‘আসুক নাকো গহন রাতি, হোক না অন্ধকার— / হালের কাছে মাঝি আছে, করবে তরী পার।’ না, ভরসা ক্রমে তলানিতে এসে ঠেকছে। কোন মাঝি গহন রাতের অন্ধকার ঠেলে পার করবে, সেই আশায় বুক বাঁধতে কষ্ট হচ্ছে। চারিদিকে ভীতির আবহ। দীপেশ চক্রবর্তীর নিবন্ধ (‘এখন ঠেকিয়ে রাখাই কাজ’, ২১-৩) সর্বনাশটাকে প্রকট করে তুলল।
তাঁর নিবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি প্রবীণ নাগরিক। অধ্যাপক। ওই দেশের যে চালচিত্র ফুটে উঠেছে তাঁর কলমে, তা পাঠে আমাদের মতো হতভাগ্য দেশ তথা রাজ্যের অধিবাসী হিসেবে আতঙ্কের সূচক এক লাফে সর্বোচ্চ সীমায় উত্তীর্ণ হল। প্রবন্ধের সঙ্গে প্রদত্ত নিউ ইয়র্ক শহরের নির্জন নিশ্চল টাইমস স্কোয়ারের ছবি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় একটি উন্নত দেশের অত্যাধুনিক শহরের আতঙ্ক-আবহ।
এই অস্থির সময়ে ওই দেশের নাগরিক সমাজ আবার ভিন্ন রকম ভয়ে শিহরিত হন। লুঠতরাজের আশঙ্কায় তাঁরা বন্দুক কিনে রাখেন। ‘‘রাজনৈতিক নেতারা ভাবছেন যে জাতীয় অর্থনীতি চালু রাখতে ওয়াশিংটনের সরকার প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের হাতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার দান হিসেবে তুলে দেবেন কি না।’’ এবং লেখক বলছেন, এ রকম অবস্থা কত দিন চলবে কেউ জানেন না। ‘‘আশাবাদীরা বলছেন তিন-চার মাস। আবার এমন ভীতিপ্রদ হিসেবও পড়েছি, যা বলছে অন্তত দেড় বছর।’’
এখানেই আমাদের ভাবনা এমন কৃষ্ণগহ্বরে প্রবেশ করে যে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি। ইতিমধ্যেই পাড়ার মুদির দোকানে খদ্দেরদের ভিড় সামলাতে কর্মীরা পাগলপ্রায়। অফিস-কাছারিতে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। বহু সংস্থা, বিশেষত আইটি সেক্টরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু হয়েছে। তার সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে কর্মহীনতার আশঙ্কা। ব্যবসাই যদি না হয়, কেনাকাটাই যদি শূন্য হয়ে যায়, উৎপাদন যদি তলানিতে এসে পড়ে, বাড়বে বেকারত্ব। হাজার হাজার কর্মী কাজ হারাবেন। চাষিরা মাথার চুল ছিঁড়বেন। সরকারই বা কত দূর পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে?
পাশাপাশি এক শ্রেণির ধনী ব্যক্তির বিবেচনাহীনতা বা ডোন্ট-কেয়ার ভাব আমাদের অবাক করে দিয়েছে। তাঁরা বিদেশ থেকে সংক্রমণ বহন করে এনে দিব্যি চষে বেড়িয়েছেন শহর। সচেতন না হলে এই ভাইরাসের বলি হবেন ‘গরিব মানুষ’। মৃতের পাহাড় সাফ করবারও লোক পাওয়া যাবে না তখন। আর গ্লোবাল-পর্যটক, ‘সুবিধাবাদী’ মানুষ কলার তুলে, রোগটা ছড়িয়ে তার পর ঠেলায় পড়ে ভর্তি হবেন হাসপাতালে।
দীপেশবাবু স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন, আমেরিকার ওয়াকিবহাল মানুষেরা এখন প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। আমাদের দেশটা আমেরিকা নয়। এই মুহূর্তে ভীষণ প্রয়োজন সচেতনতা।
ধ্রুবজ্যোতি বাগচী
কলকাতা-১২৫
রাতে তাণ্ডব
আমি আরামবাগ শহরের বাসুদেবপুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দা। এই এলাকায় বেশ কিছু বেসরকারি লজ আছে, যেগুলি বিবাহ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হয়। এগুলিতে অনুষ্ঠান চলাকালীন বিশেষত রাতের দিকে প্রবল শব্দে বাজি ফাটানো হয়। এর ফলে বাচ্চা, বয়স্ক-সহ বেশির ভাগ মানুষের খুবই কষ্ট হয়। অনেক সময় এই তাণ্ডব অনেক রাত অবধি চলে। ঘুমেরও খুব ব্যাঘাত ঘটে।
সঞ্জয় মণ্ডল
আরামবাগ, হুগলি
মোবাইল
করোনাভাইরাস সংক্রমণে নিয়মবিধি মেনে যোগাযোগ রক্ষার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হল মোবাইল। আমার বিনীত অনুরোধ, এই পরিস্থিতিতে মোবাইল কোম্পানিগুলি এক মাস বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়ে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করুন।
অর্ধেন্দু সরকার
বেলিয়াতোড়, বাঁকুড়া
অসহায়
আমি তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত অসহায় বিধবা। একাধিক বার আবেদন করেও রেশন কার্ড হয়নি, গীতাঞ্জলি আবাস যোজনায় ঘর হয়নি। বিপিএল/অন্ত্যোদয়ের পরিবর্তে এপিএল। বয়স ষাটের কাছাকাছি। খেটে খেতে চাই, কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে অপারেশনের পর ভাঙা পায়ে ঘরে বসে আছি, সহৃদয় লোক ক্রাচ দিয়েছেন। সব সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত। আমাকে দেখার কেউ নেই। না খেয়ে মারা যেতে পারি।
প্রভাবতী মণ্ডল
মেদিনীপুর শহর
অথচ
২২-৩ তারিখ বিকেল পাঁচটায় আমরা দেখলাম, চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত সকলকে অভিবাদন জানালেন সমগ্র দেশবাসী, কেউ হাততালি দিয়ে, কেউ থালা-চামচ বাজিয়ে, শঙ্খধ্বনি দিয়ে। অথচ খুব দুর্ভাগ্যজনক যে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের ইতিমধ্যেই অনেক ভাড়াটে-বাড়ির মালিক, বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। অনেক ট্যাক্সি ড্রাইভার ডাক্তার ও নার্সদের গাড়িতে তুলতে অস্বীকার করছেন।
আসিফ ইমতিয়াজ মোল্লা
বিপিনপুর, পূর্ব বর্ধমান
টিকার কার্ড
বিক্রম সেনের ‘জনগণনা কিন্তু জরুরি কাজ’ (২০-৩) শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এই চিঠি। লেখক ভারতীয় নাগরিকের তালিকা তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের কার্ডের কথা উল্লেখ করেছেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশে জনগণনার জন্য মা ও নবজাতক শিশুদের সরকারের দেওয়া টিকাকরণের কার্ডটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই কার্ডটি সন্তানসম্ভবা মা’কে দেওয়া হয়, তাঁর এবং গর্ভস্থ সন্তানের সরকারি পরিচর্যার জন্য, পরবর্তী কালে নবজাতকের সরকারি (বিনামূল্যে)টিকাকরণের কাজে ব্যবহার করা হয় ১৬ বছর পর্যন্ত।
পরে এটি ভোটার এবং নাগরিক প্রমাণপত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু কিছু প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং সংযোজন করতে হবে।
এক, এই কার্ডটিকে সারা দেশে একই রকম ভাবে উপস্থাপিত করতে হবে এবং আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে ইংরেজিতে লেখা রাখতে হবে।
দুই, যে সব বেসরকারি সংস্থা এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা ডাক্তারবাবু টাকার বিনিময়ে এই পরিষেবা দিয়ে থাকেন, তাঁদেরকে সরকারি কার্ডটি এবং ‘শিডিউল’ মেনে টিকাকরণ করতে হবে। ‘ঐচ্ছিক টিকাকরণ’-এর ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গোপাল চন্দ্র দাস
ইমেল মারফত
আসল দলিল
৫-৩-১৯৯৭ তারিখে এক সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি বাস্তুজমি রেজিস্ট্রি করাই। আজ ২৩ বছর হল, এখনও আমি আমার ‘অরিজিনাল’ দলিলটি পাইনি। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৯০ বার গিয়েছি। প্রতি বারই বলা হয়েছে, দলিল আসেনি। দলিল নাকি কলকাতা থেকে আসবে।
যত জনকে চিঠি লেখার এ বিষয়ে, লিখেছি। ‘দিদিকে বলো’তে বহু বার ফোন করেছি। আমার বয়স এখন ৬৩। কত বার এই ভাবে দোরে দোরে ঘুরব জমির আসল দলিলের জন্য?
দীপক কুমার চক্রবর্তী
সুষমাপল্লি, খড়্গপুর
জল নষ্ট
বার বার হাত ধোওয়ার ‘সচেতনতা’র ঠেলায়, জল নষ্ট হচ্ছে খুব। এর পর তো ভাইরাস থেকে বাঁচবেন কিন্তু জলকষ্টে মরবেন!
সরলকুমার রায়
কলকাতা-৬৪
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy