ভগিনী নিবেদিতার ছ’ফুট দু’ইঞ্চির ব্রোঞ্জের এক মূর্তি বসছে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের উইম্বলডনে। পশ্চিমবঙ্গের সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম থেকে পাঠানো শিল্পী নির্জন দে-র তৈরি মূর্তিটির উন্মোচন হবে পয়লা জুলাই। মূর্তিটি বসানো হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করে, কারণ হিসাব মতো ওই দিকেই পশ্চিমবঙ্গ। বাংলা-বিলেত সম্পর্ক নির্দেশ করতেই এই সিদ্ধান্ত। এই উইম্বলডনেই ১৮৯৫-এর নভেম্বরে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় মার্গারেট এলিজ়াবেথ নোবেল-এর— স্বামীজি তাঁর ‘নিবেদিতা’ নামকরণ করেন। ১৮৯৮ সালে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে কলকাতায় যান নিবেদিতা। ১৮৯৯ সালের জুলাই মাসে স্বামীজির সঙ্গে লন্ডনে আসেন নিবেদিতা। সে বার ২১ হাই স্ট্রিটে তাঁর বাড়িতে কয়েক দিন ছিলেন বিবেকানন্দ। নিবেদিতা লন্ডনে বিবেকানন্দের বেদান্ত আন্দোলনেরপ্রচারে সহায়তা করেন, ১৯০২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই বাড়িটিতেই তিনি বাস করেছেন। ২০১৭ সালে বাড়িটিতে ‘ব্লু প্লাক’ লাগানো হয়।
গানের ভুবন
১৯৮৫ সালের ১৩ জুলাই। বিখ্যাত ব্যান্ড কুইন-এর মূল গায়ক ও গীতিকার ফ্রেডি মার্কিউরি ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রায় ৭২ হাজার শ্রোতার সামনে প্রথম বার গেয়েছিলেন ঐতিহাসিক গান ‘বোহেমিয়ান র্যাপসডি’, যে গানকে এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা রক অপেরা সঙ্গীত ধরা হয়। ব্রিটেনের তৃতীয় বৃহৎ বিক্রি হওয়া গান এটি। প্রকাশ পাওয়ার পরে টানা ৯ সপ্তাহ ব্রিটেনের পয়লা নম্বর গান হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ সালে ফ্রেডি মার্কিউরির মৃত্যুর পরে ফের পাঁচ সপ্তাহ ব্রিটেনের বিখ্যাত গানের তালিকার শীর্ষে ছিল এই গান। ‘বোহেমিয়ান র্যাপসডি’-র নাম ফ্রেডি রাখতে চেয়েছিলেন ‘মঙ্গোলিয়ান র্যাপসডি’। সেই কারণেই হয়তো গানের লিরিকে ‘বিসমিল্লা’ কথাটি রয়েছে। ১৯৭৪ সালে ব্রিটিশ মিডল্যান্ড নামের একটি উড়ান সংস্থার কাগজের ১৫টি পাতা খরচ করে গানটি লিখেছিলেন ফ্রেডি। সেই পাতাগুলিতে দেখা যায়, প্রতিটা লাইন থেকে ‘মঙ্গোলিয়ান’ কথাটা কেটে ‘বোহেমিয়ান’ লিখেছিলেন তিনি। এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরে রক সঙ্গীত জগতে ঝড় বয়ে যায়। ফ্রেডির জীবনীকারেরাও এ সম্পর্কে কিছু জানতেন না। ১৯৭৫ সালে নাইট অ্যাট দ্য অপেরা অ্যালবামের প্রধান গান হিসাবে প্রকাশিত হয় ‘বোহেমিয়ান র্যাপসডি’। ফ্রেডির হাতে লেখা এই গানের খসড়া এ বার সদবি-তে নিলামে উঠছে। ফ্রেডি মার্কিউরির দেড় হাজার ব্যক্তিগত সামগ্রী, যেমন আসবাবপত্র, স্টেজ কস্টিউম এবং অন্য গানের খসড়ার সঙ্গেই নিলাম হবে ‘বোহেমিয়ান র্যাপসডি’র খসড়া। নিলাম ও প্রদর্শনীর নাম— ‘ফ্রেডি মার্কিউরি: আ ওয়ার্ল্ড অব হিজ় ওন’। ফ্রেডির বন্ধু ও উত্তরাধিকারী মেরি অস্টিন নিলামের আয়োজন করেছেন।
ফুলে-ফুলে
ব্রিটেনে গ্রীষ্ম মানেই চেলসি ফ্লাওয়ার শো! তবে এ বছরের ফুলের প্রদর্শনী পরিণয়ের রঙে হয়ে উঠল আরও মধুর। ১১০ বছরের প্রাচীন পুষ্প প্রদর্শনীতে আয়োজিত হল বিবাহ অনুষ্ঠান। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যান পরিকল্পক মনোজ মাল্ডে বিয়ে করলেন তাঁর ৩৩ বছরের সঙ্গী ক্লাইভ গিলমোরকে। গোলাপি ও নীল বিয়ের পোশাক ও সাদা ফুলের মালায় হিন্দু মতে বিয়ে করলেন দু’জন। সেই সঙ্গে ইউনিভার্সাল লাইফ চার্চের যাজক জেমস আলেকজ়ান্ডার স্মিথের আশীর্বাদও নেন দম্পতি। বিবিসির ‘ইয়োর গার্ডেন মেড পারফেক্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠান করেন মনোজ। তাঁর ও ক্লাইভের বিয়েতে এসেছিলেন অন্য উদ্যান পরিকল্পকেরাও।
সচেতন রাজা
বাকিংহাম প্রাসাদের প্রবীণ কর্মচারীরা রাজা তৃতীয় চার্লসের উপর কিঞ্চিৎ ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলেই ধরে নেওয়া যায়। এর কারণ, প্রাসাদের বাইরের একটি সুইমিং পুলের জল গরম রাখার ব্যবস্থাটি বন্ধ করে দিয়েছেন চার্লস। প্রাসাদে বিদ্যুৎ অপচয় কম করা এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। চার্লস সব সময়েই পরিবেশ ও শক্তি সঞ্চয়ের বিষয়ে সচেতন। ব্রিটেনে এখন ক্যালেন্ডারের পাতায় গ্রীষ্মকাল হলেও যথেষ্ট শীত-শীত ভাব রয়েছে। তাতে পুলের জল ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় অনেকেই ফাঁপরে পড়েছেন। রাজপরিবারের কেউ যখন এই পুল ব্যবহার করছেন না, তখন প্রাসাদের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা জলে নামতে পারেন। তবে, জল ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় সেই পথে আর হাঁটছেন না বিশেষ কেউ। বাকিংহাম প্রাসাদের পুলটি ১৯৩৮ সালে তৈরি করেন রাজা ষষ্ঠ জর্জ। রাজকুমারী এলিজ়াবেথ ও মার্গারেটকে সাঁতার শেখানোর জন্যই তৈরি করা হয়েছিল এই পুল। প্রাসাদে থাকাকালীন রাজকুমারী ডায়ানা এই পুলে সাঁতার কাটতেন। প্রিন্স ফিলিপও নিয়মিত সময় কাটাতেন পুলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy