—প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্ক থেকে বিমা, পরিবহণ থেকে টেলিকম, বাড়ি তৈরি থেকে বিনোদন, বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে অন্যান্য বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উপভোক্তারা প্রতারিত হয়ে থাকলে, তাঁদের এগিয়ে আসার ডাক দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ। সে জন্য উপভোক্তা সুরক্ষা আইন, ২০১৯ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ বলছে— আপনাকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই বিভাগের দায়িত্ব হল উপভোক্তার অধিকার রক্ষা করা। এই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে একটি— উপভোক্তাদের আনা অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির সুবিধা দেওয়া। কিন্তু লক্ষণীয় হল, খুব কম ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীরা আইনজীবী ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে উপভোক্তা সুরক্ষা আইনের সুযোগ নিতে এগিয়ে আসছেন। ফলে প্রতিটি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে আইনজীবীদের ভিড় লেগে থাকছে। এ দিকে মামলার নিষ্পত্তি হতেও বছরের পর বছর গড়িয়ে যাচ্ছে। কলকাতা থেকে জেলা— প্রতিটি উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে একই ছবি। এই কারণে মামলার শুনানি দীর্ঘায়িত হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে সরকারি ছুটি, সেখানকার প্রেসিডেন্ট অথবা কোনও সদস্যের অবসর কিংবা ছুটি নেওয়ার কারণে ‘কোরাম’ না হওয়া। আবার কোরাম হলেও বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট না থাকায় মামলার চূড়ান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইনজীবীদের একাংশের মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন তো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে বেঞ্চ আইনজীবীদের সেই সব অনুরোধ সব ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যানও করতে পারছে না। তবে কমিশনে প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির অন্যতম কারণ শূন্যপদে নিয়োগ না হওয়া। রাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট অবশ্য দেখাচ্ছে, ২০২৩-এর ১১ সেপ্টেম্বর জেলাস্তরে উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে প্রেসিডেন্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সেইমতো বর্তমানে শূন্য থাকা ৮টিতে এবং সম্ভাব্য ১৫টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও শেষ হতে কত দিন লাগবে, আসন্ন লোকসভা ভোটের কাঁটায় তা বিদ্ধ হবে কি না— প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মামলার চূড়ান্ত শুনানির দিন একাধিক বার পিছিয়ে যাওয়ায় বিচারপ্রার্থীরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন। এমনিতেই প্রতারিত হয়ে তাঁরা হয়রানির শিকার। বিচার পেতেও ফের তাঁদের হয়রান হতে হচ্ছে। তাই আমার অনুরোধ, বিষয়টি খতিয়ে দেখে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত পদক্ষেপ করুক। তবেই সুরক্ষা আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব।
ধ্রুব বসু, কলকাতা-১৯
স্বাচ্ছন্দ্য কই
হাওড়া জেটি থেকে লঞ্চ পরিষেবা শুধু হাওড়া কলকাতার সংযোগ মাধ্যমই নয়, এটা কলকাতা এবং হাওড়ার ঐতিহ্যও বটে। কিছু দিন আগে হুগলি নদী জলপথের দৈন্যদশা নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়েছিল, নিত্যযাত্রী হিসাবে মনে করেছিলাম হয়তো সমস্যার সমাধান হবে, লঞ্চ বাড়বে, আগের মতো আর্মেনিয়ান, ফেয়ারলি ১০ মিনিট এবং বাগবাজার রুটে ১৫ মিনিট অন্তর লঞ্চ পাব। গত দু’-তিন বছর যাবৎ বাগবাজার রুটে এই পরিষেবা ছিল ৩০ মিনিট এবং আর্মেনিয়ান রুটে ছিল ২০ মিনিট অন্তর। কিছু দিন আগে দেখলাম ঘটা করে নতুন জেটি উদ্বোধন করলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। পরিষেবা ঠিক না করে নতুন জেটি কী কারণে চালু হল, বোধগম্য হল না। শোভাবাজার ঘাটে জেটি থাকতে নতুন জেটি চালু হল। অথচ, লঞ্চই নেই। এ এক বিচিত্র অবস্থা।
মূল সমস্যার সূত্রপাত সপ্তাহ দুয়েক আগে। কোনও রকম আগাম নোটিস ছাড়াই বাগবাজার রুটের পরিষেবা এক ঘণ্টা অন্তর করা হয়। আগে জেটিতে ঢুকতে টিকিট কাটতে হত না। কিন্তু গত বছর থেকে ঢোকার সময় টিকিট পাঞ্চ করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, এক বার ঢুকে গেলে এক মিনিট দেরি করলেও সেই এক ঘণ্টাই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। বেরিয়ে যেতে গেলে আবার ১০ টাকা জরিমানা দিয়ে বেরোতে হবে। কর্মচারীদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে জোটে দুর্ব্যবহার।তাঁরা বলেন, অফিসে গিয়ে জানান। এ দিকে, সেখানে বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
নিত্যযাত্রী, যাঁরা ট্রেনে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন এবং পর্যটক— সকলের জন্য উত্তর কলকাতায় যোগাযোগের সুলভ ও আরামদায়ক মাধ্যম এই লঞ্চ পরিষেবা। কিন্তু সেই পরিষেবা কি সব সময় ঠিকমতো পাওয়া যায়? নিত্যযাত্রীদের যাত্রাপথের হরেক অসুবিধা সম্পর্কে কি প্রশাসন অবগত নয়? সে ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের কি কোনও দায়িত্ব নেই? জানি না, এত ‘উন্নয়ন’ সত্ত্বেও রাজধানীর বুকে পরিবহণ নিয়ে এত অনুন্নয়ন কেন?
স্বপন চক্রবর্তী, জগৎবল্লভপুর, হাওড়া
প্রতিবন্ধক
রাজ্যের শিক্ষা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর সল্ট লেকের বিকাশ ভবনে। রাজ্যের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনশিক্ষা প্রসার দফতর এবং প্রতিবন্ধী কল্যাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমাজ কল্যাণ দফতরের সচিবালয়ও এই বিকাশ ভবনেই অবস্থিত। ফলে, প্রতি দিন অসংখ্য বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষ এখানে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসেন। মূল গেটের সামনে লিফ্ট দু’টির কোনওটিতেই ‘ভয়েস সিস্টেম’ চালু নেই। ফলে, দৃষ্টিহীন মানুষেরা বুঝতে পারেন না, কোন তলায় লিফ্ট পৌঁছেছে। অথচ, প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষের অধিকার রক্ষা আইন ২০১৬ অনুযায়ী, সহজগম্যতা বাধ্যতামূলক। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অজয় দাস, উলুবেড়িয়া, হাওড়া
দুগ্ধপোষ্যরা কেন
বিভিন্ন সিনেমা এবং টিভি সিরিয়ালে শুধু শিশুই নয়, দুগ্ধপোষ্য শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও এদের বলা হচ্ছে শিশুশিল্পী, কিন্তু এদের অভিনয় করার কিছু থাকে কি? এদের ব্যবহার করে অভিভাবকরা অর্থ রোজগার করছেন। অর্থের বিনিময়ে এই শিশুদের অনেককেই হয়তো বিরুদ্ধ পরিবেশ, তীব্র আলো, উচ্চ শব্দের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। যদিও দর্শক আনন্দ পাচ্ছেন, কিন্তু শিশুদের কষ্ট কি চিন্তার বিষয় নয়? অবিলম্বে এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
সচ্চিদানন্দ সিংহ, পাকুড়, ঝাড়খণ্ড
টিপসের দাবি
হাওড়া শিবপুরে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি করার সময় ডেলিভারি বয়দের অন্যায় ভাবে ২০-৩০ টাকা বেশি চাওয়া একটা নিয়মিত অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আর যদি সিলিন্ডারটিকে বাড়ির দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলে ওঠাতে হয়, তা হলে তো সেই চাহিদা ন্যূনতম ৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। কোনও গ্রাহক, বিলে উল্লিখিত মূল্যের অধিক দিতে অস্বীকার করলে, তাঁকে সঠিক ভাবে গ্যাস সরবরাহ না করার হুমকি দেওয়া হয়। যথাসময়ে গ্যাস না পাওয়ার আতঙ্কে তাই অধিক মূল্য দিতে বাধ্য হন অধিকাংশ গ্রাহক। হাওড়ার সমস্ত গ্যাস ডিলার সব কিছু জেনেও নির্বিকার। ডিলাররা এই ব্যাপারে প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ না করলে, ডেলিভারি বয়দের এই দুর্নীতি রোধ করা প্রায় অসম্ভব।
শান্তনু ঘোষ, শিবপুর, হাওড়া
অস্বাস্থ্যকর
সম্প্রতি সরস্বতী পুজোর সকালে বিজন সেতুর নীচে কসবা বাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেতু-সংলগ্ন রাস্তায় যে আবর্জনা দেখলাম, তাতে মনে হল, অন্তত সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে ভ্যাট পরিষ্কার করা হয়নি। সঙ্গে বিকট দুর্গন্ধ। পুর-কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নয় কি জনগণের সুস্বাস্থ্যের স্বার্থে নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার করা?
তাপস চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা-৩৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy