‘কেব্ল-জঙ্গল সরানোর গতি শ্লথ, ক্ষুব্ধ পুরসভা’ (৬-৪) শীর্ষক সংবাদের প্রেক্ষিতে এই চিঠি। নগর কলকাতায় ঝুলন্ত কেব্ল ও টেলিফোনের তারের জঙ্গল সরানোর কাজের গতিতে সন্তুষ্ট নয় পুরসভা। মাকড়সার জালের মতো শহরে নানা জায়গায় এই কেব্ল তার ঝুলতে দেখা যায়। প্রতি ১৫ দিনে ৩০০ কিলোমিটার এবং আগামী এক বছরে প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার তার সরানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গ্রীষ্মের চড়া রোদ্দুরে কাজের গতি শম্বুক হলেও কাজটি কর্মচারী নিরাপত্তার দিক থেকেও ঝক্কির। এ বার কালবৈশাখীর সঙ্গে ঝড়-বৃষ্টিতে কেব্লের বোঝা সামলাতে অপারেটররা কতটা সফল হবে, সেটাই দেখার। চেনা কলকাতাকে রাতারাতি বদলানো না গেলেও একটি দৃশ্যদূষণের চিত্র তুলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ইতিহাস সমৃদ্ধ মহানগরীর মধ্য কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা হল চৌরঙ্গি, যেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন পেশার মানুষের আসা-যাওয়া। ঐতিহ্যপূর্ণ চৌরঙ্গি হোটেল এবং মেট্রো সিনেমার কাছে রাস্তার ধারে ঝুলন্ত, উন্মুক্ত পাখির বাসার মতো তারের জঞ্জালকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরানোর প্রয়োজন বলে মনে করি। স্বপ্নের শহর গড়তে তারকে মাটির নীচে রাখা হোক। অন্য কোনও বিজ্ঞানসম্মত বিকল্প ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটাও ভেবে দেখার প্রস্তাব রাখছি।
সুব্রত পালশালবনি, বাঁকুড়া
টাকা পাইনি2 গত বছর অগস্টে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের প্রথম দিনে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ নির্ভুল ভাবে আবেদনপত্র জমা দিই। কিন্তু প্রকল্পের টাকা পাইনি। পঞ্চায়েতের নির্দেশে ফের আবেদন করেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় উলুবেড়িয়া-২ বিডিও অফিসে যোগাযোগ করি এবং এ বছর মার্চে অফিসের ভারপ্রাপ্ত কম্পিউটার আধিকারিককে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিই। তবুও আজ পর্যন্ত প্রকল্পের টাকা পাইনি। মুনমুন চক্রবর্তী বাসুদেবপুর, হাওড়া
গেট চাই
শিয়ালদহে ‘যাত্রী-সুবিধার্থে পার্সেল গেট খুলে দেওয়ার প্রস্তাব শিয়ালদহে’ (৪-৫) প্রসঙ্গে এক জন নিত্যযাত্রী হিসেবে কয়েকটি কথা বলা জরুরি মনে করছি। উক্ত ভাবনাটি কার্যকর হলে উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে আসা যাত্রীদের সুবিধা হবে। তবে চোদ্দো নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বার হওয়ার মুখটি প্ল্যাটফর্মের তুলনায় অতি সঙ্কীর্ণ। তার সমাধান প্রয়োজন। এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন উত্তরের গেটটি বন্ধ থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ, মধ্য, উত্তর শাখার যাত্রীদের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড ও মহাত্মা গান্ধী রোডে যাওয়া-আসার একমাত্র ভরসা দক্ষিণ-পশ্চিমের একটিমাত্র পথ। খুব বেশি হলে তার মুখটি ১৫ ফুট চওড়া। সেখানে হকারদের পসরায় পথ চলা বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। সব সময়ই যাতায়াত করতে গিয়ে অন্যদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করা ছাড়া বিকল্প নেই। বিদ্যাপতি সেতুর নীচে বাস্তবিকই যাতায়াতের কোনও পথ নেই। রেলের আওতাভুক্ত অঞ্চলের দায়িত্ব রেলের হওয়ায় কর্তৃপক্ষের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন উত্তরের গেটটি দ্রুত খুলে দেওয়া উচিত। আর, কলকাতা পুরসভার উচিত দশ-বারো লক্ষ দৈনিক যাত্রীর যাতায়াতের সুযোগসুবিধার দিকে নজর দেওয়া।
শ্যামল ঘোষ, কলকাতা-১৩১
রোগীর হয়রানি
ইদানীং ডায়ালিসিস রোগীদের হয়রানি বাড়ছে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কিছু সিদ্ধান্তের জন্য। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আগে কিডনি রোগ সংক্রান্ত প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে মাসে যতগুলি ইনজেকশন মিলত, তা রোগীরা একেবারে নিয়ে যেতেন ও নিয়ম অনুযায়ী এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে ওই ইনজেকশন নিয়ে নিতেন। গত কয়েক মাস হল কর্তৃপক্ষ নিয়ম করেছে, প্রত্যেক রোগীকে প্রতি বার হাসপাতালে এসেই প্রতিটি ইনজেকশন নিতে হবে। মুমূর্ষু রোগীদের পক্ষে এটা খুব কষ্টসাধ্য। শারীরিক অসুবিধা তো বটেই, তা ছাড়াও অধিকাংশেরই আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া, জেনারেল মেডিসিন বিভাগে ১৫০-২০০ জনের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ইনজেকশন নিতে হয়। এঁদের জন্য আলাদা লাইন হয় না। এই বিষয়ে কিডনি কেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাঁকুড়া জেলার সম্পাদকের উদ্যোগে জেলাশাসকের কাছে একটি দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। ৭০-৭৫ জন রোগী এসে দাবি জানিয়েছিলেন। তার পরও কোনও সুরাহা হয়নি। বাইরে থেকে এই ইনজেকশন কেনার ক্ষমতা বেশির ভাগ রোগীরই নেই। আবার নতুন বিল্ডিংয়ে ডায়ালিসিস বিভাগে অক্সিজেন সরবরাহ করার লাইনের সংযোগ এখনও চালু হয়নি। অথচ, এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে যে কোনও সময়ে অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন হতে পারে।
বিদ্যুৎ সীটজগদল্লা, বাঁকুড়া
গোল ওষুধ
গোলাকৃতি ওষুধের গড়ন আমাদের, বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছে বিড়ম্বনার কারণ। এক বার অশক্ত হাত থেকে এই গোল আকারের ওষুধ পড়ে গেলে পুনরায় সেটা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তখন বাধ্য হয়েই আর একটি ওষুধ খেতে হয়। এতে অযথা অর্থের অপচয় হয়। ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কাছে তাই অনুরোধ, অসুস্থ রোগীদের স্বার্থে এই বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে ওষুধ এবং অর্থের অপচয় রোধ করুন।লালচাঁদ মল্লিককলকাতা-৬৬
বিমার ব্যবস্থা 2 কিছু দিন আগে মাত্র আধ ঘণ্টার জল ও ঝড়ে সিউড়ি থানার পলশড়া গ্রামের বোরো ধানের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। পলশড়া গ্রামটা মূলত কৃষিপ্রধান। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে বোরো ধানের চাষ করেছিলেন। বিঘা প্রতি চাষ করতে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছিল সকলের। ধান প্রায় পেকে এসেছিল। কাটার আগেই কালবৈশাখী ঝড়ে ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চাষিরা সর্বস্বান্ত হন। এই ক্ষতি তাঁরা কী ভাবে সামাল দেবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। এলাকার চাষিদের শস্য-বিমা করা আছে। তাই কৃষি দফতরের কাছে অনুরোধ, এই দরিদ্র চাষিরা যাতে শস্য-বিমার টাকা পান, তার দ্রুত ব্যবস্থা করলে সুবিধে হয়।
জগন্নাথ দত্তসিউড়ি, বীরভূম
ঝুঁকির রেলযাত্রা
শেওড়াফুলি জংশনে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস থামে, অথচ এই এক্সপ্রেসের বেশির ভাগ অংশই প্ল্যাটফর্মের বাইরে থেকে যায়। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়। কর্ড লাইনের কামারকুন্ডু জংশনের মতো এখানেও এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দু’বার প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানোর ব্যবস্থা করা হোক।
তাপস দাসসিঙ্গুর, হুগলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy