প্রতীকী চিত্র।
সারা বিশ্বেই সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর থেকে সুরক্ষিত নয় মোবাইল ফোনও। এই পরিস্থিতিতে সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই স্নাতকোত্তর পর্বেও এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনার আগ্রহ রয়েছে৷ অনেকের। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির কলকাতার ক্যাম্পাসে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার অফ সায়েন্স (এমএসসি) এবং পিজি ডিপ্লোমা করানো হবে।
কী কী বিষয় পড়ানো হবে?
নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি, ক্রিপ্টোগ্রাফি, সাইবার ইন্টেলিজেন্স, ডিজিটাল ফরেন্সিক, এথিক্যাল হ্যাকিং, পেনিট্রেশন টেস্টিং, সাইবার ল অ্যান্ড এথিক্স এবং ইন্সিডেন্ট রেসপন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট— এই সমস্ত বিষয় স্নাতকোত্তর পর্বের কোর্সে শেখানো হবে। উল্লিখিত বিষয়গুলি ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির অনুমোদনে পড়ানো হবে।
পাঠ শেষে ইন্টার্নশিপের সুযোগ:
প্রতিষ্ঠানের কোর্স কোঅর্ডিনেটর কল্যাণ বৈতাল বলেন, “উল্লিখিত বিষয়ে পড়াশোনা সম্পূর্ণ হওয়ার পর বাছাই করা পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি কলকাতা। এ ক্ষেত্রে যাঁরা উল্লিখিত কোর্সে ভাল ফলাফল করবেন, তাঁরাই এই সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও পড়ুয়ারা পড়াশোনা চলাকালীন ছ’মাসের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।” পাশাপাশি, প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালায় যোগদান করতে পারবেন। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার পাশাপাশি, বেসরকারি সংস্থাতেও চাকরির প্রস্তুতি সংক্রান্ত গ্রুমিং-এরও ব্যবস্থা রয়েছে, যার ক্লাস পেশাদার ব্যক্তিরা নেবেন।
ভর্তি প্রক্রিয়ার শর্তাবলি এবং অন্যান্য তথ্য:
উল্লিখিত কোর্সগুলিতে পড়ুয়াদের মেধার নিরিখে ভর্তি নেওয়া হবে। ক্লাস ২২ অগস্ট থেকে শুরু হবে। ক্লাস শেষে ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির নিয়মানুসারে পরীক্ষা নেওয়া হবে।উত্তীর্ণরা প্রত্যেকেই ডিগ্রি সংশাপত্র পাবেন।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
এমএসসি পড়তে আগ্রহীদের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন টেকনোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিষয়ে স্নাতক হওয়া আবশ্যক। তবে সমতুল্য বিষয়ে টেকনোলজি শাখায় স্নাতক ব্যক্তিরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন। স্নাতক স্তরে অন্তত ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজন। মোট দু’বছরের মধ্যে এই কোর্স সম্পূর্ণ হবে। আসন সংখ্যা ৩০।
পিজি ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা টেকনোলজি শাখায় ৫৫ শতাংশ কিংবা তার বেশি নম্বর পেয়ে স্নাতক হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের ভর্তি নেওয়া হবে। এক বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোর্সের ক্লাস সম্পূর্ণ হবে। মোট আসন সংখ্যা ৩০।
আবেদনের জন্য মূল বিজ্ঞপ্তিটি ভাল করে দেখে নিতে হবে। তাতে দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করে অথবা লিঙ্কে প্রবেশ করে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি, ১,০০০ টাকা আবেদনমূল্য হিসাবে জমা দিতে হবে। যাঁরা এমএসসি করবেন, তাঁদের সিমেস্টার পিছু ১,১০,০০০ টাকা এবং পিজি ডিপ্লোমার জন্য সিমেস্টার পিছু ৫০,০০০ টাকা করে টিউশন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ১৯ অগস্ট পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy