ঘটনাটি গত শতাব্দীর ষাটের দশকের। খড়্গপুরে ‘ইন্টার রেলওয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট’ খেলতে এসেছিলেন পিকে, অর্থাৎ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বরাবরই রাইট আউট পজিশনে খেলতেন। অনেকেরই মতে, তিনিই এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবল মানচিত্রের শ্রেষ্ঠ রাইট আউট। সে দিন ম্যাচে খেলতে খেলতে দূর থেকে একটা আচমকা শট নিয়েছেন গোল লক্ষ করে। রেফারি সেই সময়টায় গোলপোস্ট থেকে অনেকটা দূরে ছিলেন। তিনি হঠাৎ দেখেন, বলটা নেই। কোথায় গেল? রেফারি বল খুঁজছেন। পিকে তখন দৌড়ে এসে, রেফারিকে গোলের জাল বা ‘নেট’-টা দেখালেন। তিনি স্তম্ভিত হয়ে দেখেন, নেট ছিঁড়ে বল চলে গেছে।
সঞ্জয় চৌধুরী
খড়্গপুর
এতেও মজা?
আজ যখন করোনাভাইরাস নিয়ে সবাই চিন্তিত, তখন বেশ কিছু নেটিজ়েন বিষয়টিকে নিয়ে মজা করছেন, মিম বানাচ্ছেন! এঁরা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মারণ ভাইরাস, ব্রিজ ভেঙে পড়া— সবেতেই মজা খুঁজে পান। এঁদের নিজেদের পরিবারের বা আত্মীয়স্বজনদের কেউ আক্রান্ত হলেও কি এমন নির্মম রসিকতা করতে পারতেন! এঁদের কাছে অনুরোধ, এই শক্তিশালী মাধ্যমটিকে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজে লাগান।
অভিজিৎ ঘোষ
কমলপুর শ্যামনগর, উঃ ২৪ পরগনা
করব পরিহাস
যেটা দেখে ভীষণ ভাল লাগছে, এই চরম দুর্দিনেও বহু মানুষ তাঁদের কৌতুকবোধ হারাননি। এবং আরও অনেক মানুষ প্রকৃত রসিকের মতো, তাঁদের সেই কৌতুকের দাম দিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সর্বত্র কেমন একটা দমবন্ধ অবস্থা। চাপা আতঙ্ক সবার মনে। সেই সময় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুর্দান্ত রসিকতাগুলি অনেকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। অনেকেই সেগুলি শেয়ার করে আরও হাসি সঞ্চারিত করছেন। মানুষ যে শ্রেষ্ঠ জীব, এতেই বোঝা যায়। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও সে হাসতে পারে। মারণ-ব্যাধিকে নিয়েও চূড়ান্ত রসিকতা তৈরি করতে পারে। হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে পরিহাস করতে পারে। তার এই দুর্বিপাকের মুখে তুড়ি মেরে হো-হো হেসে ওঠার ক্ষমতাকে সহস্র কুর্নিশ না করে থাকা যায় না।
বাবলা ভট্টাচার্য
কলকাতা-২৯
কেমন হয়
অনেক সময় আমরা দেখি খবরের কাগজের ভিতরে বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে শ্যাম্পুর পাউচ ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। আগামী কয়েক সপ্তাহ যদি খবরের কাগজের সাথে একটি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের পাউচ বিলি করা হয়, কেমন হয়?
শুভজিৎ বন্দোপাধ্যায়
মহেশতলা
ওঁদের কী হবে
আপাতত বন্ধ আমাদের শনিবারের ক্লাস— ‘এস্থেটিক থেরাপি ইউনিট’। এ বার কোথায় যাবেন এই মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষগুলি? বিশেষত ‘গ্রুপ হোম’-এর একদল ছেলেমেয়ে? এটাই তো তাঁদের বাড়ি। যাঁরা নিজেদেরই চেনেন না, শিশুর চেয়েও অবোধ, কী ভাবে সাবধান হবেন তাঁরা? দল বেঁধে থাকেন, দল বেঁধে খান, দল বেঁধে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন ক্লাসে। ‘কেয়ার গিভার’দের সজাগ তদারকিতেই ঘড়ি ধরে যাঁদের জীবনে বাঁচা আর অবসাদ-মুক্তি, তাঁদের দিনাতিপাতে ‘আইসোলেশন’ তো এক মর্মান্তিক পরিস্থিতি।
আর এখানকার অফিসকর্মী, মালি, রাঁধুনি, সাফাইকর্মী, ডাক্তার, সোশ্যাল ওয়ার্কার, অ্যাম্বুলেন্স চালক— বিশেষত যাঁরা ওখানেই কোয়ার্টারে থাকেন, তাঁরাই বা হঠাৎ কে কোথায় যাবেন! আর চলে গেলে কী ভাবেই বা চলবে ওই অসহায় রোগীদের!
আউটডোর খোলা রাখতেই হচ্ছে। আবাসিকদের ‘ভিজ়িটর’ আসায় রাশ টানা হয়েছে। কত মজুত করা যাবে ওষুধ খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি? প্রায় ৫০০ মানুষের প্রতি দিন চার বেলার সংস্থান মজুত রাখা কি সোজা কথা? ওই বিশেষ মানুষগুলি ভাগ্যিস ‘পাগল’। তা না হলে তাঁরা সত্যিই দিশেহারা হয়ে যেতেন। শনিবারের ক্লাস ‘কেন হবে না’, সেটাও তো বুঝিয়ে বলা যাবে না। বারে বারে জিজ্ঞেস করে অস্থির করে তুলবেন। আর আমরাও মরে থাকব এক নিরুত্তর বিড়ম্বনার চাপে।
আমরা সুস্থ। আর আমাদের ‘গৃহবন্দি’ থাকার মতো বাড়ি আছে। ওঁরা করুণা আর সেবা নির্ভর। ঘরবাড়ি লোপাট হওয়া, হাসপাতাল-বন্দি। প্রার্থনা ছাড়া আর কী-ই বা করতে পারি?
মন্দার মুখোপাধ্যায়
কলকাতা-৪৫
সুখবরও দিন
শুধুই আতঙ্কের খবর নয়,ভাল খবরটাও পরিবেশন জরুরি।
বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানেই হয়তো মৃত্যুর হাতছানি। কিন্তু অনেক করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষই সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। এই খবরটাও বারে বারে যত্ন সহকারে পরিবেশন হওয়া দরকার। তবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কমবে।
সুমন্ত বিশ্বাস
সুভাষ পল্লি, হুগলি
এগুলোও তো...
করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত কারণে বিমানবন্দরের কথা বার বার উঠে আসছে। কিন্তু ন্যাশনাল হাইওয়ের সড়কপথ দিয়ে এবং নানা দূরপাল্লার ট্রেনের মাধ্যমে ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গের নিয়ত যোগাযোগ আছে। হাওড়া, শিয়ালদহ, সাঁতরাগাছির মত প্রান্তিক স্টেশনে অন্যান্য রাজ্য থেকে বহু মানুষ এসে পৌঁছচ্ছেন প্রতি দিন। কে বলতে পারে এ ভাবেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে না!
শোভন সেন
সাঁতরাগাছি, হাওড়া
প্ল্যাটফর্ম টিকিট
করোনা প্রতিরোধে রেল মন্ত্রক ভারতের বিভিন্ন স্টেশনগুলিতে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম এক ধাক্কায় পাঁচ গুণ বাড়িয়ে দশ টাকা থেকে পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত করেছে। রেল দফতরের যুক্তি, প্রচুর জনসাধারণ যাতে এই সময়ে স্টেশনগুলিতে না আসেন সেই ব্যবস্থা করার জন্য, ভিড় কমানোর জন্য, তাঁরা এই বন্দোবস্ত করেছেন। মানুষ স্টেশনে আসেন কেন? সে কি কেবল ভিড় বাড়ানোর জন্য? কাজের তাগিদে, চিকিৎসার প্রয়োজনে, প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। বহু মানুষ, যাঁরা কাজের তাগিদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে তাঁরা বাড়ি ফিরছেন ও তাঁদের নেওয়ার জন্য তাঁদের প্রিয়জনেরা স্টেশনে আসছেন। আতঙ্কের এই পরিবেশ থেকে মানুষকে সুরাহা দিতে রেলের উচিত ছিল, রেলযাত্রাকে কী ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় তা দেখা। তা না করে, এক ধাক্কায় স্টেশনগুলিতে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়ে মধ্যবিত্তদের উপরে অর্থনৈতিক বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হল!
মঙ্গল কুমার নায়ক
মিত্র কম্পাউন্ড, পশ্চিম মেদিনীপুর
কী করে কিনবেন
প্রচারমাধ্যমগুলিতে বারে বারে বলা হচ্ছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে, যার অত্যন্ত জরুরি উপাদান হল, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ও মাস্ক। ইতিমধ্যে এগুলি বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। যদি বাজারে থাকতও, যাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তাঁরা এইগুলি কিনবেন কী ভাবে? ভারতে তো এঁদের সংখ্যাই বেশি।
কৃষ্ণ গোপাল দাস
কলকাতা-২৬
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy