Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Alipore Correctional Home

সম্পাদক সমীপেষু: জরুরি হস্তক্ষেপ

হেরিটেজ চিহ্নিত এই জেলে মিউজ়িয়াম করা যায় কি? বা জেলের অল্প জমিতে মিউজ়িয়াম তৈরি করে বাড়তি জমিতে আবাসন তৈরি হবে না তো?

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২২ ০৫:০৪
Share: Save:

সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্ট এক জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হিডকোকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১৮ মে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আলিপুর জেলের ভাঙাভাঙির কাজ করা যাবে না (‘আলিপুর জেল এখন ভাঙতে বারণ হাই কোর্টের’, ১৯-৪)। ওই জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ ওঠে, নতুন নির্মাণের ফলে হেরিটেজ পরিকাঠামোর ক্ষতি হচ্ছে। রাজ্য সরকার বলেছে, হেরিটেজ চরিত্র বদল হবে না। ওই জায়গায় মিউজ়িয়াম ও অন্যান্য নির্মাণ করা হবে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, হেরিটেজ চিহ্নিত এই জেলে মিউজ়িয়াম করা যায় কি? বা জেলের অল্প জমিতে মিউজ়িয়াম তৈরি করে বাড়তি জমিতে আবাসন তৈরি হবে না তো? এই জেল চত্বরের মধ্যেই ঐতিহ্যবাহী বিজি প্রেসের দফতর আছে। সরকার সেটাকে সরিয়ে সরস্বতী প্রেসে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ইদানীং কালে কলকাতা ও জেলায় বড় বড় সরকারি জমিতে আবাসন ও বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করার ব্যাপারে সরকারের উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। যেমন, হাওড়া জেলার ফুসফুস ডুমুরজলায় সবুজ ধ্বংস করে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে খেলার মাঠ ধ্বংস করে স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। আবার হাওড়া জেলার গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের পাশে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন তৈরির পরিকল্পনা করেছে হাওড়া জেলা পরিষদ। বেকার, শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে, ছোট-বড় শিল্প, কলকারখানা না করে, আবাসন, বাণিজ্যিক ভবন, স্পোর্টস কমপ্লেক্স করার জন্য সরকারের তৎপরতা সহজেই অনুমেয়। সরকার নিজেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হেরিটেজ চিহ্নিত বাড়ি ও সবুজ ধ্বংস করতে যখন তৎপর, তখন মহামান্য আদালতের হস্তক্ষেপ ভীষণ জরুরি। কলকাতা হাই কোর্ট পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হেরিটেজ চিহ্নিত আলিপুর জেল না ভাঙার নির্দেশ দিয়ে বিচারব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসা বাড়িয়ে দিল।

অপূর্বলাল নস্কর, ভান্ডারদহ, হাওড়া

যানজট যন্ত্রণা

আমি হাওড়ার বি গার্ডেন অঞ্চলের বাসিন্দা। কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত বা বিভিন্ন কাজের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু ব্যবহার করে থাকি। রাত ৯টার পর কলকাতা থেকে হাওড়াগামী ট্রাক, লরি ও ট্রেলারের ভিড়ে সেতুর মাঝখান থেকে টোল ট্যাক্সের জায়গা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট নিত্যদিনের যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক দিন আগে রাতে ফেরার সময় মাঝসেতুতে গাড়িতে আটকে থাকাকালীন সেতু জুড়ে যে অস্বাভাবিক কম্পন হচ্ছিল, তা রীতিমতো আতঙ্কের। সেতুর উপর দিয়ে ভারী গাড়ির যাতায়াত ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সময় রাস্তার দু’পাশ ঘিরে দেওয়া হয় ব্যারিকেড দিয়ে। সেগুলি এখনও রাখা আছে। স্বল্প পরিসরে এত সংখ্যক যানবাহন যাতায়াতের ফলেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোনও দিন বড়সড় বিপর্যয়ও ঘটতে পারে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ভারী গাড়ির যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত না হলে এই সেতু বেশি দিন কর্মক্ষম থাকবে বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শুভ্রা চক্রবর্তী, বি গার্ডেন, হাওড়া

বন্ধ রেলগেট

সাঁতরাগাছি এবং শালিমারের মধ্যে একমাত্র স্টেশন পদ্মপুকুর। এর জন্য যে রেলগেট, সেটি আন্দুল রোড এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যবর্তী। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রায় সব গাড়ি শালিমার থেকে ছাড়ে। এর জন্য গেটটি প্রায় সর্বক্ষণ বন্ধ থাকে। এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন। গেট দেওয়া থাকলে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন। অফিস যাওয়ার সময় টোটো, বাইক, গাড়ি সব নিয়ে জায়গাটা একটা বিভীষিকায় রূপান্তরিত হয়। এ নিয়ে না রেল, না রাজ্য সরকার— কারও মাথাব্যথা নেই। অথচ, ঢিল-ছোড়া দূরত্বে নবান্ন। এ ভাবে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে কেন?

কিশোর চট্টোপাধ্যায়, দানেশ শেখ লেন, হাওড়া

পরিষেবা চাই

আমি দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দা। প্রবীণ এক নাগরিক, লাম্বার স্পন্ডিলোসিসে আক্রান্ত। ১৬ এপ্রিল সন্ধেয় দমদম স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আমাকে বহু প্রবীণ ও নবীনের সঙ্গে হেঁটে পাড়ি দিতে হয় শুধুমাত্র গণপরিবহণের অভাবে। দমদমে অটোর লাইনে সে দিন প্রায় ৩০০ জন অপেক্ষারত যাত্রীর ভিড় ছিল। এমন দুর্দশা আগেও বার কয়েক ঘটেছে। হনুমান মন্দিরের কাছে রাস্তায় ধস ও বাগজোলা খালের উপর অ-সুরক্ষিত সেতুর কারণে পথ সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে ওই পথে বড় গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। তার জন্য নাগেরবাজার থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

দক্ষিণ দমদম পুরসভা মাস দুই আগে পত্রিকায় প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছিল, শীঘ্রই সেতু মেরামতের কাজ শুরু হচ্ছে। এমন ঘোষণার পরেও কিন্তু কার্যত কোনও কাজই হতে দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কি সত্যিই কারও কোনও দায়দায়িত্ব আছে? না কি আমজনতাকে এ ভাবেই কষ্ট সহ্য করে যেতে হবে আরও বহু দিন?

এই পরিপ্রেক্ষিতে দু’টি প্রস্তাব রাখছি। এক, দমদম রুটে যত দিন না পুরোদমে বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে, তত দিন এই রুটের উভয় প্রান্তে প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্যে আলাদা অটো বা টোটোর পরিষেবা চালু করা হোক। এবং দুই, সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা চিন্তা করে অন্তত কিছু অটোকে হনুমান মন্দিরের কাছ থেকে চালু করার ব্যবস্থা করা হোক। তা বিকেল বেলার ক্ষেত্রে না হলেও, সকালে অন্তত অফিস টাইমে চালু থাকুক। আশা করি কর্তৃপক্ষ এই সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবে।

রামেশ্বর দত্ত, কলকাতা-৭৪

পরিবহণ সমস্যা

শহরের বাইরে হরিণঘাটাতে রয়েছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (মাকাউট)। সুন্দর পরিবেশ, প্রশস্ত জায়গা। নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন কল্যাণী। কিন্তু যাতায়ােতর প্রচুর অসুবিধে রয়েছে। কল্যাণী স্টেশনের বাইরে বাস রুট মাত্র একটি। যত ক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীদের দ্বারা বাস বাদুড়-ঝোলা না হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত বাস ছাড়ে না। এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয়ে যায়। এখানে অটো পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। বিপরীত দিক থেকে কল্যাণী স্টেশনে ফেরার সময়ও পোহাতে হয় একই রকম ঝামেলা। বাসের দেখা মেলে না এবং কলেজের সামনে থেকেও অটো পাওয়া যায় না। চলতি অটোতে যদি ভাগ্যক্রমে জায়গা মেলে, তবেই ফেরা সম্ভব হয়।

রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, সকাল সাড়ে ন’টা থেকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত এবং বিকেলে চারটে থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত যদি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ পরিবহণের ব্যবস্থা করা হয়, তা হলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছনোর এবং ফেরার সুবিধা হয়। ভবিষ্যতে অন্য ছাত্রছাত্রীরাও তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পড়ার আগ্রহ দেখাতে পারে।

নারায়ণ বিশ্বাস, কলকাতা-৭৪

জলসঙ্কট

১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমি। পঞ্চায়েত এলাকাতে বাড়ি বাড়ি জলের লাইন সংযোগের কাজ যখন প্রায় হয়ে গিয়েছে, তখন খাস বহরমপুর শহরের বুকে আমাদের এলাকার বাড়িগুলি জলের লাইন সংযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। সম্প্রতি এই কাজ সম্পন্ন করা হলেও চারটি বাড়ি বাদ পড়ে গিয়েছে। তীব্র জলকষ্টের মধ্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।

আর্শাদুর রহমান মণ্ডল, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ

অন্য বিষয়গুলি:

Alipore Correctional Home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE