ভগিনী নিবেদিতার মূর্তি উদ্বোধন হতে চলেছে ২৭ জুলাই— ডেভন-এর গ্রেট টোরিংটন-এ তাঁর সমাধিস্থলে। তাঁর জন্মসার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানের অঙ্গ এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা। শিল্পী নির্জন দে-র তৈরি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপহার এই চার ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জমূর্তিটি উদ্বোধন করবেন রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী গিরিশানন্দ। লন্ডনের সিস্টার নিবেদিতা সেলিব্রেশনস কমিটি ও বেদান্ত সেন্টার ইউকে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে ডেভনের অপূর্ব সুন্দর পরিবেশে আধ্যাত্মিক অনুধ্যান শিবিরও। ১৯১১-র অক্টোবরে দার্জিলিঙে প্রয়াত হন নিবেদিতা, সেখানেই শেষকৃত্য হয় তাঁর। ডেভনে পরিবারের লোকেদের কাছে পাঠানো হয়েছিল ভস্মাবশেষ, গ্রেট টোরিংটন সমাধিক্ষেত্রে তা সমাধিস্থ করা হয়। কাছেই হো ইউনাইটেড রিফর্ম চার্চ, নিবেদিতার বাবা স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবল ছিলেন সেখানকার যাজক। মূর্তির নীচে খোদিত, ‘তাঁর গুরু স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণায় তিনি ভারতের কাজে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।’ এক পাশে তাঁকে লেখা কবিতায় বিবেকানন্দের আশীর্বাণী।
লর্ডসে ৮৩
এ বছর লর্ডসে ভারত বিশ্বকাপ পায়নি বটে, তবে অগস্টেই পাবে! শুধু তা হবে বিশ্বকাপের প্রতিরূপ, এই যা। বলিউডের চিত্রপরিচালক কবীর খান আগামী মাসে তাঁর ছবি ‘৮৩’-র শুটিং করবেন সেখানে। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম বিশ্বকাপ জয় নিয়েই এই ছবি। শুটিং হবে লর্ডস মাঠে, বিখ্যাত ‘লং রুম’-এও। এ সপ্তাহে ‘রেকি’ করতে গিয়ে ছবির প্রোডাকশন টিম জানলও অনেক কিছু। লং রুমে একটি দৃশ্যের জন্য পরিচালক কয়েক জন মহিলা এক্সট্রা চেয়েছিলেন। তাঁর জানা ছিল না, এক রানি ছাড়া ১৯৯৯ পর্যন্ত লং রুমে মেয়েদের প্রবেশাধিকারই ছিল না! ছবির জন্য সিঁড়ি থেকে সরাতে হবে মাইক আথারটনের ছবি; লর্ডসের বিখ্যাত মিডিয়া সেন্টার যাতে কোনও শটে দেখা না যায়, খেয়াল রাখতে হবে তাও (১৯৯৯-এ বিশ্বকাপের জন্য তা তৈরি হয়েছিল)। কপিল দেবের চরিত্রে রণবীর সিংহ, বিশ্বকাপ হাতে তুলবেন তিনিই।
নীল-বিতর্ক
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে সহকারী পুলিশ কমিশনার তিনি, অ্যান্টি-টেরর ইউনিটের প্রধানও। দায়িত্ব নেওয়া ইস্তক কোনও বিতর্ক হয়নি নীল বসুকে নিয়ে। এ বার হল। ফাঁস হওয়া কোনও কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশ করা যাবে না— সম্পাদক, প্রকাশক ও মালিকদের এ হেন ‘ওয়ার্নিং’ দিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে বাঙালি পুলিশকর্তা। নীলের দাবি, ওতে ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ ভঙ্গ হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে আমেরিকায় ব্রিটেনের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত কিম ডারোচ-এর ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি প্রকাশিত হওয়ার পরে বিস্তর কূটনৈতিক ঝঞ্ঝাট হয়, ডারোচ পদত্যাগও করেন। এই ঘটনার জেরেই নীলের এই সতর্কবার্তা। টোরি নেতা বরিস জনসন ও জেরেমি হান্ট নীলের প্রবল সমালোচনা করেছেন, ওঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছে। লন্ডনের মেয়র সাদিক খানও বার্তা দিয়েছেন বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে। নীল পরে মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে মুখরক্ষার মতো কিছুটা বলেছেন বটে, তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ‘প্রাইভেট আই’ নামের ব্যঙ্গপত্রিকা প্রকাশ করেছে বিশেষ ‘প্রেস রেগুলেশন কভার’, ছবিতে চারটে বেড়ালছানা সরকার ও বিরোধী দু’পক্ষেরই প্রশংসা করছে— বিনীত ভাবে!
বিস্মৃত এক যুদ্ধ
ফিরে-দেখা: কোহিমা যুদ্ধের স্মারক
মাউন্টব্যাটেনের মতে, কোহিমার যুদ্ধ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কঠিনতম যুদ্ধগুলোর একটা। শিখ, খ্রিস্টান, মুসলমান, হিন্দু, ইহুদি সেনারা ছাড়াও তিনটে আফ্রিকান ইউনিট ও দুটো ব্রিটিশ ইউনিট নিয়ে গঠিত ‘ফোর্টিন্থ আর্মি’ ১৯৪৪-এর এপ্রিলে জাপানিদের পরাস্ত করে কোহিমা যুদ্ধে জয়ী হয়। গ্যারিসন হিল আর ডেপুটি কমিশনারের বাংলোতে হয়েছিল সেই যুদ্ধ। তারই ৭৫ বছর পূর্তিতে এ সপ্তাহে লন্ডনের ন্যাশনাল আর্মি মিউজ়িয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রয়্যাল ব্রিটিশ লিজিয়ন। উপস্থিত ছিলেন হাবিলদার-মেজর রাজিন্দর সিংহ ধাত, যুদ্ধের সময় যিনি ছিলেন এক তরুণ আর্মি স্টোরকিপার। ব্রিটেনে বসবাসকারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া শিখ সেনাদের শেষ জীবিত সদস্য তিনি। ‘আসাম রাইফেলস’-এর ক্যাপ্টেন সি এম উথাইয়া-র (যুদ্ধও করেছিলেন তিনি) লেখা কবিতা ‘দ্য টেনিস কোর্ট হিল’ পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানে। কোহিমা যুদ্ধ নিয়ে বলেন মিউজ়িয়ামের ডিরেক্টর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু বিস্মৃত কোহিমা যুদ্ধের স্মৃতি ফিরে এল জনমানসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy