প্রতীকী চিত্র।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠনের মানোন্নয়ন করতে তৎপর কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। এই মর্মে সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যাসেসেমন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কিছু রদবদল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে ন্যাক-এর এগজ়িকিউটিভ কমিটি।
কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, দেশের সমস্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোর মান নির্ণয় করার জন্য কিউমিউলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ (সিজিপিএ)-এর বদলে বাইনারি অ্যাক্রেডিটেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। এই বাইনারি অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতির বিষয়ে ন্যাক-এর এগজ়িকিউটিভ কমিটি আরও জানিয়েছে, একাধিক আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পদ্ধতিতেই মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। পঠনপাঠনের মান্নোনয়নের ক্ষেত্রে এই বিশেষ মূল্যায়ন পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পাশাপাশি, গ্রেড ব্যবস্থার পরিবর্তে লেভেলের ভিত্তিতে সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির নাম ঘোষণা করবে ন্যাক। লেভেল ভিত্তিক মূল্যায়নের নাম ম্যাচিয়োরিটি-বেসড গ্রেডেড অ্যাক্রেডিটেশন । এই পদ্ধতির সাহায্যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মোতাবেক যে পরিকাঠামো সাজানো হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানকে ‘লেভেল ফোর’-এ জায়গা দেওয়া হবে।
তাদের ‘ইনস্টিটিউটস অফ ন্যাশনাল এক্সিলেন্স’ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। ‘লেভেল ফাইভ’-এ আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো যে প্রতিষ্ঠানগুলিতে রয়েছে, তাদের ‘ইনস্টিটিউটস অফ গ্লোবাল এক্সিলেন্স ফর মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে।
চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিজিপিএ কিংবা বাইনারি অ্যাক্রেডিটেশন কিংবা ম্যাচিওরিটি-বেসড গ্রেডেড অ্যাক্রেডিটেশন পদ্ধতির মধ্যে যে পদ্ধতির মাধ্যমে মূল্যায়ন করাতে চান, সেই সম্পর্কে নিজের মতামত জানানোর সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়াও উল্লিখিত পদ্ধতির সাহায্যে গ্রামাঞ্চল এবং প্রত্যন্ত এলাকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোর মূল্যায়নের বিষয়েও বিশেষ ভাবে নজরদারি করা হবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বাইনারি অ্যাক্রেডিটেশন সিস্টেমটি আগামী চার মাসের মধ্যে এবং ম্যাচিয়োরিটি-বেসড গ্রেডেড অ্যাক্রেডিটেশন চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে মূল্যায়ন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য একই জায়গায় জমা দেওয়ার বিষয়েও প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ডেটা প্ল্যাটফর্ম’ ব্যবহার করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ‘সুপারসেট অফ ডেটা’ সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধি ওই তথ্য ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এতে তথ্য সুরক্ষিত যেমন থাকবে, তেমনই দ্রুত তথ্যের বিশ্লেষণ করে মূল্যায়নও করা যাবে। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি তারিখে সংঘঠিত ন্যাক-এর এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy