লন্ডনে পর্যটক মাত্রেই বাকিংহাম প্যালেস দেখবেনই। তবে এই প্রাসাদ কিন্তু সব সময়ই এমন চোখ-ধাঁধানো ছিল না। ১৮ বছর বয়সে যখন ভিক্টোরিয়া রানি হয়ে এখানে আসেন, তখন বাড়িটার জানালা ভাঙা, আসবাব বা পর্দা নেই, ইঁদুর দৌড়ে বেড়াচ্ছে। রাজা চতুর্থ জর্জের মৃত্যুর পর সাত বছর ফাঁকা পড়ে ছিল বাড়িটা। ভিক্টোরিয়াই এর ভোল বদলে দেন। ১৮৪০-এ প্রিন্স অ্যালবার্টকে বিয়ের পর এটাই হয়ে ওঠে ওঁদের পারিবারিক ঠিকানা। নতুন করে সাজিয়ে ভিক্টোরিয়া এই প্রাসাদকে করে তোলেন দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্র। এখানেই তাঁর ন’টি সন্তানের বড় হয়ে ওঠা, এখানেই সব রাজকীয় বলনাচ, বাগান-পার্টি, ভোজসভা। ‘থ্রোন রুম’-এর জন্য বিশেষ সিংহাসন তৈরি করান ভিক্টোরিয়া, বিরাট ড্রয়িং রুম, অভ্যর্থনাকক্ষও— সংগ্রহে থাকা অনুপম চিত্রসম্ভার প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন। মহারানির জন্মের দু’শো বছর উদ্যাপন উপলক্ষে চলছে বাকিংহাম প্যালেসের বিবর্তন নিয়ে এক প্রদর্শনী। দেখা যাবে প্রাসাদের বহু পুরনো ছবি। নাচ ভালবাসতেন রানি, ব্রিটিশ ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন তিন-তিনটে গ্র্যান্ড কস্টিউম বলনাচের মধ্য দিয়ে। দর্শকরা দেখবেন প্যালেসের বলরুম, রানির অভিষেক-বেশও। অ্যালবার্টের অসুস্থতার সময় যে বই পড়ে শোনাতেন রানি, আছে সেটাও। একটা পাতায় বুকমার্ক গোঁজা, স্বামীর মৃত্যুর চার দিন আগে ওখান থেকেই শেষ বার পড়েছিলেন রানি।
অতীত: বাকিংহাম প্যালেস, ১৮৪৬ সালে যেমন ছিল
অন্য রকম
সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেস, হ্যারি ও মেগান জানিয়েছেন, দু’টির বেশি সন্তান তাঁরা নেবেন না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই ঘোষণাকে দেখছে উইলিয়াম-কেটের প্রতি ইঙ্গিত হিসেবে, ওঁদের তিনটে ছেলেপুলে কি না! মেগান এ সপ্তাহে শিরোনামে, ‘ভোগ’ পত্রিকার এ বারের অতিথি-সম্পাদক তিনি। প্রচ্ছদমুখ হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন ১৫ জন পথ-দেখানো নারীকে। তাঁদের মধ্যে আছেন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও মায়েদের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা মেয়েরা। মেগান নিজে মিশেল ওবামার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, হ্যারি নিয়েছেন ৮৫ বছর বয়সি প্রাইমেটোলজিস্ট জেন গুডঅল-এর সাক্ষাৎকার। বাকিদের মধ্যে আছেন জলবায়ু নিয়ে কাজ-করা স্কুলছাত্রী গ্রেটা থানবার্গ, লেখিকা চিমামান্দা এনগোজ়ি আদিচি, সোমালীয় বক্সার রামলা আলি, নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন, রূপান্তরকামী অভিনেত্রী লাভের্ন কক্স, আরও দুই অভিনেত্রী জেন ফন্ডা ও সালমা হায়েক। প্রচ্ছদে আছে একটি আয়নাও, সেই স্থানটি পূর্ণ করবেন পাঠক— এমনই ভাবনা মেগানের।
বরিস ও ল্যারি
মার্জার: ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ল্যারি
রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ-শেষে প্রথম বার ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ঢুকেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাঁর কর্মীদের বললেন, রানি তাঁকে এই এই বলেছেন। উত্তরে কর্মীদের বলতে হল, রানি একান্ত সাক্ষাতে বরিসকে কী বলেছেন, সেটা প্রকাশ্যে না বলাটাই নিয়ম। বরিস শুনে বলেছেন, বেশ। এ বার বলুন, আমরা কি এ বাড়িতে একটা কুকুর রাখতে পারি? উত্তরে সকলে সমস্বরে ‘হ্যাঁ!’ ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের পোষা বেড়াল ল্যারির জন্য এ অবশ্য সুখবর নয়। ডেভিড ক্যামেরন ল্যারিকে নিয়ে এসেছিলেন ইঁদুর সামলাতে। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে আসা সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদেরও প্রিয় এই বেড়াল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে দিন বরিসের নাম ঘোষণা হল, সে দিন ল্যারির ছবি ছাপা হয়েছিল— মেঝেতে শুয়ে আছে, মাথা নিচু। বরিস কোনও কুকুর নিয়ে এলে ল্যারির তাঁর সঙ্গে সই পাতানো ছাড়া গতি নেই। বরিসকে অবশ্য বলা হয়েছে— রিট্রিভার, পাগ আর বিগল কুকুররা বেশ বেড়ালবান্ধব।
৩৫ পাউন্ডের কম্বল
গত মাসে এক পোলো ম্যাচে মেগান তাঁর শিশুপুত্র আর্চিকে যে কম্বলে জড়িয়ে রেখেছিলেন, সেটা নাকি ভারতে তৈরি, আর তার শ্রমিকদের মজুরি ঘণ্টাপ্রতি মোটে ৩৭ পেন্স! হালকা সুতি ও ভয়েলের তৈরি ‘এরাওয়ান কটন দোহার’ কম্বলটির দাম ব্রিটেনে ৩৫ পাউন্ড। রাজস্থানে জয়পুরের কাছে বাগরুতে এই কম্বল তৈরি করে ‘নায়িকা’ নামের এক সংস্থা, সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করে তার কর্মীরা মাইনে পান মাত্র ৬০০০ টাকা। অরুণা রেগার নামে ‘নায়িকা’র এক কর্মী কম্বলের দাম শুনে বলেছেন, এ তো আমার দু’সপ্তাহের মাইনে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy