দেশের বহু মানুষের আধার কার্ড সংশোধন বা নতুন কার্ড করার প্রয়োজন আছে। যে ক’টি আধার কেন্দ্র খোলা ছিল, সেখানে মানুষের লম্বা লাইন দেখলে, এই প্রয়োজনীয়তা খুব সহজেই বোঝা যায়। নতুন কার্ড করা, নাম-ঠিকানা সংশোধন এবং মোবাইল নম্বর সংযোজন— এই নানা সমস্যা নিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বর্তমানে আবার বিভিন্ন অফিস নথিপত্রে আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক না থাকলে চলবে না। তাই এই অতিমারির সময়েও মানুষ বাধ্য হচ্ছেন লাইন দিতে, দরকারি কাজ আটকে যাওয়ার ভয়ে।
সম্প্রতি একটি পোস্ট অফিসে আমাকে যেতে হয়েছিল আধার কার্ডের সঙ্গে আমার মোবাইল নম্বরটি যোগ করার জন্য। সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, আজ নাম লেখালে ছ’মাস পর আমার ডাক পড়তে পারে। ছ’মাসের আগে কিছু হবে না। তাই হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের উপর দায়িত্ব না দিয়ে আগের মতো সিএসসি (কমন সার্ভিস সেন্টার) গুলিতে বা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প করে এই সংযোজন বা সংশোধন করার ব্যবস্থা চালু করা উচিত। যাতে এই অতিমারির মধ্যে সাধারণ মানুষকে দূরবর্তী কোনও স্থানে সারা দিন লম্বা লাইন দিতে না হয়, ছ’-আট মাস অপেক্ষা করতে না হয়।
মানস ভট্টাচার্য, গোবিন্দপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
বেপরোয়া
কলকাতা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব গ্রাম ও শহরে গেলেই দেখা মিলবে এই মোটরভ্যানের। বাতিল মোটর সাইকেলের সামনের অংশ জুড়ে বানানো মোটরভ্যানের জায়গায় এখন আবার বাজারে এসেছে আধুনিক মোটরভ্যান। তাতে যে কোনও গাড়ির মতো গিয়ার, ক্লাচ, ব্রেকের ব্যবস্থা রয়েছে। কোথাও আবার এই মোটরভ্যানকে এমন আকৃতি দেওয়া হয়েছে, দেখে মনে হবে অটোরিকশা! এগুলি যাত্রী পরিবহণ ছাড়াও পণ্য পরিবহণের কাজে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। বড় রাস্তায় বাস, ট্রাক, ম্যাটাডোর থামিয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করতে আধিকারিকদের দেখা গেলেও পণ্যবোঝাই মোটরভ্যান সগর্বে একরাশ কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার দৃশ্য এখন চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছে।
এই সব ভ্যানচালকদের না আছে ড্রাইভিং লাইসেন্স, না দিতে হয় রোড ট্যাক্স। প্রতিটি গাড়িকে সেফটি টেস্টে পাশ করে বাজারে আসতে হয়। এটাই নিয়ম। এ ছাড়াও তার ফিটনেস, ইনশিয়োরেন্স, পলিউশন, রোড ট্যাক্স-এর মতো বিষয়গুলি যথাযথ পূরণ করার পর রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু মোটরভ্যানের ক্ষেত্রে এ সবের কোনওটিরই প্রয়োজন পড়ে না। ম্যাটাডোর যতটা পণ্য বহন করতে পারে, মোটরভ্যানকেও হামেশাই দেখা যায় সম পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করতে। মোটরভ্যানগুলির ব্রেকিং সিস্টেম এতটাই খারাপ যে, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। তার ওপর শব্দ ও বায়ুদূষণের তীব্রতার জন্য জনজীবন ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়। এর ওপর আছে তীব্র যানজট! ব্যস্ত বাজার অথবা রাস্তার মোড়ে শুধুমাত্র মোটরভ্যানের জন্যই যান চলাচল ব্যাহত হতে দেখা যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা! এ সব সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দফতর সম্পূর্ণ নির্বিকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে মোটরভ্যানগুলি যদি অত্যাবশ্যকীয় হয়, তবে মোটর ভেহিকলসের নির্দেশিত নিয়ম মেনেই চলাচল করুক।
রাজা বাগচি, বলাগড়, হুগলি
জলে পোকা
সম্প্রতি আমার কেনা নামী কোম্পানির পানীয় জলে পোকা ও পোকার লার্ভা দেখতে পাই। জল ব্যবসায়ীকে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন ও পরবর্তী কালে পরিস্রুত জল দেওয়ার আশ্বাস দেন। এক দিকে যখন করোনাতে সারা বিশ্ব কম্পমান, তখন অন্য দিকে দূষিত জল পান করার মাধ্যমে জলবাহিত বিভিন্ন রোগ হওয়ারও সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। বেশ কিছু বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে ব্যাঙের ছাতার মতো লাইসেন্সযুক্ত অথবা বিনা লাইসেন্সেই বহু মানুষ জলের ব্যবসা করছেন। তাঁরা কোথা থেকে জল নিচ্ছেন, কী উপায়ে জল পরিস্রুত করছেন, তা না জেনেই আমার মতো অনেকেই এঁদের কাছ থেকে জল কিনে থাকেন। কিন্তু ইদানীং সংবাদপত্র ও টিভিতে দূষিত পানীয় জলের ঘটনা বার বার দেখা যাচ্ছে, যা প্রমাণ করে প্রশাসনেরও এই বিষয়ে যথেষ্ট নজর নেই।
দীপান্বিতা রায়, ইংরেজবাজার, মালদহ
নিমতলা শ্মশান
গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক নিকট আত্মীয়ের মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিমতলা শ্মশানঘাটে গিয়েছিলাম। ২০১৫ সালের উদ্বোধনের দিন থেকেই আটটি চুল্লি নিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নিমতলা শ্মশানঘাটে মৃতদেহের সৎকার হচ্ছে। সে দিক দিয়ে বলতে হবে নিমতলা শ্মশানঘাট আমাদের কলকাতার গর্ব। শুরু থেকে এই শ্মশানঘাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কলকাতা কর্পোরেশনের মুখ উজ্জ্বল করেছিল এবং বহু প্রশংসাও কুড়িয়েছিল। কর্মীদের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিন্তু ওই দিন দেখলাম, চুল্লির কোলাপসিবল গেটের সামনে, যেখানে চুল্লিতে দেওয়ার আগে ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম করা হয় (মন্ত্রোচ্চারণ, মুখাগ্নি ইত্যাদি), সেখানে যত্রতত্র ধূপকাঠির প্যাকেট, মৃতদেহের সঙ্গে থাকা নোংরা কাপড় পড়ে থাকতে, যা আগের তুলনায় বেশ বেমানান লাগল। অথচ, আগে দেখা যেত মাঝে মাঝেই সংশ্লিষ্ট স্থান পরিষ্কার করা হচ্ছে। বোধ হয় তখন কোনও বেসরকারি এজেন্সি নিযুক্ত ছিল।
অভিযোগ আরও আছে। করোনা অতিমারি পর্বে কলকাতা কর্পোরেশনের গেটের সামনে পরিষ্কার নির্দেশিকা আছে, মৃতদেহের সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি শ্মশানবাসীর প্রবেশ নিষেধ। অথচ, সেখানে প্রত্যেক মৃতদেহের সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন ঢুকে যাচ্ছেন। সরকারের কাছে আন্তরিক আবেদন— মৃতদেহের ধর্মীয় ক্রিয়াকর্মের পর এবং চুল্লিতে মৃতদেহ ঢোকানোর পর সংশ্লিষ্ট জায়গা মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক হোক। আর মৃতদেহের সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি প্রবেশ নিষেধের নির্দেশকে কঠোর ভাবে পালন করা হোক।
পীযূষকান্তি বালা, কলকাতা-৫৫
বর্ধিত ভাড়া
সম্প্রতি ব্যারাকপুর থেকে শ্যামনগর ফিরছিলাম। এখন সামনে এক জন আর পিছনে দু’জনের বর্ধিত অটো ভাড়া ২৫ টাকা করে। মানে পুরো পথের আয় ৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৪ টাকা করে ৫ জনের ৭০ টাকা। কিন্তু ওই দিন পুরো পাঁচ জনকে বসিয়ে সবার থেকে ২৫ টাকা করে চাওয়ার প্রতিবাদ করলে পলতায় আমাকে ১৫ টাকা দিয়ে নেমে যেতে হয়। আবার সেখান থেকে শ্যামনগর যেতে ২০ টাকা দিতেই হল। অর্থাৎ, আরও ১০ টাকা এবং সময়— দুই’ই গেল। চাকরিসূত্রে আমাকে সর্বদাই এ দিক-ও দিক যেতে হয়। এ চিত্র সবখানের। পরিবহণ ব্যবস্থা সামলানোর জন্য কিছু ব্যক্তি তো আছেন, তাঁদের কী বক্তব্য বা অভিজ্ঞতা কে জানে!
সন্দীপ দাস, চন্দননগর, হুগলি
সমস্যা অন্য
রবীন্দ্রনাথ সাহা তাঁর চিঠিতে (‘এ কেমন ব্যবহার?’, ৭-৯) লিখেছেন, দৃষ্টিহীন হিসেবে চেকে টাকা তোলার সমস্যার কথা। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সার্কুলার (৪-৬-২০০৮) অনুসারে, দৃষ্টিহীনদের চেকবই, এটিএম প্রভৃতি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সমস্যা মনে হয় অন্য জায়গায়। ব্যাঙ্কের সিস্টেমে ‘কাস্টমার প্রোফাইল’ আপডেট করা নেই। তাই তিনি শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ‘নিরক্ষর’ বলে দেখানো হচ্ছে।
বাপ্পাদিত্য নাগ, চুঁচুড়া, হুগলি
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy