংসদের তরফে, প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টারে পাশ-ফেল কিছু থাকছে না। তার পরই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নতির স্বার্থে এবং বিভিন্ন শিক্ষা সংগঠনগুলির আবেদনে পুনর্বিবেচনা শুরু করে বোর্ড।

সংগৃহীত চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৭
Share: Save:

উচ্চ মাধ্যমিকে সিমেস্টার পদ্ধতিতে ফিরতে চলেছে পাশ-ফেল প্রথা। চলতি বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে প্রথম স্কুল স্তরে এই সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হচ্ছে। নতুন বই ছাপানো থেকে সিলেবাস আপলোড— প্রায় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই শেষ। তবে, সিমেস্টার সিস্টেমে মূল্যায়ন পদ্ধতি কী ভাবে হবে তা নিয়ে শুরুতে ঘোষণা করলেও পরবর্তী কালে এই সিদ্ধান্তে বদল আনতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

প্রথমে শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছিল , প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টারে পাশ-ফেল কিছু থাকছে না। তার পরই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নতির স্বার্থে এবং বিভিন্ন শিক্ষা সংগঠনগুলির আবেদনে পুনর্বিবেচনা শুরু করে বোর্ড।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা চাই কোনও ভাবেই যেন নয়া পদ্ধতিতে বাংলার পড়ুয়াদের মূল্যায়নের মানের ক্ষতি না হয়। শিক্ষা সংসদ প্রথম, যারা স্কুল স্তরে সিমেস্টার ব্যাবস্থা চালু করেছে। কিন্তু, নয়া যে পদ্ধতি আসতে চলেছে তাতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। থাকছে পাশ-ফেল প্রথা। অর্থাৎ, পড়ুয়াদের চারটি সিমেস্টারেই ন্যূনতম পাশ নম্বর পেতে হবে। কোনও একটিতে যদি না পায়, তা হলে সে আর পরবর্তী সিমেস্টারে বসতে পারবে না।’’

প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৭০ এবং ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সেমিস্টারে ৩৫ ও ৪০ নম্বরে পরীক্ষা হবে বলেই জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এপ্রিল মাসের ৫ থেকে ৭ তারিখ এই নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায় ম্যারাথন বৈঠক রয়েছে শিক্ষা সংসদে। সূত্র, একাদশ ও দ্বাদশের নয়া পদ্ধতিতে বলা হয়েছে, প্রথম দু’টি সিমেস্টারে ৩৫ ও ৪০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম পাশ মার্ক পেতে হবে। তা না হলে তৃতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারে পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।

শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘ন্যূনতম পাশ নম্বর না থাকলে উচ্চ মাধ্যমিকের মান অনেকটাই নিম্নমুখী হয়ে পড়ত। এই নিয়ে আমরা প্রথম দাবি করেছিলাম, যাতে এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়। আমরা খুশি, শিক্ষা সংসদ আমাদের দাবিকে মান্যতা দিতে চলেছে।’’

উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মোট তিনটি সিমেস্টারের সময়সীমা দেড় ঘণ্টা করে ধার্য করেছে। আর চতুর্থ বা ফাইনাল সিমেস্টারের সময় দু’ঘণ্টা ধার্য করা হয়েছে। প্রথম এবং তৃতীয় সিমেস্টারে প্রশ্নপত্র থাকবে এমসিকিউ ধাঁচে। এ ক্ষেত্রেই যদি ন্যূনতম পাশ নম্বর না পায়, পড়ুয়ারা তা হলে উচ্চ মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে শিক্ষার্থীরা।

যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘ এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। এই ধরনের সিদ্ধান্ত না নিলে পরীক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ত। বছরে দু’বার পাশ-ফেল থাকলে পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি সমান আগ্রহ থাকবে নয়া পদ্ধতিতে।’’

শিক্ষক মহলের এক অংশের বক্তব্য, ন্যূনতম পাশ-ফেল প্রথা না থাকলে পরীক্ষার গুরুত্ব হারাবে। এতে ক্ষতি পড়ুয়াদেরই। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, যদি সমস্ত সিমেস্টারে পাশ-ফেল প্রথা ফিরে আসে তা হলে পরীক্ষার মানের পাশাপাশি পড়াশোনার মানও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

WBCHSE
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy