—ফাইল চিত্র।
‘বিতর্ক এড়াতে পাথর ভোট-প্রচারের দেওয়ালে, অনুমতির সংস্কৃতি অধরাই’ (২৭-৪) শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা বলতে চাই। লোকসভা ভোটের প্রচার চলছে। প্রচারের একটা অংশ দেওয়াল লিখন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ আছে দেওয়ালে লিখতে গেলে বাড়ির মালিকের অনুমতি নিতে হবে। যাঁদের দেওয়ালে প্রচার চালানো হয়েছে, এমন বেশ কয়েক জন পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানলাম, কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি এই ব্যাপারে। কিন্তু এ নিয়ে অভিযোগ কে করবে? জলে থেকে কে আর কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে।
মনে আছে, ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোটে কমিশন দৃশ্য দূষণের কারণে দেওয়াল লিখনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার পর আবার যে কে সে-ই। একটা কাজ করা যেতে পারে— দেওয়াল রং করে ‘দেওয়াল লিখিবেন না, পোস্টার মারিবেন না’ লিখে দেওয়া। কয়েক জন এটা করে সুফলও পেয়েছেন।
যদি আমার দেওয়াল কোনও সংস্থার বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করতে দিলে তার বিনিময়ে অর্থ পাই, তা হলে কোনও রাজনৈতিক দল সেই দেওয়াল ব্যবহার করলে তারা আমাকে অর্থ দেবে না কেন? এই সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হোক। কারণ প্রার্থী তাঁর প্রচারের ব্যানার, পোস্টার, ফ্লেক্স, রং, তুলি— সবই যদি অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করে থাকেন, তা হলে জনগণের বাড়ির দেওয়ালও অর্থের বিনিময়েই ব্যবহার করা হবে না কেন? এখন ডিজিটাল মাধ্যমেও নির্বাচনের প্রচার চলে, এবং তা-ও অর্থের বিনিময়েই হয়। দেওয়াল লিখুন, সে ক্ষেত্রে দেওয়ালের ভাড়া দিন।
অভিজিৎ ঘোষ, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
অরাজকতা
গত কয়েক বছর যাবৎ বিবেকানন্দ পল্লিতে পুজোর সূত্রে, সে দুর্গাপুজোই হোক কিংবা শীতলা, চাঁদার নামে জুলুমবাজি চলছে। কুপনে লিখে রাখা মর্জিমতো অর্থ না দিলেই লোকের বাড়ির পাঁচিল ফেলে দেওয়া অথবা এসি ভেঙে দিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এই নিয়ে থানার দ্বারস্থ হলেও, তারা কোনও রকম ব্যবস্থা করছে না। ফলে এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটছে এবং এলাকাটি অসামাজিক ব্যক্তিদের দ্বারা ভরে উঠছে। বিষয়টির উপর প্রশাসন বিশেষ নজর দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিশেষ ভাবে উপকৃত হন।
সুব্রত কুমার দত্ত, নিমতা, উত্তর ২৪ পরগনা
পরিবেশবান্ধব
আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্য কলকাতা শহর থেকে বাস অত্যধিক মাত্রায় কমে গিয়েছে। এমনিতেই বিবিধ কারণে শহরের অধিকাংশ বাসরুট উঠে গিয়েছে বা যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহণ এবং পরিবেশবান্ধব যান হল ট্রাম, যেটিকে পরিবেশ দূষণের কারণে বন্ধ করা বা ভোটের কারণে তুলে নেওয়া যায় না। শহরের নানান প্রান্তে ট্রাম লাইনের এমনিতেই চমৎকার নেটওয়ার্ক রয়েছে, যার মাধ্যমে খুব সহজে যাতায়াত করা সম্ভব। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে নানা অছিলায় অধিকাংশ ট্রামরুট বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
গণপরিবহণ কমে যাওয়ার ফলে মানুষ বাধ্য হচ্ছেন বাইক-ক্যাব-অটো-নিজস্ব গাড়ি অত্যধিক পরিমাণে ব্যবহার করতে। এতে এক দিকে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, আবার অন্য দিকে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই অবস্থায় বেশি সংখ্যায় ট্রাম চালানোই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, একটি ট্রাম ১০০-১২০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। তাতে রাস্তায় জীবাশ্ম জ্বালানি-চালিত যানবাহনের সংখ্যা কমত, যানজট হ্রাস পেত, দূষণ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হত।
পরিবহণ দফতরকে অনুরোধ, অবিলম্বে শহরের ট্রামরুটগুলিকে সচল করতে। অনেকগুলো রুট অবিলম্বে চালু করা সম্ভব যে-হেতু সেখানে বৈদ্যুতিক তার এবং লাইন, দুটোই রয়েছে। যেমন, রাজাবাজার-হাওড়া ব্রিজ বা বড়বাজার টার্মিনাস, শ্যামবাজার-হাওড়া ব্রিজ টার্মিনাস, কালীঘাট-বালিগঞ্জ, কালীঘাট-টালিগঞ্জ। আবার কিছু জায়গায় বিদ্যুৎবাহী তার স্থাপন করলেই এই পরিষেবা চালু করা সম্ভব। যেমন, খিদিরপুর-ধর্মতলা, বিধাননগর-হাওড়া ব্রিজ টার্মিনাস।
কিছু বছর আগে বিবাদী বাগ ট্রাম টার্মিনাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেট্রো রেলের কাজের জন্য। বর্তমানে মহাকরণ মেট্রো স্টেশন নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পরেও বিবাদী বাগ-এ ট্রামলাইন পাতার কোনও উদ্যোগ করা হচ্ছে না। এই লাইন পুনরায় স্থাপিত হলে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার নানান প্রান্তে পুনরায় ট্রাম সংযোগ চালু করা সম্ভব।
বিদ্যাপতি সেতুর ক্ষতি হবে এই কারণ দেখিয়ে ট্রাম চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছে, যেখানে ওই সেতুর উপর দিয়ে ভারী ট্রাক, লরি, বাস চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যাপতি সেতুর উপর দিয়ে এক কামরার হালকা ট্রাম চালানো হলে দক্ষিণের গড়িয়াহাটের সঙ্গে উত্তরের বিধাননগর বা হাওড়া ব্রিজ পর্যন্ত ট্রাম পুনরায় চলতে পারে। এমনকি গড়িয়াহাট মোড়ে ট্রামলাইন পুনঃস্থাপন করে বালিগঞ্জ থেকে বিবাদী বাগ বা হাওড়া ব্রিজ টার্মিনাস পর্যন্ত চলে যাওয়া যেতে পারে।
ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-১০৭
দায় কার
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানতে পারি যে, যাঁরা কোভিডের টিকা হিসেবে কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁদের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘থ্রম্বোসিস’ হওয়ার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে, যা এই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা’ স্বীকারও করেছে। অতিমারি থেকে বাঁচতে আমিও এই টিকাই নিই, তিনটে ডোজ়-ই। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে আমার ডান পায়ে হঠাৎ করেই খুব যন্ত্রণা শুরু হয়। হাঁটতে সমস্যা হয়। তার পর ‘কালার ডপলার’ করে জানতে পারি ‘ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস’ হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেন, আমার জীবন সংশয় হতে পারে।
এখনও আমি এই রোগে আক্রান্ত, অনেক বিধিনিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব, জানি না। আমার তিনটে প্রশ্ন ভারত সরকার এবং সর্বোপরি ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার কাছে। এক, টিকাটির যথাযোগ্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা অনুসন্ধান না করে কেন বাজারে আনা হল? দুই, ভারতে একটা বড় সংখ্যক মানুষ এই টিকা নিয়েছেন। তাঁদের দায়িত্ব কে নেবে? তিন, আমাকে এখন যে রকম বাধ্যবাধকতা এবং মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, সেই দায় কি ভারত সরকার নেবে?
শাশ্বত মুখোপাধ্যায়, দমদমা, হুগলি
কাণ্ডজ্ঞানহীন
এক শ্রেণির মানুষ রাস্তাঘাটে সারা ক্ষণ তাঁদের মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে থাকেন আর ফেসবুকে আপলোড করে দেন। স্থান-কাল-পাত্র নিয়ে এঁদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। কিছু দিন আগে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রয়াত সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের ভান্ডারা অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম রামকৃষ্ণ মন্দিরকে পিছনে রেখে এক শ্রেণির কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষ সমানে ছবি তুলে যাচ্ছেন। এই দিনটার মাহাত্ম্য নিয়ে এঁরা ভাবিত নন। অথচ, পাশের বোর্ডে করে লেখা আছে ‘ছবি তোলা নিষেধ’।
অরূপরতন আইচ, কোন্নগর, হুগলি
খুচরো টাকা
ইদানীং ছোটখাটো মুদি, মিষ্টি, রোলের দোকানেও ক্রেতা অনলাইনে দাম দিচ্ছেন। ফলে যাঁরা নগদ টাকা দিয়ে কেনাকাটা করছেন, দোকানদার অতিরিক্ত খুচরো টাকাপয়সা ক্রেতাকে ফেরত দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
অঞ্জন কুমার শেঠ, কলকাতা-১৩৬
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy