গত ডিসেম্বরে পুরীতে যাব বলে ইন্টারনেট ঘেঁটে একটি বেসরকারি হোটেলের তথ্য বার করি। হোটেলের ঘর দেখে পছন্দ হওয়ায় ঘর বুকিং-এর উদ্দেশ্যে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করি। ওরা তা পাঠালে আমিও অবিলম্বে ১৬,০০০ টাকা পাঠিয়ে দিই। সঙ্গে মানি রিসিটের স্ক্রিন শটও পাঠিয়ে রাখি। ওরা আমার টাকার প্রাপ্তি স্বীকার করে। আমি বুকিং কনফার্মেশন চেয়ে ওদের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাই। উত্তরে ওরা ফোনে জানায় যে, ওরা নাকি রিসিট ভাউচার ডাউনলোড করতে পারছে না।
দুরভিসন্ধির গন্ধ পেয়ে আমার ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয় তথ্য-সহ পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য পুনরায় হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠাই। তার উত্তরে ওরা আমাকে ডেবিট কার্ডের নম্বর পাঠাতে বলে। সেই অনুরোধ রক্ষা করিনি।
তার পর থেকে ওরা আমার কোনও ফোন ধরছে না এবং ওই টাকা আমার ব্যাঙ্কে ফেরতও পাঠায়নি। ইন্টারনেট সার্চ করে এখন জানতে পারলাম, হোটেলের নম্বরটি ভুয়ো। অসাধু ব্যবসা চলছে। আসল হোটেলের নম্বর অন্য। তাদের হোটেলের নামে এই অসাধু ব্যবসা চলছে জেনেও সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষ কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা করেনি, সেটাই আশ্চর্যের। অহেতুক তাদের বদনাম হবে জেনেও কেন এমন উদাসীনতা?
পুরীর পুলিশ-প্রশাসনের উচিত এই অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা। পর্যটকদের যাতে কোনও হেনস্থা না হয়, সেটি দেখার কর্তব্য প্রশাসনের।
অরুণ গুপ্ত, কলকাতা-৮৪
মিথ্যে প্রতিশ্রুতি
‘জল ভরতে গিয়ে কাদায় আটক বৃদ্ধ’ (১০-১০) সংবাদ প্রসঙ্গে দু’-একটি কথা বলতে চাই। ধুমধামের সঙ্গে এ বছর সারা দেশে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব উদ্যাপিত হল। তথাকথিত স্বাধীন ভারতবাসী ইতিপূর্বেই জেনে গিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’র গুরুত্ব কতখানি। তার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বাচাকাহানি নামে গ্ৰামের এক বৃদ্ধের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিকটবর্তী কেন নদী থেকে পরিস্রুত পানীয় জল আনতে গিয়ে পাঁকে আটকে পড়া। উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বহু গ্ৰামের মানুষের কাছে এখনও পানীয় জলের জন্য একমাত্র ভরসা সেই সাবেক পুকুর আর নদীর জল। বাচাকাহানি গ্ৰামের জনৈক বৃদ্ধের নদীতে পানীয় জল আনতে গিয়ে চোরাবালিতে আটকে পড়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, দৈনন্দিন ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা-বিশেষ, যা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি আনুকূল্যে ওই গ্ৰামে যে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা চালু আছে, সেই নলকূপ দিয়ে পানের অযোগ্য লবণাক্ত জল পড়ে। বাধ্য হয়ে গ্ৰামবাসীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিকটবর্তী কেন নদী থেকে মিষ্টি পানীয় জল সংগ্ৰহ করেন। শোনা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকারের জলশক্তি মন্ত্রী হামিরপুর এসে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের আওতায় গ্ৰামে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্ৰামাঞ্চলে এখনও পরিস্রুত পানীয় জলের স্থায়ী ব্যবস্থা করা যায়নি, যা লজ্জার। এত বছরেও কেন এই সমস্যার প্রতিকার করা গেল না?
হারান চন্দ্র মণ্ডল, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
স্থানীয় নাম
কলকাতার চতুর্দিকেই মেট্রো রেলের বিস্তার ঘটছে। স্টেশনগুলোর নামকরণের ক্ষেত্রে মনীষীদের নাম বিবেচনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এলাকার নামটিও যেন বিবেচিত হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। সবাই তো আর নিত্যযাত্রী নন। আমার মতো যাঁরা কালেভদ্রে বা মাঝেমধ্যে মেট্রো সফর করেন, তাঁদের খুব অসুবিধা হয়। মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে বেরোলে, টালিগঞ্জ এলাকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, এটা অনুমান করে নেওয়া যায়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এ ভাবে হিসেব মেলে না। এলাকার স্থানীয় নামটি মেট্রো স্টেশনের নামের মধ্যে প্রতিফলিত হওয়া আবশ্যক বলে মনে করি।
অজয় চৌধুরী, কলকাতা-১৩৫
ছোট প্যাকেট
শুরু হয়েছিল শ্যাম্পুর স্যাশে বা ছোট পাউচ প্যাকেট দিয়ে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে গুটখা, পানমশলা, লজেন্স থেকে ভোজ্য তেল, বেবি ফুড প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালির জিনিসপত্র ছোট ছোট প্লাস্টিকের মোড়কে বিক্রি হচ্ছে। কম দামের প্লাস্টিকের মোড়কের জিনিসপত্র ও খাদ্যসামগ্রী সমাজের সব আর্থসামাজিক স্তরের মানুষের কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এখন। সম্প্রতি অনুমোদনহীন সুরাও গ্রামাঞ্চলে কাচের বোতলের পরিবর্তে প্লাস্টিকের প্যাকেটে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। খাদ্যসামগ্রী দীর্ঘ দিন প্লাস্টিকবন্দি থাকা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর, তেমনই অসংখ্য ছোট স্যাশে বা পাউচ যত্রতত্র ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করে। এই সব প্যাকেট সহজে মাটির সঙ্গে মেশে না। পাশাপাশি জলদূষণ, দৃশ্যদূষণ হয়। পরিবেশের স্বার্থে অবিলম্বে এমন ছোট প্যাকেটে পণ্যসামগ্রীর বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত। পরিবর্তে ব্যবহার হওয়া দরকার কাচের বোতল, টিনের কৌটো বা মোটা কাগজের মোড়ক। এগুলো পরিবেশবান্ধব এবং কিছু ক্ষেত্রে পুনর্ব্যবহারের উপযুক্ত। এই বিষয়ে পরিবেশ ও ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কৌশিক চিনা, মুন্সিরহাট, হাওড়া
অসৎ দোকানদার
রেল যাত্রীদের সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার জন্য বড় বড় করে বিজ্ঞাপন দেওয়া আছে প্রায় প্রতিটি স্টেশনেই। সব পরিষেবার সঙ্গে খাবারের দিকটিও রেল প্রশাসন ভেবেছেন বলেই কিছু ঝাঁ-চকচকে দোকান দেখতে পাওয়া যায় স্টেশনে। প্রসঙ্গত, শিয়ালদহ স্টেশনের একটি অন্যায়কে তুলে ধরতে এই চিঠির অবতারণা। আমার পরিচিত কয়েক জনকে স্টেশনে ছাড়তে গিয়েছিলাম। ট্রেন ছাড়ার কিছু ক্ষণ আগে রেলের অনুমোদিত একটি দোকানে জল কিনতে যাই। পাঁচটি জলের বোতলের ২০০ টাকা চান দোকানদার। অথচ, বোতলে লেখা ছিল পনেরো টাকা! অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ৭৫ টাকা হয়। বিল দিতে বললে দোকানদার জানান, জল নিতে হবে না। আরও বলেন যে রেলকে ঘুষ দিয়ে দোকানদারি করতে হয় বলেই এত দাম চাইছেন তিনি। ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গিয়েছিল বলে অগত্যা ওই বর্ধিত দামে জল কিনতে বাধ্য হই। দেখি, আরও কয়েক জনও বর্ধিত মূল্যে জল কিনতে বাধ্য হলেন। কয়েক জন অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে নাম খারাপ হবে রেলেরই। রেল প্রশাসনের কাছে আবেদন, এমন দুর্নীতি বন্ধ করা হোক।
দীপায়ন প্রামাণিক, গড়পাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা
গাছের ক্ষতি
কালীপুজো বা অন্যান্য উৎসবের সময় অবৈজ্ঞানিক ভাবে গাছে ইলেকট্রিক আলো লাগানোর ঘটনা ঘটছে জেলার নানা জায়গায়। কোথাও গাছের গায়ে পিন পুঁতে লাগানো হচ্ছে লাইট, কোথাও ইলেকট্রিক তার জড়িয়ে লাগানো হচ্ছে আলো। গাছের গায়ে একাধিক পেরেক বা পিন পুঁতে লাইট লাগানোর জন্য ক্ষতি হয় গাছের কাণ্ডের, পচন ধরে গাছের ছালে, কমে গাছের আয়ু, থাকে পোকা ধরার সম্ভাবনাও। পাশাপাশি লাইটের সংযোগ থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে। জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত ধাবা ও হোটেলগুলিতে এই ধরনের আলো বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা করার আবেদন করছি।
সন্দীপন সরকার, পাল্লারোড, পূর্ব বর্ধমান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy