Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

সম্পাদকীয় সমীপেষু: তখন পুজোর গান

আধুনিক গানের প্রথিতযশা শিল্পীদের সঙ্গে কীর্তনশিল্পী (ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়), লোকশিল্পী (নির্মলেন্দু চৌধুরী), প্যারডি (মিন্টু দাশগুপ্ত) বা কৌতুকনকশা-শিল্পী (ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়) একই সঙ্গে স্বমহিমায় বিরাজ করতেন। কিশোরকুমারের (ছবিতে) ‘আমার পূজার ফুল’, আশা ভোঁসলের ‘কিনে দে রেশমি চুড়ি’ বা উত্তম স্মরণে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি পূজোয় দারুণ হিট হয়েছিল।

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৬
Share: Save:

‘শারদা’ ক্রোড়পত্রে শ্রীকান্ত আচার্যের সুখপাঠ্য লেখাটি (‘কিশোর কুমারের গানে লতাজির সুর’, ২৭-৯) পাঠককে নস্টালজিক করে তোলে। বিনোদনের জগতে ডিজিটাল সভ্যতার অনুপ্রবেশের আগে পুজোর সঙ্গে পুজোর গান অঙ্গাঙ্গি ছিল। আশির দশকের শুরুতে এইচএমভি-র ‘শারদ অর্ঘ্য’ পত্রিকা নিয়ে বাড়িতে কাড়াকাড়ি পড়তে দেখেছি। শিল্পীদের ছবির নীচে রেকর্ডের বিবরণ, গীতিকার, সুরকারের নাম ও গানের কথা ধরা থাকত দুই মলাটের মধ্যে।

আধুনিক গানের প্রথিতযশা শিল্পীদের সঙ্গে কীর্তনশিল্পী (ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়), লোকশিল্পী (নির্মলেন্দু চৌধুরী), প্যারডি (মিন্টু দাশগুপ্ত) বা কৌতুকনকশা-শিল্পী (ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়) একই সঙ্গে স্বমহিমায় বিরাজ করতেন। কিশোরকুমারের (ছবিতে) ‘আমার পূজার ফুল’, আশা ভোঁসলের ‘কিনে দে রেশমি চুড়ি’ বা উত্তম স্মরণে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি পূজোয় দারুণ হিট হয়েছিল।

নব্বইয়ের দশকে ক্যাসেটের যুগেও, পুজোর গান স্বমহিমায় বিরাজ করেছে। জীবনমুখী গানের ডালি নিয়ে সুমন-নচিকেতা-অঞ্জন, বাংলা ব্যান্ডের বেশ কিছু গান, শ্রীকান্ত–ইন্দ্রনীলের গান (বিশেষত রিমেক) পুজোর সময় মণ্ডপে মণ্ডপে বেশ প্রচারিত হয়েছিল। কুমার শানু, অলকা যাজ্ঞিকের গান তো বারে বারে হিট হতই।

পাড়ার মণ্ডপে ‘ভূমি’ ব্যান্ডের বিখ্যাত গান ‘বারান্দায় রোদ্দুর… তোমার দেখা নাই রে’ এত বার বেজেছিল যে, গানের প্রতিটি কথা সকলের মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। শুধু কানে খাটো‌ ঠাকুমা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘কোমর ব্যথা নাই রে আবার কেমন ধারা গান!’’

সরিৎশেখর দাস

ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

প্রধান শিক্ষক


স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে প্রথম প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে দু’টি কাউন্সেলিং মিলিয়ে এ যাবৎ প্রায় দু’হাজারের মতো প্রধান শিক্ষক রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নিযুক্ত হয়েছেন। আরও কিছু জনের কাউন্সেলিং হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের সিংহভাগই প্রথম বারের জন্য নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।

প্রধান শিক্ষকের পদটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাঁকে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, পরিচালন সমিতি, ক্লাসরুম টিচিং-লার্নিং ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিদ্যালয় চালনা করতে হয়। জানতে হয় প্রচুর নিয়মকানুন, হিসাবনিকাশ, বিভিন্ন দফতরের কর্মপদ্ধতি। দক্ষ হতে হয় কম্পিউটার চালনা, সার্ভিস বুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন নথিপত্র তৈরিতে।

ফলে, সব কিছু বুঝে নিতে নতুন এক জন প্রধান শিক্ষকের বেশ কয়েক বছর লেগে যায়। সমস্যায় পড়তে হয় প্রচুর। পরিচিত বর্ষীয়ান প্রধান শিক্ষকদের বার বার জিজ্ঞাসা করে অনেক জিনিস জেনে নিতে হয়। আবার সব সময় যে সেই তথ্যসমূহ ত্রুটিবিহীন, তাও বলা যায় না।
যে হেতু প্রধান শিক্ষকের পদটি যৌথ ভাবে অ্যাকাডেমিক ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এবং স্কুল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ওতপ্রোত, তাই WBCS/ SI/ DI-দের মতো প্রথমেই একটি ইনক্লুসিভ ট্রেনিং প্রয়োজন।

দাড়িভিট কাণ্ডে বিষয় কনভার্শন জনিত গন্ডগোলের পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে (খবরকাগজ, টিভি চ্যানেল) জেনেছিলাম, শিক্ষা দফতর পরিকল্পনা করেছিল, সল্টলেকের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রধান শিক্ষকদের একটি আবাসিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবে। শিক্ষা দফতর সেই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা শিগগিরি করুক, তা হলে নতুন প্রধান শিক্ষকদের খুব উপকার হয়।
প্রণব কুমার মাটিয়া
পাথরপ্রতিমা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

স্টাফ প্যাটার্ন


রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন করে স্টাফ প্যাটার্ন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ‘নরমাল সেকশন’-এ নিযুক্ত শিক্ষকদের ‘সেকেন্ডারি’ এবং ‘আপার প্রাইমারি’ সেকশনে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের জি. ও. বা শিক্ষা দফতরের কোনও সার্কুলার বিদ্যালয়গুলোতে আসেনি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের দেওয়া কিছু মৌখিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষকেরা তৈরি করছেন এই স্টাফ প্যাটার্ন।

প্রথমে এটি অনলাইনে সাবমিট করতে হবে। তার পর হার্ড কপিতে সই করতে হবে প্রতিটি শিক্ষককে। মানে, নরমাল সেকশনে (পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি অবধি) নিযুক্ত শিক্ষকদের আপার প্রাইমারি (পঞ্চম থেকে অষ্টম)-তে পাঠাবে স্কুল, কিন্তু সই করে এই অবনমনে সম্মতি দেবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকই। সম্মতি না দিলে? কিছুই বলা যায় না। আর সব ক্ষেত্রেই যা হয়ে থাকে— স্কুল বা ডিআই অফিস এ ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কোনও লোকসানের জন্য দায়ী থাকবে না। সই করার পর কোনও ক্ষতি হলে? দায়ী থাকার প্রশ্নই নেই, যে হেতু নিজের কবরটা শিক্ষকমশাই নিজের হাতে স্বাক্ষরের মাধ্যমেই খনন করেছেন।পুজোর মুখে নতুন এই স্টাফ প্যাটার্ন ঘিরে বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই উপচে পড়ছে ক্ষোভ। যাঁদের নরমাল সেকশন থেকে আপার প্রাইমারিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের শোনানো হচ্ছে আশ্বাসবাণী, কোনও আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। মৌখিক আশ্বাস, তাও ভায়া প্রধানশিক্ষক। লিখিত প্রতিশ্রুতিই যে যুগে বহু ক্ষেত্রে ধুলোয় গড়াগড়ি খায়, সেখানে এমন ‘ভায়া-মৌখিক’ আশ্বাসের সারবত্তা কতটা? আর আপাতত আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই যদি তর্কের খাতিরে মেনেও নেওয়া হয়, বদলি, পদোন্নতি এই ব্যাপারগুলো বিভাগীকরণের পর আপার প্রাইমারিতে আসা নরমাল সেকশনের শিক্ষকদের সঙ্কুচিত হবে না, এ গ্যারান্টি কোথায়?
নরমাল সেকশনে থাকা শিক্ষকদের এই বিভাগীকরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকে শিক্ষকে বিভাজন আনতে বাধ্য। কী ভাবে স্টাফ প্যাটার্ন তৈরি করা হবে, সে ব্যাপারটা নাকি আবার অনেকটাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের উপর। কোনও প্রধান শিক্ষক এই স্বাধীনতাকে তাঁর ‘শত্রু’ বধের হাতিয়ার করে ফেললে কী ভাবে তা মোকাবিলা করা হবে, সেটাও অস্পষ্ট।

আর সবচেয়ে যেটা অবাক করা ব্যাপার, এমন একটা প্রক্রিয়া তড়িঘড়ি করা হচ্ছে এমন সময়ে, যখন পে-কমিশনের ঘোষণা হয়েছে কিন্তু গেজ়েট বার হয়নি। বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনেই শিক্ষকদের তিনটি ক্যাটিগরিতে বিভাজনের এই প্রক্রিয়া। তা হলে কি এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকার কিছু ছাপ রয়েছে পে-কমিশনের সুপারিশেও? এই মুহূর্তে উত্তর অজানা। কিন্তু আশঙ্কায় অবনমনের মুখে দাঁড়ানো শিক্ষককুল।
শ্রীমন্ত রায়
ইন্দ্রপ্রস্থ, মুর্শিদাবাদ

মাঠে নামা


‘যা হয়নি, তা-ই হচ্ছে’ (১-১০) শীর্ষক নিবন্ধে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল সরাসরি মাঠে নেমে খেলতে চান। এটা চাওয়ার জায়গায় থেমে নেই। কারণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তিনি মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু কথা হল, তাঁকে মাঠে নামতে হয়েছিল কেন? যাঁদের মাঠে নামা দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল, তাঁরা সে সব পালন করলে, তাঁকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হত না। তা ছাড়া, তিনি যেমন রাজ্যপাল তেমনই আচার্য, এটাও তো ঠিক।
মিহির গঙ্গোপাধ্যায়
কোন্নগর, হুগলি

আগে পরে


আগে পুজোর শুরু হত বোধন দিয়ে। এখন শুরু হয় উদ্বোধন দিয়ে।
দেবব্রত সেনগুপ্ত
কোন্নগর, হুগলি

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 201 Puja Music
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy