আমার স্বামী আজ ছ’বছর ধরে জলঙ্গি আইসিডিএস-এ ইউডিসি পদে কর্মরত। উনি বহু বছর ধরে ব্লাড শুগারের রোগী। এর ফলে বর্তমানে স্নায়ু, কিডনি-সহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। আইসিডিএস দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও মুর্শিদাবাদ জেলার প্রশাসনকে বহু দরখাস্ত করেও আজ পর্যন্ত তাঁকে বহরমপুরে বদলি করা যায়নি। তা ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে বদলির দরখাস্ত করেও কোনও ফল হয়নি। কিডনির রোগ থাকার ফলে জলঙ্গিতে কাজ করলেও বর্তমানে উনি জলঙ্গিতে থাকতে পারছেন না। কারণ, চিকিৎসকদের নির্দেশে উনি যে কোনও শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন না। প্রসঙ্গত, কিডনির অসুখের রোগীর শৌচাগার বিশেষ ভাবে তৈরি করতে হয়। বর্তমানে আমার বাড়িতে তা তৈরি করতে হয়েছে। ওঁকে দু’বার কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এ ভর্তি করতে হয়েছে। ওখানকার ডাক্তাররা বলেছেন, রোজ বহরমপুর থেকে জলঙ্গি আপ ডাউন করতে হলে প্রায় শতাধিক কিলোমিটার যাতায়াত করতে হবে, যা ওঁর শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। এতে তাঁর প্রাণহানিও হতে পারে। আজ তিন মাসের বেশি সময় ধরে উনি শয্যাশায়ী। তাই আইসিডিএস দফতর এবং প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আমাদের অবস্থার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আবেদনটি বিবেচনা করা হোক।
জলি রায় চৌধুরী, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
যানজটে হয়রানি
গড়িয়া থেকে কুলপি পর্যন্ত বিস্তৃত রাজ্য সড়ক, কুলপি রোড। এর কিছুটা অংশ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে নামাঙ্কিত। সেই রাস্তায় মেট্রোপলিটন বাইপাসের কামালগাজি সংযোগস্থলের ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে একটি বড় বেসরকারি স্কুল। একটি ব্যস্ততম রাজ্য সড়কের গা-ঘেঁষে স্কুল করার অনুমতি কী ভাবে পাওয়া গেল, সেটা অবশ্যই ভাবনার বিষয়। কেননা ছুটির সময় স্কুলের সামনে ছোট-বড় নানা ধরনের গাড়ি চলাফেরার ফলে ছোট ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা একেবারেই থাকে না। বেলা এগারোটায় স্কুল ছুটির কিছু পরে রাস্তাটি প্রতি দিন দুর্বিষহ যানজটের কবলে পড়ে। একটু বেলায় যাঁরা নানা কাজে বেরোন, তাঁরা গন্তব্যে সময়মতো পৌঁছতে পারেন না। অথচ, বেশ কয়েক জন ট্র্যাফিক পুলিশ, সিভিক পুলিশ এখানে ডিউটিতে থাকেন। যদিও যান নিয়ন্ত্রণে তাঁরা একেবারেই অদক্ষ।
তা ছাড়া, বড় বড় স্কুলবাস স্কুলের সামনে দিয়ে ব্যস্ততম রাস্তায় বেরিয়ে এসে অবস্থা আরও জটিল করে তোলে। অথচ, স্কুলের ঠিক পিছনেই বাইপাসের দক্ষিণ প্রান্ত। ঝাঁ-চকচকে চওড়া রাস্তা। বাসগুলো বাইপাসের এই দক্ষিণ প্রান্তের রাস্তায় বার করে আনলে ভিড় অনায়াসে সামলানো যায়। কিন্তু প্রতি দিনের এই যানজটের সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগই দেখা যায় না স্কুল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের তরফে। জনসাধারণের স্বার্থে এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভাবতে আর প্রশাসনকে নজর দিতে অনুরোধ জানাই।
অসীম দাস, রাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
লজ্জাজনক
দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে এয়ারপোর্ট যাওয়ার দিকে ডানলপ স্টপ থেকে বহু যাত্রী সেক্টর ফাইভ ও অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত করেন। অত উঁচু স্টপ থেকে একে তো ওঠানামা করতে অসুবিধা হয়, তার উপর সন্ধ্যার সময় জায়গাটা অন্ধকার থাকত। প্রায় দু’বছর ওখানকার লাইট পোস্টগুলিতে আলো ছিল না। আমরাও আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিছু দিন হল একটি পোস্টে আলোর ব্যবস্থা হয়েছে। এখন আবার নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে। ডানলপ ব্রিজের নীচের দিকে সবাই প্রস্রাব করতে শুরু করেছেন। ব্রিজের নীচ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রস্রাবের উৎকট গন্ধে গা গুলিয়ে ওঠে। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খুবই লজ্জাজনক।
উৎপল দত্ত, কলকাতা-১৩৬
দ্বিমুখী রাস্তা
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর আলিপুর অঞ্চলে বেশ কিছু রাস্তা একমুখী করা হয়েছিল ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে। এই রাস্তাগুলির মধ্যে সার্ভে বিল্ডিং থেকে চেতলা হাট রোড পর্যন্ত বিস্তৃত গোপালনগর রোডটিও ছিল। মাঝেরহাট ব্রিজ চালু হলে সাময়িক ভাবে চালু সমস্ত একমুখী রাস্তাগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গিয়ে, সেখানে দু’মুখী গাড়ি চলাচল শুরু হয়। শুধু গোপালনগর রোড বাদে। এই রোড একমুখী করে রাখায় অর্ধেক রাস্তা জুড়ে গাড়ির মালিকরা বেআইনি গাড়ি পার্কিং-এর স্থায়ী ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। এতে অবশিষ্ট সঙ্কীর্ণ পথের দুই দিকগামী মোটরবাইক, সাইকেল, গাড়ি চলাচলের ফলে পথচারীদের দুর্ঘটনার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাস্তার ফুটপাতটিও জবরদখল করে নানা ব্যবসাপত্র চলে, ফলে হাঁটার কোনও জায়গা থাকে না। গোপালনগর রোড থেকে একমুখী গাড়ি চলাচল ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাটা গাড়ি চলাচলের জন্য ব্যবহার করা হোক জনস্বার্থে।
সমীচীন সর্বজ্ঞ, কলকাতা-২৭
রাস্তায় জনসভা
কিছু দিন আগে ঘোষপাড়া রোড হয়ে ব্যারাকপুর স্টেশনে যাচ্ছিলাম ট্রেনে চাকদহ যাওয়ার জন্য। অটোয় লালকুঠি ফ্লাইওভার ক্রসিং-এ পৌঁছে দেখি ট্র্যাফিক পুলিশ কোনও গাড়িকে ব্যারাকপুর স্টেশনের দিকে যেতে দিচ্ছে না। কারণ জিজ্ঞাসা করলে উত্তর পাই, স্টেশনের সামনে রাজনৈতিক দলের জনসভা চলছে। তাই ও দিকে গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সঙ্গে ছোট শিশু নিয়ে ট্রেন ধরব বলাতে, এক জন সিভিক পুলিশ অটো ড্রাইভারকে পাশের গলি দিয়ে আমাদের স্টেশনের কাছাকাছি কোথাও নামিয়ে দিতে বলেন, যাতে ওখান থেকে হেঁটে স্টেশন চলে যাওয়া যায়! গলিতে ঢুকে দেখি অটো-টোটোতে গলি পুরো ভর্তি। অগত্যা অটো থেকে মাঝ রাস্তায় নেমে হেঁটে স্টেশন পৌঁছই।
রাজনৈতিক জনসভা অবশ্যই হবে। প্রত্যেক জনসভাতেই সাধারণ মানুষের হয়রানি হয়, সেটাও জানি। তবে স্টেশনে যাওয়ার প্রধান রাস্তা বন্ধ করে জনসভা মেনে নেওয়া যায় না। মনে হয়, রাস্তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত উপরমহলের নয়। এটা নিচুতলার কোনও নেতা ও স্থানীয় পুলিশের যোগসাজশে হয়েছে। ব্যারাকপুর স্টেশনের সামনে এর আগেও অনেক বার অনেক দলের জনসভা দেখেছি, কিন্তু পুলিশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করতে দেখিনি। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এই ধরনের জনসভার জন্য শহরের প্রধান রাস্তা বন্ধ না করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করছি। সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তপন কুমার সরকার, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
প্লাস্টিক বন্ধ
চলতি পর্যটন মরসুম ও আসন্ন নতুন বছরের উৎসবের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের তরফে পিকনিক স্পটগুলিতে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করার বিশেষ উদ্যোগ করা উচিত। গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বড়দিন কিংবা নতুন বছরে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পটে সে ভাবে ভিড় হয়নি। এ বার সেই সব স্থানে ব্যাপক লোকসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের তরফে এখন থেকেই প্রচার করা উচিত যে, পিকনিক স্পটে প্লাস্টিক এবং থার্মোকলের সামগ্রী কারও কাছে পাওয়া গেলে, তা সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং কড়া জরিমানাও করা হবে। প্লাস্টিকের প্যাকেট ও থার্মোকল ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয়। স্থল ও জলের প্রাণীরা সমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এগুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত।
জগন্নাথ দত্ত, সিউড়ি, বীরভূম
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy