—প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি অনলাইনে কিছু মুদিখানার সামগ্রী অর্ডার করেছিলাম। সামগ্রীগুলির মধ্যে একটি নামকরা খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থার পাঁচ কিলোগ্রামের আটার প্যাকেটও ছিল। অর্ডার দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই জিনিসগুলির ডেলিভারি পাই। ডেলিভারি পাওয়ার কয়েক দিন পরে আটার প্যাকেট খুলে দেখা গেল পুরো আটাটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে। এর পরে প্যাকেটের গায়ে খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল এমআরপি, ব্যাচ নম্বর, তৈরি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ— কিছুই মুদ্রিত নেই। আমি তৎক্ষণাৎ ই-কমার্স সংস্থাটির কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানাই। তারা আমাকে জানাল যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানানো হয়নি বলে কোনও রকম ক্ষতিপূরণ তারা আমাকে দেবে না। আমি তাদের জানাই যে, ডেলিভারির এক সপ্তাহের মধ্যেই প্যাকেট খোলা হয়েছিল। তার মধ্যেই নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেল? আটার প্যাকেটের ভিতর ও বাইরের দিকের ছবি ওদের পাঠালেও আমার অভিযোগের কোনও রকম গুরুত্বই ওরা দেয়নি। এ ক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হল, অনলাইন সংস্থাটি দাম, ব্যাচ নম্বর, সামগ্রী তৈরি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখবিহীন আটার প্যাকেটটি বাজারজাত করল কী করে? এই অভিযোগের যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তদন্তের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা, উভয়ের বিরুদ্ধেই আইন অনুযায়ী শাস্তিবিধান হওয়া উচিত। প্রয়োজনে উভয়ের অত্যাবশ্যক দ্রব্যসামগ্রীগুলির ক্রয় ও বিক্রয়ের যাবতীয় লাইসেন্স বাতিল হওয়া উচিত। জনগণকে এই সমগ্র বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ভাবে জানানো প্রয়োজন এবং এই সব কোম্পানির থেকে খাদ্যসামগ্রী কেনার আগে সাবধানতাও অবলম্বন করা একান্ত জরুরি। না হলে তাদেরও আমার মতো খেসারত দিতে হবে।
সন্তোষ কুমার দে, হাওড়া
উদ্বেগের সফর
গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সপরিবারে দার্জিলিং ছুঁয়ে সিকিম ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের ফেরার ট্রেন ছিল ২৮ মে শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে বারসই জংশন পর্যন্ত। প্রথমে যোগবাণী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, তার পর রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেসে। কিন্তু ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব স্তব্ধ করে দেয় বহু ট্রেনের গতিপথ। ওই দিন রাতে রেলের তরফ থেকে এসএমএস আসে যে, আমাদের ফেরার যোগবাণী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসটি নির্ধারিত দিনে বাতিল করা হয়েছে। এ জন্য রেলের তরফে দুঃখপ্রকাশও করা হয়। দুশ্চিন্তায় পড়ে তৎক্ষণাৎ আমরা শিলিগুড়ি থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত বাসের টিকিট বুক করে ফেলি, কেননা রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেস রায়গঞ্জ হয়েই বারসই জংশন পৌঁছয়। পরের দিন বিকেলে রেলের তরফে জানানো হয় যে, বাতিল হওয়া যোগবাণী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসটি পুনরায় চলবে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাসের টিকিট বাতিল করি আমরা। ১৪৮ টাকা জন-প্রতি বাসটিকিট বাতিল করে মাত্র ৩৬ টাকা মাথাপিছু ফেরত পাই। দুঃখের বিষয়, ওই দিন রাতে ভারতীয় রেলের তরফে আবার জানানো হয়, নির্ধারিত দিনে যোগবাণী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বাতিল হয়েছে। ফলে, আবার নতুন করে বাসের টিকিট কাটতে হয়। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একই ট্রেন কী ভাবে দু’বার বাতিল হয়? তদুপরি যে দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে আমাদের কাটাতে হয়েছিল এবং অর্থদণ্ডও হয়েছিল, তার দায় রেল কেন নেবে না?
চিন্ময় হরি, নিউ ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
গ্রামে জলকষ্ট
নলহাটি থানার অর্ন্তগত ‘বাণীওড়’ একটি বর্ধিষ্ণু গ্ৰাম। পর পর দু’বছর অনাবৃষ্টির ফলে এই গ্ৰামের জনসাধারণ চরম জলসঙ্কটের সম্মুখীন। গ্ৰামের বেশির ভাগ রাস্তার টিউবওয়েল, পুকুর, এমনকি বাড়ির সাবমার্সিবল পাম্পের ন্যূনতম স্তর শুকিয়ে গিয়েছে। যে পুকুরগুলিতে সামান্য জল আছে, সেগুলিও বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মাত্র গোটাকতক টিউবওয়েলে জল উঠলেও এক বালতি জলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। নির্বাচনের প্রাক্কালে গ্ৰামের রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে জলের পাইপ বসানো হয়েছিল। অর্ধেক বাকি রেখে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সে কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নলহাটি ১ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের প্রচেষ্টায় গ্ৰামে ট্যাঙ্কে করে জল সরবরাহ করা হচ্ছে, জনসংখ্যার তুলনায় যেটি পর্যাপ্ত নয়। গ্রামে কতকগুলি ডিপ সাবমার্সিবল বসানো হলে গ্রামবাসীরা তাঁদের ন্যূনতম পানীয় জল পেতে পারেন। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ত্রিলোক বিহারী মণ্ডল, নলহাটি, বীরভূম
ভুল অর্থ
কয়েক দিন আগে আলিপুর জেল মিউজ়িয়মে গিয়েছিলাম। আগ্রহ ছিল জেলবন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও তাঁদের স্মৃতিবিজড়িত কক্ষগুলো ঘুরে দেখার। পুলিশ দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু ঐতিহাসিক নথি এবং অস্ত্রশস্ত্র দেখা গেল এখানে। কিন্তু, সেই সব সামগ্রীর সঙ্গে যে সব লেখা ছিল, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে অথবা বিষয়টি না বুঝে বঙ্গানুবাদ করা হয়েছে। ফলে ‘প্রোডিউসড বিফোর দ্য কোর্ট’ হয়ে গিয়েছে ‘আদালতের সামনে উৎপাদিত’। রাজ্য সরকারি দফতরে সম্ভবত অনুবাদকের একটি পদ আছে। তাঁদের দিয়ে কি এমন একটি সাধু উদ্যোগকে একটু পরিমার্জিত করা যেত না?
নির্মাল্য চট্টোপাধ্যায়, অশোকনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
ভাতা চালু
গত ২০২১ সালে রাজ্য সরকারের ঘোষণামতো বার্ধক্য ভাতার আবেদন করি। সমস্ত জরুরি প্রমাণপত্র-সমেত দরখাস্তের ফর্ম জমা করি। আমার দরখাস্তটি গৃহীতও হয়। কিন্তু আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরটি ভুল রেকর্ড করার ফলে প্রাপ্য ভাতা আজ তিন বছর পরেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হল না। এ বিষয়ে পূর্ত ভবনের সংশ্লিষ্ট দফতরে বহু বার চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। প্রশাসনকে আবেদন, ভুল তথ্য সংশোধন করে অবিলম্বে আমার ভাতা চালু করার ব্যবস্থা করা হোক।
রাজ কুমার সেন, কলকাতা-১৪
হনুমানের উপদ্রব
হাওড়া জেলার আমতা থানার ভান্ডারগাছা ও ঘোষপুর গ্রামে হনুমানের উপদ্রবে গ্রামবাসীরা ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কয়েক দিন আগে রাস্তার উপরে বসে থাকা হনুমানের দল এক মহিলাকে আক্রমণ করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। আরও কয়েক জন আহত হন। হনুমানের উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে জেলা প্রশাসনকে সত্বর পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানালাম।
অমল চট্টোপাধ্যায়, আমতা, হাওড়া
ব্যাঙ্কে নাজেহাল
দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্থিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক। আগে পাসবই আপডেট করতে ব্যাঙ্কের ভিতরে বন্দোবস্ত ছিল। বেশ কয়েক বছর হল প্রিন্টার মেশিনটা বাইরে একটি ঘরে বসানো হয়। তখন থেকেই সমস্যার শুরু। মাসের বেশির ভাগ সময় যন্ত্রটি কাজ করে না। অভিযোগ করলে কর্মীদের তরফে নির্লিপ্ত উত্তর মেলে ‘খবর দেওয়া হয়েছে’। শত অনুরোধ করলেও ভিতরে আপডেট করে দেওয়া হয় না। আমাদের মতো বৃদ্ধ গ্রাহকদের বারে বারে ব্যাঙ্কে যেতে অসুবিধা হয়। তাই অনুরোধ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা করুন, যাতে আমরা এই হয়রানি থেকে রেহাই পাই।
দেব কুমার ঘোষাল, কলকাতা-৬৫
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy