যাত্রী প্রত্যাখ্যান থেকে লাগাম ছাড়া অতিরিক্ত টাকার দাবি— ট্যাক্সি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে। ফাইল চিত্র।
পেট্রল-ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাস অথবা ট্যাক্সি সংগঠনগুলোর অত্যন্ত সঙ্গত দাবি ছিল ভাড়া বাড়ানোর। দাবির যৌক্তিকতা তর্কাতীত। সরকার ভাড়া বাড়িয়েছে। এ বার মুদ্রার অন্য পিঠের দিকে তাকানোর পালা। সাধারণ নাগরিকের বিশেষত ট্যাক্সি প্রসঙ্গে যে ক্ষোভগুলো রয়েছে, সেগুলোও তর্কাতীত। সে দিকে এ বার নজর দেওয়া দরকার।
যাত্রী প্রত্যাখ্যান, লাগাম ছাড়া অতিরিক্ত টাকার দাবি অথবা দুর্বিপাকে পড়া যাত্রীর প্রতি যথাসম্ভব অন্যায় আচরণ— ট্যাক্সি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কিন্তু বিস্তর। বস্তুত, এই ক্ষোভের জায়গা ধরেই ক্রমাগত বেড়েছে অ্যাপ-ক্যাবের চাহিদা। আম নাগরিক শত কষ্ট সহ্য করেও ন্যায্য বর্ধিত ভাড়া দিতে প্রস্তুত থাকেন। বিনিময়ে প্রত্যাশা করেন ন্যূনতম কিছু স্বাচ্ছন্দ এবং প্রশাসন-নিয়ন্ত্রিত কিছু শৃঙ্খলা। হলুদ ট্যাক্সির মর্জি যাঁরা জানেন তাঁরা সাক্ষী, শৃঙ্খলা অথবা স্বাচ্ছন্দের প্রত্যাশা নিতান্ত কল্পনাবিলাস হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন:
ট্যাক্সি ‘না’ করলেই ফোন করা যাবে এই নম্বরে
অতএব, সরকারের সাম্প্রতিক কিছু উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। যাত্রী প্রত্যাখ্যান অথবা স্বাচ্ছন্দে খামতি নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে, এ বার থেকে নাকি সরাসরি ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই নম্বর লেখা থাকবে ট্যাক্সির গায়েই।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
এ কথা ঠিক, সরকারি এই ঢক্কানিনাদ যে অধিকাংশ সময়েই পর্বতের মূষিক প্রসবে পর্যবসিত হয়, সে কথা বিলক্ষণ জানা এ রাজ্যের আপামর মানুষের। অতএব, ট্যাক্সিকে কেন্দ্র করে আরও এক বার এই যে সরকারি গর্জন, বাস্তবে কতটা বর্ষণ নিয়ে আসবে তা নিয়ে সন্দেহের সঙ্গত কারণ রয়েছে। প্রশাসন কি এই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? না হলে কিন্তু আরও এক বার নিষ্ফলা আশ্বাসের পুরনো বৃত্তান্তের পুনরাবৃত্তি হবে। যার শেষটা আসলে করুণ। এখনও টিকিয়ে রাখা কিছু বিশ্বাসের আরও এক বার অপমৃত্যু হবে, যার জন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy