ছবি: সংগৃহীত।
দারিদ্র্যকে জয় করে সাফল্য পেলেন বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে দেবদূত সাহা। কোনও কোচিং সেন্টার বা গ্রুপ স্টাডি নয়। একক প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল সার্ভিস পরীক্ষায় ত্রয়োদশ স্থান অধিকার করছেন তিনি।
২৫ বছর বয়সে সর্বভারতীয় স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সাফল্য পেলেন দেবদূত। তাঁর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গ্রামের মানুষ। বীরভূমের মহম্মদ বাজার এলাকায় বিষ্ণুপুর কুলকুরি গ্রামের বাসিন্দা দেবদূত।
সংসারে অভাব থাকলেও মেধায় অভাব ছিল না দেবদূতের। বাবা, মা, দুই বোন ও ঠাকুমা রয়েছেন দেবদূতের পরিবারে। যদিও বর্তমানে দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ঠাকুমার পেনশন ও বাবার চাষবাসের উপর চলত গোটা সংসার।
দেবদূত সাহা বলেন, “পড়াশোনা করতে আমার ছোট থেকেই ভাল লাগত। তবে কলেজে পড়ার সময় ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ভাবনা। কোনও কোচিং সেন্টার নয়, অনলাইন টিউটোরিয়াল-এর মাধ্যমে পড়াশোনা করেছি।”
বিষ্ণুপুর হাই স্কুল থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। বীরভূম জেলা স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। তাঁরপর উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাশিবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন তিনি। তিনি ৮০.২ শতাংশ নম্বর পান। এমনকি জয়েন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট (জ্যাম)- দিয়ে আইআইটি কানপুরে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।
দেবদূত বলেন, “মাটির ঘরে দারিদ্র সহ্য করে মা, বাবা বরাবর আমার পাশে থেকেছেন। জীবনের লক্ষ্য ছিল বড় হওয়া, সরকারি উচ্চপদে চাকরি করা, বড় কিছু না করলে আমাদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতি হবে না, এই ভাবনা থেকেই লড়াই শুরু।”
বর্তমানে নিজের জেলায় ব্রাঞ্চ পোস্টমাস্টার হিসাবে কর্মরত দেবদূত। কলেজে পড়াকালীন ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল সার্ভিস’-এর সিলেবাস সম্বন্ধে জানতে পারেন তিনি। তার পর নিজের উদ্যোগে প্রথমবার ইন্টারভিউ পর্যন্ত গিয়েও সাফল্যের দোরগোড়া থেকে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। তবে হেরে যাননি দেবদূত। শুরু হয় লক্ষ্যে পৌছনোর লড়াই। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের পুরস্কার মিলল দ্বিতীয় বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy