তরুণীকে ‘দ্বিখণ্ডিত’ করছেন পিসি সরকার।
বাবার হাত ধরে ম্যাজিক দেখতে গিয়েছিলেন কিশোর সৌরভ। ১৯৮০ সাল। মহাজাতি সদন।
ফাঁকা বাক্স থেকে পায়রা ওড়া, ওয়াটার অব ইন্ডিয়া দেখতে দেখতে হঠাৎ মঞ্চের আবহাওয়া গম্ভীর হয়ে গেল। মঞ্চটা হয়ে গেল হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষের মতো। এক মহিলাকে বিছানায় শুইয়ে বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে তাঁর পেট বরাবর দু’খানা করে দিলেন জাদুকর। মহাজাতি সদন নিস্তব্ধ। মহিলার দু’ভাগ শরীরের মাঝখানে ধাতুর পাত রেখে দেখানো হল সত্যিই তিনি দ্বিখণ্ডিত।
তার পর সরিয়ে নেওয়া হল ধাতব পাত। জাদুকর হাত নাড়তে লাগলেন মহিলার উপরে। সঙ্গে ডাক। ধীরে ধীরে চোখ খুললেন মহিলা। জাদুকর বিছানা থেকে তাঁকে তুলে হাত ধরে নিয়ে এলেন মঞ্চের সামনে। মহিলা জীবিত। আস্ত।
বাড়ি ফেরার পথেও ঘোর কাটেনি কিশোরের। এই ৫০ ছুঁই ছুঁই বয়সে সৌরভ বিশ্বাসের মনে পড়ে, ম্যাজিক দেখার পর বোনের সঙ্গে ঝগড়া হলে ভাবতেন, দুষ্টুটাকে কেটে দু’ভাগ করে দিলে হয়! পরে কান্নাকাটি করলে আবার ম্যাজিক করে জুড়ে দেওয়া যাবে।
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মানুষ কাটার খেলা দেখেছিলেন মামার বাড়ির গ্রামে এক গ্রাম্য ম্যাজিশিয়ানের শো-তে। তখন তিনি নেহাতই সাত বছরের বালক। ‘প্রফেসর বোস’ নামে সেই ম্যাজিশিয়ানের তেমন জৌলুস ছিল না। কিন্তু ১৯৬৭-র বাদুড়িয়ায় হ্যাজাকের আলোয় সেই খেলা দেখিয়ে তিনি মাত করে দিয়েছিলেন। নামটাও জমকালো— ‘করাত দ্বারা তরুণী দ্বিখণ্ডীকরণ’! বয়স্ক পলাশ বলছিলেন, ‘‘ঝুপসি অন্ধকারে হ্যাজাক জ্বলা তাঁবুর ভিতর দমবন্ধ করে দেখেছিলাম, একটাও কথা না বলে ২২-২৩ বছরের মেয়েকে তিনি একটা বাক্সে শুইয়ে করাত চালিয়ে দু’ খানা করে ফেললেন। সরিয়ে দিলেন দুটো টুকরো মঞ্চের দু’প্রান্তে। এক দিকে ধড়মুন্ডু। অন্য দিকে পেটের নীচ থেকে পা। তার পর আবার বেমালুম জুড়েও দিলেন। মনে হয়েছিল, এই ম্যাজিক না শিখলেই নয়।’’
খেলাটা শিখেওছিলেন ‘ওয়ান্ডার পলাশ’। এখন ষাটোর্ধ্ব পলাশ ওই নামেই ম্যাজিক দেখাতেন। পাড়ায় পাড়ায় শো করতেন। অফিস ক্লাবের ফাংশনেও। তবে বড় মঞ্চে একক শো করা হয়ে ওঠেনি তাঁর। ‘করাত দ্বারা তরুণী দ্বিখণ্ডীকরণ’ নামের খেলাও সামর্থ্যের অভাবেই দেখানো হয়ে ওঠেনি।
২০২১ সালে ‘শইং আ উওম্যান ইন হাফ’নামের এই শ্বাসরোধকারী ম্যাজিক শতবর্ষে পা রাখল। ১৯২১ সালের ১৭ জানুয়ারি ইংরেজ জাদুকর পি টি সেলবিট এই খেলা প্রথম দেখান লন্ডনের এক রঙ্গালয়ে। তার পর থেকে হেন সফল স্টেজ ম্যাজিশিয়ান নেই, যিনি এই খেলা দেখাননি। মঞ্চ-জাদুর ইতিহাসকাররা সেলবিটকেই এই খেলার উদ্ভাবক এবং প্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। সেদিন সেলবিট এক তরুণীকে তাঁর সমান মাপের একটি বাক্সে শুইয়ে বাক্সটি রেখেছিলেন দু’টি টুলের উপর। বাক্সে দু’ধারে দু’টি দুটি করে চারটি ফুটো। শায়িত তরুণীর গলায় ও পায়ের কাছে একজোড়া করে। দর্শকদের মধ্যে থেকে জনা পাঁচেককে সেলবিট মঞ্চে ডেকেছিলেন। তার পর ওই ফুটোজোড়া দিয়ে মোটা দড়ি গলিয়ে বাক্সে এ প্রান্তে-ও প্রান্তে সেই দর্শকদের দড়ি চেপে ধরে রাখতে বলেছিলেন। ফলে তরুণীর নড়াচড়ার কোনও উপায় ছিল না।
বাক্স তালা বন্ধ করে একটা হাত-করাত চালিয়ে সেলবিট বাক্স সমেত মেয়েটিকে মাঝখান দিয়ে কেটে ফেলেছিলেন। দু’টি চৌকো চাকতি দিয়ে বাক্সের কাটা মুখ দু’টি ঢেকে বাক্সের দু’ভাগ দু’দিকে সরিয়ে নিজে তার ফাঁকে হেঁটে দেখিয়েলেন, তরুণীর শরীর দ্বিখণ্ডিত। তার পর আবার চাকতিগুলো সরিয়ে বাক্সের দু’টিভাগকে জোড়া লাগিয়ে তরুণীর বাঁধন আলগা করে দিতে অনুরোধ করেছিলেন সেলবিট।
বাক্সের তালা খুলে তরুণীকে ডাকতেই তিনি অক্ষত দেহে নেমে এসে মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। দর্শকরা হতচকিত। হাততালি দিতেও ভুলে গিয়েছিছিলে। তরুণী তখন ঝুঁকে পড়ে সকলকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। তরুণীর নাম বেটি বার্কার। সেলবিটের সঙ্গে তাঁর নামও মঞ্চ-জাদুর ইতিহাসে অমর হয়ে রয়ে গিয়েছে।
সেই প্রদর্শনীর রুদ্ধশ্বাস বর্ণনা লিখে গিয়েছেন বাঙালি সাহিত্যিক অজিতকৃষ্ণ বসু তাঁর ‘যাদুকাহিনী’ গ্রন্থে। এ-ও জানিয়েছেন, সেলবিটের সেই খেলার পিছনে এক যুগন্ধর জাদুকরের অবদান ছিল। ১৯ শতকের মানুষ ফরাসি জাদুকর রোবেয়ার উদ্যাঁ (১৮০৫-১৮৭১)। উদ্যাঁ তাঁর আত্মজীবনীতে একটি খেলার বর্ণনা দিয়েছিলেন। ১৯ শতকের গোড়ায় তুরস্কের সুলতানের দরবারে সেই খেলা দেখিয়েছিলেন তাঁর ‘গুরু’ ফরাসি জাদুকর টরিনি। একটি মেয়েকে বাক্সে পুরে করাত দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করে খণ্ড সমেত বাক্স দু’টিকে দু’প্রান্তে রেখে দিয়েছিলেন। তার পর দু’টি বাক্স থেকে বার করেছিলেন একই রকম চেহারার দু’টি মেয়ে। অজিতকৃষ্ণ মনে করেন, উদ্যাঁর লেখা থেকে সেই খেলার বিবরণ পড়ে সেলবিট তাঁর বিখ্যাত খেলাটি উদ্ভাবন করেন।
পি সি সরকার (জুনিয়র) অবশ্য মনে করেন, এই খেলার উৎস ভারতে। ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যে সন্তানকে খণ্ড খণ্ড করে কেটে আবার জোড়া লাগানোর কাহিনি প্রচুর। এমনকি, বাংলার ব্রতকথা, মঙ্গলকাব্যেও এর উদাহরণ রয়েছে। এ দেশের মাদারিরা এখনও বিনা আড়ম্বরে, খোলা রাস্তায় এই খেলা দেখিয়ে থাকেন। ১৭ এবং ১৮ শতকে বহু কৌতূহলী ইউরোপীয় ভাগ্যান্বেষণে ভারতে এসেছিলেন। ভারত তাঁদের কাছে ‘জাদুর দেশ’। ১৯ শতকের মধ্যেই বহু জাদু-কৌশল ওই সব ইউরোপীয় মারফত পশ্চিমে চলে যায়। তার পর তার উপর রং-পালিশ পড়ে মঞ্চ জাদুর জগতে ঢুকে পড়ে। পি সি সরকার (জুনিয়র)-এর মতে, সেই সব অজ্ঞাতকুলশীল মাদারি বা ভোজবিদ্যা প্রদর্শনকারীদের কথা কেউ মনে রাখেনি।
সেলবিটের ম্যাজিক অতলান্তিক পেরিয়ে আমেরিকাতেও প্রবেশ করে। আমেরিকান জাদুকর হোরেস গোল্ডিন নিজের মতো করে ওই ম্যাজিক দেখাতে উদ্যোগী হন। ১৯২১-এর জুলাই মাসে তিনি ওই খেলা দেখাতে শুরু করেন। আরও পরে আমেরিকার হাওয়ার্ড থার্সটন এবং ডেনমার্কের জাদুকর হ্যারি এ জ্যানসেন (‘দান্তে দ্য ম্যাজিশিয়ান’ নামে পরিচিত) ওই খেলা আরও রংদার করে তোলেন। গোল্ডিন তাঁর ম্যাজিককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তাকে নিয়ে যান অন্য উচ্চতায়। ১৯৩১ সালে জুলাইয়ে লন্ডন প্যালাডিয়েমে তিনি বাক্স বা কোনও আড়াল ব্যবহার না করে বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে তরুণী দ্বিখণ্ডীকরণের খেলা দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দেন! করাতের শোঁ-শোঁ শব্দের নাটকীয়তা দর্শকদের মধ্যে অদ্ভুত আতঙ্ক তৈরি করে। যা পরে এই খেলায় কৌলিক হয়ে দাঁড়ায়। ভারতীয় জাদুকরদের মধ্যে বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে দ্বিখণ্ডীকরণের খেলা প্রথম দেখান প্রতুলচন্দ্র সরকার। পি সি সরকার (সিনিয়র)।
সিনিয়র যখন ইংল্যান্ডে শো করতে গিয়েছেন, ততদিনে এই খেলার সঙ্গে পরিচিত সেখানকার জাদুরসিক দর্শককুল। সে কারণেই সিনিয়র ম্যাজিকটিকে পরিবেশন করেন একেবারে অন্য আঙ্গিকে। সহকারীদের অস্ত্রোপচার কক্ষের উপযোগী পোশাক পরিয়ে, অস্ত্রোপচারের টেবিল ব্যবহার করে, ইথার বা ওই জাতীয় রাসায়নিক ছড়িয়ে হাসপাতাল-সুলভ গন্ধ তৈরি করে প্রেক্ষাগৃহে একটা থমথমে পরিবেশ তৈরি করতেন সিনিয়র। তার নাটকীয়তা ছিল তুঙ্গে। লণ্ডনে সিনিয়রের জাদু প্রদর্শন নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছিল। কারণ, পরাধীন দেশের এক বাদামি চামড়ার ম্যাজিশিয়ান কী এমন খেলা দেখাবে যা শ্বেতদ্বীপের কাছে নতুন, এমন উন্নাসিক পরিমণ্ডলের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে।
সে বার বিবিসি-তে সিনিয়রের জাদু প্রদর্শনের কথা। তখন রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা নেই। যে কোনও টিভি সম্প্রচারই ছিল সরাসরি। সিনিয়রকে খুব অল্প সময় দেওয়া হয়েছিল। খবর সম্প্রচারের ঠিক আগে। বিবিসি বারবার বলেছিল, খবর শুরুর আগে ম্যাজিক শেষ করতে হবে। খবরের সময়ের একটি সেকেন্ডও এদিক-ওদিক করা যাবে না। রিহার্সালের সময়ে নিখুঁত সময়ে খেলা শেষ করেছিলেন সিনিয়র। বিবিসি সেই সময়ও মেপে রেখেছিল । কিন্তু সম্প্রচারের সময় ইচ্ছে করেই একটু ঢিমে চালে খেলা শুরু করলেন জাদুকর। দীপ্তি দে নামের যে মহিলাকে দ্বিখণ্ডিত করা হবে, তাঁকে আগে থেকে নির্দেশ দেওয়া ছিল। বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে দীপ্তিকে দ্বিখণ্ডিত করা হল। জোড়াও লাগানো হল।
এবার শুরু হল আসল খেলা। সিনিয়র শায়িত দীপ্তিকে ডাকতে থাকলেন ‘আর ইউ অল রাইট?’, ‘ওপেন ইওর আইজ’। দীপ্তিকে বলা ছিল, যত ডাকাডাকিই হোক, তিনি যেন চোখ না খোলেন। দীপ্তি মৃতদেহের মতো পড়ে রইলেন। তত”ণে খবর সম্প্রচারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। ঘামতে শুরু করেছেন চ্যানেলকর্মীরা। কিন্তু দীপ্তির চোখ খুলছে না! বাধ্য হয়ে খেলা অসমাপ্ত রেখেই শুরু করতে হল খবর সম্প্রচার। টিভি-র সামনে দর্শকরা হতভম্ব। একটি জলজ্যান্ত মেয়েকে লোকটা বেমালুম কেটে ফেলল। কিন্তু ফিরিয়ে আনতে পারল না!
ফোনের পর ফোন বিবিসি-র দফতরে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোনের লাইন জ্যাম। মহা বিড়ম্বনায় বিবিসি। কিন্তু পর দিন লন্ডনের প্রায় সব খবরের কাগজের শিরোনাম হল— ‘মেয়েটি ঠিক আছে’। খেপে উঠলেন অনুষ্ঠানের প্রযোজক রিচার্ড ডিন্ডলবি। সিনিয়র তখন মনে মনে হাসছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল। ভারতীয় জাদুকরের কাছে নাস্তানাবুদ প্রভু-দেশের প্রতিনিধিরা। বলতে বলতে এখনও হেসে ফেলেন সিনিয়রের পুত্র পি সি সরকার (জুনিয়র)।
বাবার সহকারী হিসাবে কৈশোরেই ওই খেলায় অংশ নিতে শুরু করেছিলেন জুনিয়র। তার আগে আড়াল থেকে লক্ষ্য করেছেন মহড়া। কৌশল তাঁর জানা হয়ে গিয়েছিলই। ফলে পরে মঞ্চে ওই খেলা দেখাতে কোনও অসুবিধে হয়নি তাঁর। কিন্তু তিনি একটা বড় বদল এনেছেন এই ম্যাজিকে। আগে মঞ্চে তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী সরকারকে দ্বিখণ্ডিত করতেন। কিন্তু এখন জয়শ্রীর হাতেই থাকে বৈদ্যুতিক করাত। আর কাটা হয় যাঁকে, তিনি স্বয়ং জাদুকর প্রদীপচন্দ্র সরকার (জুনিয়র)। এর মধ্যে দিয়ে কি গবেষক নাওমি প্যাক্সটনের অভিযোগের জবাব দিতে চেয়েছেন তিনি, যে নাওমি বলেছিলেন, সেই সেলবিটের কাল থেকে এই খেলায় পুরুষ জাদুকরের হাতে ‘ক্রীড়নক’ হয়ে এসেছেন মেয়েরা। ফলে কোথাও একটা পুরুষতন্ত্রের ছাপ থেকেই যায় এই খেলায়।
ওলন্দাজ জাদুকর ফু মাঞ্চু (ডেভিড ব্যামবার্গ) ওই খেলা আরও নাটকীয় করে তুলতে করাতের বদলে ব্যবহার করতেন এক বিরাট পেন্ডুলাম। তার তলায় ধারালো চাকতি। সেই পেন্ডুলামই দুলতে দুলতে এসে দ্বিখন্ডিত করত টেবিলে শায়িত মেয়েকে। অজিতকৃষ্ণ লিখেছেন, ‘পেন্ডুলামের ভাবনার পিছনে কাজ করেছিল আমেরিকান লেখক এডগার অ্যালান পো-র বিখ্যাত আতঙ্ক-কাহিনি পিট অ্যান্ড দ্য পেন্ডুলাম’। সমসময়ের বিখ্যাত আমেরিকান জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ড এই খেলা আরও চিত্তাকর্ষক করে তুলেছেন। ভারতীয় জাদুকরদের মধ্যে এই খেলা এক সময়ে অন্য আঙ্গিকে দেখিয়েছেন প্রয়াত জাদুকর কে লাল।
শতবর্ষ পার হয়েও এই খেলার জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। শখের জাদুকরও স্বপ্ন দেখেন মঞ্চে তরুণীকে দ্বিখণ্ডিত করার। সকলের স্বপ্ন বাস্তব হয় না। যেমন হয়নি ‘ওয়ান্ডার পলাশ’-এর। ক্রমশ কমে আসছে হাতের জোর। এখন হাতসাফাই করতে গেলে হাত কাঁপে পলাশের। তবু স্মৃতি এসে হানা দেয় বিনিদ্র রাতে। সাত বছরের এক বালক বসে আছে বাদুড়িয়া গ্রামের হ্যাজাক জ্বলা তাঁবুর ভিতরে। পিন পতনের নিস্তব্ধতার মাঝখানে এক জৌলুসহীন জাদুকর বদলে দিচ্ছেন সেই বালকের ভাববিশ্ব।
করাত চলছে। দ্বিখণ্ডিত হচ্ছেন তরুণী। করাত চলছে ১০০ বছর ধরে। নিরন্তর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy