লকডাউনের মধ্যেই ভিড় গড়িয়ায়।
লকডাউন নিয়ে চারিদিকে পরিচ্ছন্ন থাকার পোস্টার। গেটের বাইরে সাবানও রাখা হয়েছ। তা সত্ত্বেও আবাসনের অনেকেই হাত ধুচ্ছেন না। রোজ সকাল-সন্ধে মোটরসাইকেল চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঢোকার সময় হাত ধোওয়ার বালাই নেই।
নিরাপত্তারক্ষী হাত ধোওয়ার কথা বলতে গেলে বলছেন, ‘‘মরলে মরব। হাত ধোব না। আমি বাইরে বেরোলে আপনাদের কী?’’ দয়াকরে আমাদের আবাসনে কাউকে পাঠান, যাতে ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় এবং আমরা নিরাপদে থাকতে পারি।
জয়শ্রী রেসিডেন্সি, বেহালা
লকডাউন চলাকালীন গত ১০ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের ছোট রামচন্দ্রপুরে মাছ ধরতে বাইরে থেকে একদল লোক এসে জড়ো হন।
লকডাউন উপেক্ষা করে বাগনানে বাজার-দোকানে ভালই ভিড় জমছে।
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন চলছে গোটা দেশে। চন্দ্রকোণা ১ নং ব্লকের মাংরুল ৩ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পুড়শুড়ি গ্রামটিতে বরাবরই উল্টো ছবি। প্রশাসন সতর্কতা জারি করার পরও কোনও এখানে মানুষের মধ্যে হেলদোল নেই। বাইরে থেকে চায়ের দোকানগুলি বন্ধ। কিন্তু সকাল-বিকাল বাড়ির ভেতর থেকে চা সাপ্লাই দিয়ে চলেছেন দোকানদারেরা। প্রতিদিনই বিকালে একদল লোক হাটতলায় বসে আড্ডা দিচ্ছেন, প্রকাশ্যে ধূমপান করছেন। শনি-মঙ্গলবার হাটে অভূতপূর্ব ভিড়ও হচ্ছে। শুধু এই গ্রামের মানুষই নন, আশেপাশের আরও পাঁচ-ছ’টি গ্রাম থেকে মানুষ এখানে ভিড় জমাচ্ছেন। আমরা প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন।
করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিলির কাজ চলছে। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি এই কাজ করছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। দমদম পার্ক ও ভি আই পি রোডের সংযোগস্থলে একটি ক্লাবে ত্রাণ বিলির সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ কেউই মানলেন না। বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবেই ত্রাণ বিলির নামে পরোক্ষে করোনা সংক্রমণ বিলি করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সঞ্জীব পাল, নাগেরবাজার
সংবাদমাধ্যমে বার বার সামাজিক দূরত্ব রাখার কথা বলা হলেও, কোথাও তা মানা হচ্ছে না। আমার মতে সপ্তাহে দু’ থেকে তিন দিন বাজার খোলা হোক। আর শুধু দূরত্ব বজায় রাখার কথা বললেই হবে না, যে বা যাঁরা নির্দেশ মানছেন না, তাঁদের জরিমানা বা শাস্তির ব্যবস্থাও করতে হবে। মাস্ক না পরে বাইরে বেরোলেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
অলোক ঘোষ
আমি উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ার বাসিন্দা,করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের পাড়া কতটা সচেতন সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ভারতে লকডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেন। স্কুল-কলেজ, বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখতে বলেন কিছু দিনের জন্য। তার এক-দু’দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী মোদীও সারা ভারত জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন।
কিন্তু আমাদের পাড়ার মানুষের তাতে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই। এঁদের কাছে লকডাউন মানে নিছকই ছুটির দিন। লকডাউনের আগে লোকজন যেমন আড্ডা দিতেন, এখনও তেমনটাই চলছে। বরং বেশ ছুটির মেজাজে আড্ডাটা আরও জমে যাচ্ছে। সকাল-বিকাল আড্ডা দেওয়া একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আগেও আড্ডা চলত, কিন্তু অফিস, ব্যবসা নিয়ে চিন্তাভাবনা ছিল। এখন সেসবের বালাই নেই। তাই সারাদিন ধরে বন্ধুদের পাশে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে গল্প জমে উঠছে। মহিলারাও পিছিয়ে নেই। মোদী -মমতা কী কী নির্দেশ দিয়েছেন, সবই মুখস্থ। সরকারের থেকে সুযোগ সুবিধা কী ভাবে আদায় করা যাবে তা নিয়েও সচেতন। কিন্তু বিধিনিষেধ পালনেই যত আপত্তি। শুধু উত্তর বা দক্ষিণ কলকাতা বলে নয়, ভারতের সব জায়গার মানুষের এখন একই অবস্থা।
রাজ্যে বা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, ভারতে যে আমেরিকা বা ইটালির মত ভয়ানক পরিস্থিতি হবে না, এটা বলা মুশকিল। এর জন্য কিন্তু কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার নয়, অসচেতন, দায়িত্বজ্ঞানহীন নাগরিকই দায়ী থাকবেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy