পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
একটু অসুস্থ লাগছিল। খানিকটা ভয়ও লাগছিল। এমন অসুস্থ আগে কখনও লাগেনি। এমন ভয়ও কি আগে হয়েছে কখনও!
পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে, ঘটনাচক্রে, বরাবর বিরোধী শিবির কভার করতে দেওয়া হয়েছে। ফলে আলিমুদ্দিনের সঙ্গে সে ভাবে কখনও কোনও ঘন এবং আঠালো সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। অনিল বিশ্বাস, শ্যামল চক্রবর্তী, সুভাষ চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ ছিল। তাঁরা স্নেহও করতেন। কিন্তু নিত্যদিনের আলোচনা তাঁদের কারও সঙ্গেই কখনও হত না। মানে রাজনীতিক-সাংবাদিক যে পারস্পরিক ‘নোট এক্সচেঞ্জ’ নিয়ত হয়ে থাকে। প্রশ্ন শুনে বিরক্ত জ্যোতি বসু একবার ‘ছোকরা সাংবাদিক’ আখ্যা দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও খুব প্রসন্ন ছিলেন বলে মনে হয়নি। কিছু সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে প্রকাশ্যেই ঠোকাঠুকি লেগেছিল।
কেন, সেটা মাঝেমধ্যে ভাবার চেষ্টা করতাম। মনে হত, এত ভাবার কিছু নেই। এটাই দুনিয়ার নিয়ম। সাধে কি আর বলে, কাউকে ঠিকঠাক বুঝতে গেলে তার মধ্যে খানিকটা ক্ষমতা পুরে দিতে হয়। তার পরে দেখতে হয়, সেই ‘বুস্টার ডোজ’ নিয়েও লোকটা আগের মতো থাকে কি না। মনে হত, ক্ষমতা এবং তার নৈকট্য মানুষের মধ্যে একটা অযথা চাকচিক্য, একটা অবাঞ্ছিত কিন্তু বাধ্যতামূলক জ্যোতির্বলয় (দেওয়ালে ঝোলানো দেবদেবীর ছবিওয়ালা বাংলা ক্যালেন্ডারের মতো) এবং কণ্ঠস্বরে একটা আরোপিত দার্ঢ্য তৈরি করে। সেটা ভেদ করে ক্ষমতাশালীর কাছে পৌঁছনো সময়ে সময়ে দুরূহ হয়ে পড়ে। রাজ্যে বামশাসনে উঁচুতলার নেতা-মন্ত্রীরা ওই ক্যালেন্ডারের পর্যায়ভুক্ত ছিলেন। তাঁদের দেখা যেত। তাঁরা দেখতে পেতেন না।
সেদিক দিয়ে বিরোধী শিবিরের নাগাল পাওয়া বরং অনেক সহজ ছিল। অনেক অনায়াস এবং অনাবিল। সেটা স্বাভাবিকও। একে তো তাঁরা ক্ষমতা থেকে যোজন দূরে। দ্বিতীয়ত, ক্ষমতায় চলে আসবেন, এমন কোনও দৌড়ে তখনও দেখা যাচ্ছে না। তৃতীয়ত, সাংবাদিককুলের বড় একটা অংশের মতো তাঁরাও সিপিএমের দৈনিক লাথি-ঝাঁটা খেয়ে থাকেন। পাশাপাশি চলে টিপ্পনি-টিকা-বুকনি এবং আরোপিত মন্দ্র কণ্ঠস্বরে জগৎ ও জীবন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নিদান দেওয়া। বিরোধী শিবির তার চেয়ে অনেক সোজাসুজি, ঝাড়াঝাপ্টা। ফলে প্রথমে কংগ্রেস তার পর কালক্রমে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে, যাকে বলে, জমে গেল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সে ভাবেই আলাপ। তৃণমূল গঠনের পর থেকেই চিনি। যতদূর মনে পড়ে, প্রথম দেখা নিজাম প্যালেসে। সম্ভবত ২০০১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে।
তখন ‘নিজাম’ বিরোধীদলের আখড়া। সেখানে ঘনঘন কৌশল-বৈঠক হত মুকুল রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অলোক দাসদের সঙ্গে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই প্রথম দেখি ‘পার্থ’দা’কে। তখনও তাঁর পরনে সাধারণত থাকত সবুজ হাফহাতা কুর্তা আর সামান্য ঢোলা পাজামা। কুর্তার পকেটে এক বা একাধিক কলম। স্নিকার্স সম্ভবত তখনও পদযুগলে ওঠেনি। কাবলি জুতোই পরতেন বোধহয়। বেশ ‘মাই ডিয়ার’ গোছের এবং বৈঠকি মানুষ। মনে হত, চেহারার মতো হৃদয়টাও বিশাল। একটা আলগা রসিকতাবোধ ছিল। ফ্রেঞ্চকাটের আবডালে মুখে একটা মুচকি হাসি। একটু তৎসম শব্দ ব্যবহার করে কথা বলার ঝোঁক। আদর্শ ‘অফিশিয়াল মুখপাত্র’। নিজের ফেলে-আসা জীবনের কথা বলতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল-প্রীতির কথা বলতেন। বলতেন, ম্যানেজমেন্টের ছাত্র। বহুজাতিকে চাকরি করতেন। সে সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে রাজনীতি করতে এসেছেন। আশুতোষ কলেজে ছাত্র পরিষদ করতে করতে মমতার সঙ্গে আলাপ। সেই আলাপের সূত্রেই তৃণমূলে যোগদান।
২০০১ সালে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে জিতলেন পার্থ। তার পর জিতলেন ২০০৬ সালেও। এবং বিরোধী দলনেতা হলেন (মনে রাখুন, বিরোধী দলনেতার মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধা রাজ্যের যে কোনও ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল)। তখন প্রায় রোজই বিধানসভায় তাঁর ঘরে দেখাসাক্ষাৎ। প্রায় রোজই যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধিকে তুড়ি মেরে দরজার বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে মুড়ি-তেলেভাজা-শিঙাড়া-জিলিপির আড্ডাভোজ। সেই আড্ডাতেই জানলাম, পার্থর ডাকনাম ‘কাতু’। তাঁর নাকতলার বাড়ির নাম ‘বিজয়কেতন’। কন্যা বিদেশে পাঠরতা। পোষ্য হিসেবে একটি মিষ্টি এবং তৎকালীন ভোডাফোন-খ্যাত ‘পাগ’ আছে (তখন সম্ভবত ওই একটিই পোষ্য ছিল)। আরও জানলাম, পার্থর মামার নাম শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিখ্যাত গীতিকার। তা নিয়ে ওঁর সামান্য গর্ব এবং শ্লাঘাও আছে।
এবং অবশেষে জানলাম, পার্থ আমারই স্কুল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র। সেই সূত্রে কোথাও কি দইটা আরও একটু জমল? জমল বোধহয়। উপরে কি একটা মাঠা পড়ল? পড়ল বোধহয়। একটা আলাপের সুতো বাঁধা হল? হল বোধহয়। কারণ, পার্থ’দা ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’ হয়ে গেলেন অচিরাৎ। যদিও তাঁর সঙ্গে নরেন্দ্রপুর নিয়ে বেশি আলোচনার অবকাশ হয়নি। কারণ, ততদিনে হইহই করে এসে পড়েছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলন। যে আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে মমতার উত্থান শুরু। শুরু তাঁর রূপকথা সুলভ যাত্রার। আলোর রূপকথা।
তাঁর পাশে পাশেই উঠছিলেন পার্থ। সম্ভবত তখনই শুরু তাঁর রূপকথারও। অন্ধকারের রূপকথার।
সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় বিরোধী দলনেতা হিসেবে সরকার পক্ষের সঙ্গে বরাবর ‘ট্র্যাক টু’ কূটনীতির পথ খোলা রাখতেন পার্থ। তদানীন্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিম, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন এবং সর্বোপরি তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকত তাঁর (বস্তুত, কলকাতার রাজভবনে গত ১৫ বছরে যত লাটসাহেব এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই পার্থর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থেকেছে। একটা সময়ে রসিকতা করে বলতেন, ‘‘আমার তো আরও একটা দফতর আছে— রাজভবন দফতর’’)। ফলে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-পরিবর্তন পর্যায়ে পার্থ হুড়মুড়িয়ে শাসক শিবিরের প্রথম সারিতে চলে এলেন। তখনই কি ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার প্রথম পরিচ্ছেদটা লেখা হচ্ছিল পার্থর রূপকথায়?
ততদিন পর্যন্ত যে পার্থকে সাংবাদিকদের দুনিয়া চিনত, তিনি খুবই আন্তরিক এবং অতিথিবৎসল। মিঠে স্বভাবের মানুষ। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁকে নিয়ে একান্তে লঘু, চপল রসিকতা করলেও গ্রাম্ভারি রাজনীতিক নেতাসুলভ উষ্মা প্রকাশ করতেন না। উল্টে দুলে দুলে হাসতেন। সিঙ্গুর আন্দোলন তুঙ্গে থাকার সময় একটা সকালের কথোপকথন এখনও মনে পড়ে। কণ্ঠে জটায়ু-সুলভ অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ মিশিয়ে পার্থ বললেন, ‘‘কাল তো শুধু গামছা পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সিঙ্গুরে ঢুকেছিলাম!’’
সেই রোমহর্ষক এবং অকুতোভয় বিবরণে বিন্দুমাত্র প্রভাবিত না-হয়ে ফিচেল এবং ইয়ার্কিবাজ আমি বললাম, ‘‘তুমি? শুধু গামছা পরে? কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত হইয়া? এ তো ফুল অ্যাডাল্ট সিন! চোখের পক্ষে ভাল নয় কিন্তু।’’
পার্থ একটুও রাগেননি। উল্টে হ্যা-হ্যা করে হাসলেন ফোনে। যেমন তিনি রাগেননি একদা এই লাল পিঁপড়েওয়ালা লাইনটা পড়েও, ‘পৃথিবীতে তো মাত্র দু’জনই মহাসচিব আছেন— রাষ্ট্রসঙ্ঘের বান কি মুন এবং তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’
তাঁকে নিয়ে আনন্দবাজারে প্রকাশিত কার্টুন হার্ড বোর্ডে মাউন্ট করিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। অনেক পরে টলিউডের সফল পরিচালক বিস্মিত ফোন করেছেন, ‘‘আরে! পার্থ’দা তো তোমার পাঠানো কার্টুন বাড়িতে ফ্রেম করে রেখে দিয়েছেন!’’ কলকাতা পুরসভার ভোটে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন। ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের দুই প্রার্থীকে নিয়ে লিখতে গিয়ে পার্থকে খোঁচা মেরে ‘বান্টি’ লিখেছি। কারণ, ঘটনাচক্রে, তাঁর স্ত্রীর নাম ‘বাবলি’। তখনও বাবলি চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হননি। অসুস্থও নন। ফলে পার্থর লড়াইয়ের অবাস্তবতা বোঝাতে গিয়ে এই তুলনা টানার লোভ সামলাতে পারিনি যে, শাদ আলির ‘বান্টি অওর বাবলি’ ছবির মতো এই বান্টিও দিনেদুপুরে তাজমহল বিক্রির চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেটা বলিউডের ছবিতে সম্ভব। বাস্তবে নয়।
খানিক ‘বিলো দ্য বেল্ট’ লেখাটা পার্থ বিলক্ষণ পড়েছিলেন। মনে মনে হেসেছিলেন বা রেগেছিলেন কি না জানি না। তবে রেগে থাকলেও বাইরে তেমনকিছু দেখাননি। সম্ভবত বিকাশের কাছে হেরে গিয়েছিলেন বলেই। জিতলে একটু তম্বি করতেন হয়তো। কিন্তু সাধারণ ভাবে পার্থ বরাবরই রিপোর্টার-বান্ধব থেকেছেন। কাগজে তাঁর ছবি বেরোলে বেজায় খুশি হয়েছেন। মাঝেমধ্যে নাম (এবং তাঁকে নিয়ে খবর) দেওয়ার জন্য মৃদু ঝুলোঝুলিও করেছেন। কিন্তু তা সবসময়েই সহনীয় পর্যায়ে থেকেছে। রাজনৈতিক ওজন আরও বেড়েছে তাঁর। কন্যার বিবাহে লোক খাওয়াতে গিয়ে একদিনে শানায়নি। দু’দিন অনুষ্ঠান (কর্মসূচি বলাই ভাল) করতে হয়েছে। স্ত্রী এবং মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়ায় আত্মীয়-বন্ধু-পরিচিতরা ঢালাও আমন্ত্রিত থেকেছেন। শহরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রেস্তোঁরার বশংবদ মালিক এসে মেকশিফ্ট কিচেনে দাঁড়িয়ে ঘামতে ঘামতে নিজে রান্নার তদারকি করেছেন। শ্রাদ্ধবাসরে ফুলের সজ্জা দেখে অভ্যাগতদের চোখ টেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেউ ঘুণাক্ষরেও তার পটভূমিকায় হরিদেবপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার-করা টাকার পাহাড়কে টের পায়নি। মনে করেছি, ওজনদার মন্ত্রী হলে তো কলাটা-মুলোটা এমনিই চলে আসে। এগুলোও তেমনই হবে। ভুল হয়েছে। খুব ভুল হয়েছে।
গত ১১ বছর ধরে পার্থ রাজ্যের মন্ত্রী। ধাপে ধাপে ‘গ্র্যাজুয়েশন’ হয়েছে তাঁর। একাধিক দফতরের মন্ত্রী হয়েছেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে ‘ডক্টরেট’ হয়েছেন। জুলপিটি ইন্টেলেকচুয়াল-গন্ধী সাদা রেখে মাথার চুলে কলপ পড়েছে। উলোঝুলো ফ্রেঞ্চকাট দাড়িটি যত্নে চর্চিত কেয়ারি-সমৃদ্ধ হয়েছে। দেখলে বোঝা যেত, যাপনে কোথাও একটা যত্ন আর সুখের ছাপ পড়েছে। আমি তখনও দিনগত পাপক্ষয়ের কুম্ভীপাকে লাট খাচ্ছি। যোগাযোগও ক্ষীণ হয়ে এসেছে। ওই মাঝেমধ্যে ফোনে বিশ্রম্ভালাপটুকু ছাড়া।
সম্ভবত সেই কারণেই বুঝতে পারিনি, পার্থর রূপকথার প্রতিটি পাতার ফাঁকের অন্ধকার গাঢ় থেকে গাঢ়তর হচ্ছে। বুঝতে পারিনি, চাপে থাকলে তবেই মানুষ রিপুকে দমন করে। ক্ষমতা পেলে মানুষ এক চোপাটে সেই চাপ সরিয়ে দেয়। আর মুক্তপথে খলবল করে ঢুকে আসে রিপুর অবাধ তাড়না।
সেই তাড়না থেকেই বারুইপুরে বাগানবাড়ি, শান্তিনিকেতনে একাধিক বাড়ি, কলকাতা শহরে একাধিক ফ্ল্যাট, এদিক-ওদিক ‘ঘনিষ্ঠ’ অধ্যাপিকা, তৎসহ অভিনেত্রী বান্ধবীর সঙ্গে বিনোদনক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগ, কাঁথা স্টিচের চওড়া বুনোনওয়ালা পাড়ের মহার্ঘ ধুতি আর লাল পাঞ্জাবির সঙ্গে পায়ের নাগরা জুতো মসমসিয়ে ভিন্টেজ গাড়িতে চড়ে পুজো পরিক্রমা, তাঁর বৈভবের প্রদর্শন (মতান্তরে আস্ফালন), বেশকিছু ক্ষেত্রে দুর্বিনয়ের অভিযোগ এবং কালক্রমে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অভিনেত্রীর বাড়িতে বস্তা বস্তা টাকা।
নিজাম প্যালেসের সেই চিলতে ঘর থেকে ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট— গত ২০ বছরের যাত্রাপথের প্রান্তিক স্টেশন হয়ে দাঁড়াল হাজার হাজার অসহায়, নাচার এবং বিপন্ন তরুণ-তরুণীর চোখের জলে মাখামাখি কাঁচা টাকার পাহাড়!
মনশ্চক্ষে ঘুরে আসতে আসতে অসুস্থ লাগছিল। বালখিল্যের মতো ঝুম হয়ে বসে ভাবছিলাম, একজন একলা মানুষের এত টাকা দরকার হয়? তার পর মনে হল, এর সঙ্গে প্রয়োজনের আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে কি? এই লোভ কি আসলে এক রোগ? এই অর্থগৃধ্নুতা কি আসলে এক সামাজিক ব্যাধি?
শরদিন্দুর ব্যোমকেশ কাহিনি মনে পড়ল— অর্থমনর্থম। মনে হল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনি রূপকথাই বটে। অন্ধকারের রূপকথা। পার্থমনর্থম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy