‘মৃত্যুদিনের স্মরণ, ব্যস’ (২৯-৫) নিবন্ধ প্রসঙ্গে দু’একটি কথা। ১৯৫৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নেহরু বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লিখছেন, ‘‘উগ্র জাতীয়তাবাদের একটি বিপজ্জনক দিক হল, সংখ্যাগুরুরা মনে করে তারাই সমগ্র জাতি এবং সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তার মধ্যে গ্রাস করে নিতে চায়।’’
১৯৩২ সালের ১৪ ডিসেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় কন্যা ইন্দিরাকে লিখেছেন, ‘‘জাতীয়তাবাদ হয়তো কখনও ভাল, কিন্তু বন্ধু হিসাবে খুব একটা বিশ্বস্ত নয়, ইতিহাস সম্বন্ধে জাতীয়তাবাদ আমাদের অনেক সময় অন্ধ করে রাখে, সত্যকে বিকৃত করে।’’
শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে ১৯৬১ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের শিখতে হবে উদ্ধত জাতীয়তাবাদ থেকে কী ভাবে আমাদের মুক্ত করা যায়।’’
বান্দুং-এ আফ্রিকা এশিয়ার দেশগুলি যে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন করে (১৯৫৫), সেখানে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি রাষ্ট্র চিনকে আমন্ত্রণ করার তীব্র বিরোধিতা করে, কিন্তু নেহরু ছিলেন অনড়।
কিউবা সঙ্কটের সময় (১৯৬১) জওহরলাল যে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান ফিদেল কাস্ত্রো তার ভূয়সী
প্রশংসা করেছেন।
শান্তভানু সেন
শ্রীপল্লি, শান্তিনিকেতন
দুর্দশা
2 কেন্দ্রীয় সরকারের অধিগৃহীত সংস্থার কর্মচারীদের পেনশনের ব্যবস্থা নেই। আমরা যারা সারা ভারতে এই ধরনের সংস্থায় যুক্ত ছিলাম, তাদের অবসরের সময়ে গ্র্যাচুইটির টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়া হত পেনশনের বদলে। তাই বেশির ভাগ কর্মচারী সেই টাকা এমআইএস অথবা অন্যান্য কোনও ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে জমা রেখে যে সুদ পাওয়া যায়, তাতেই সংসার প্রতিপালন করত। এর মধ্যে ছিল ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, চিকিৎসা, বিবাহ, বাড়ি-ঘর বানানো ইত্যাদি। ফলে শেষ সময়ে আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছত, অপরের সাহায্য কিংবা ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া উপায় থাকত না। এর পর ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে সুদের হার প্রায়ই কমানো হচ্ছে, বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। আমাদের অবস্থা আরও অসহায়।
প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-৩১
জল আসে না
2 কোলাঘাট ব্লকের আমলহাণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাবুয়া দোলই পাড়া গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরেই জলের পাইপ, কল বসানো থাকলেও জল আসে না। বাম আমলে এই জলের লাইন বসানো হয় এবং জলও আসত। নতুন সরকার আসার পর জলের গতিবেগ কমতে কমতে, বছর দুয়েক আগে একেবারেই বন্ধ।
সুদীপ চক্রবর্তী
কোলাঘাট, পূর্ব মেদিনীপুর
দূষিত খাল
2 আমরা পর্ণশ্রী ১৩২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমাদের বাস সাগরমাল্লা রোড। এইখানে ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে জিনজিরা বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি খালের পাশে বাস করা মানুষজন দীর্ঘ দিন যাবৎ দুর্গন্ধ এবং দূষণের শিকার। এই খালটিতে পূতিগন্ধময় ময়লা বস্তিবাসীর মলমূত্র, অন্য পাশে পোর্ট কোয়ার্টারের মলমূত্র, তৎসহ ময়লা ফেলা হয়। জায়গাটি আবর্জনা, দূষণ ও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে।
আশিস কুমার দাস
কলকাতা-৬০
ধন্যবাদ
2 সর্বভারতীয় মেডিক্যাল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা ‘নিট’ ছিল গত ৫ মে ২০১৯। আমার পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল বর্ধমান শহর থেকে প্রায় আট কিমি দূরে বেলগ্রামে দিল্লি পাবলিক স্কুলে। গিয়ে দেখি, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছে একটা করে পাসপোর্ট সাইজ ফোটোগ্রাফ চাওয়া হচ্ছে ওএমআর শিটে সাঁটার জন্য। কিন্তু এই ধরনের কোনও ইনস্ট্রাকশন অ্যাডমিটে দেওয়া ছিল না। আমি ও বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থিনী আমাদের ফোটো না থাকার ও অসহায়তার কথা সরাসরি বর্ধমান দিল্লি পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপালকে জানাই। প্রিন্সিপাল ম্যাডাম অত্যন্ত সহৃদয়তা ও তৎপরতার সঙ্গে ফোটোগ্রাফার পাঠিয়ে পরীক্ষা শুরুর মাত্র দশ মিনিট আগে ফোটো তুলিয়ে দিলেন। যার ফলে আমরা সবাই নিট পরীক্ষা দিতে পারলাম। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।
কাজী নাসরিন আখতার
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
৩৩ বাম্প
2 ২০১৮-র দুর্গাপুজোয় বিজয়ার মিছিল সহযোগে প্রতিমা বিসর্জনের সময়, মিছিলটি নৃত্যগীতবাদ্য সহযোগে যখন রাজ্য সড়কের মতো ব্যস্ত রাস্তায় উঠে এসেছিল, একটি চার-চাকার গাড়ির ধাক্কায় সাতটি প্রাণ চলে যায়। অকুস্থল: হুগলির বলাগড় ব্লকের ডুমুরদহ স্টেশনের কাছে।
এর পর ডুমুরদহ থেকে ত্রিবেণীর কালীতলা ব্রিজ পর্যন্ত রাজ্য সড়কের মসৃণ সাত-আট কিলোমিটারের মধ্যে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোথাও সিঙ্গল, কোথাও ডাবল বা মাল্টি হাম্প বা বাম্প বানিয়ে গতিরোধের ব্যবস্থা করা হল। মাত্র সাত-আট কিমির মধ্যে, ৩৩টি হাম্প! কোনও হাম্পেই রোড-মার্ক, সিগন্যাল ইত্যাদির ব্যবস্থা না রাখায়, মানুষজন ও হাজার-হাজার গাড়ির যাতায়াত চরম দুর্দশাগ্রস্ত। অথচ বিকল্প গতিরোধের অনেক রকম ব্যবস্থাই কিন্তু করা যায়। একান্তই যদি ‘হাম্প’ বানাতেই হয়, তারও একটা নির্দিষ্ট মাপ, পদ্ধতি এবং স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টের বিচার-বিশ্লেষণ থাকা উচিত নয় কি?
শিবেশচন্দ্র দাস
জিরাট, হুগলি
অ্যাপ বেঠিক
2 এখন রাজ্য পরিবহণের সমস্ত বাসের খবরাখবর ‘চলো’ অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। ‘চলো’ অ্যাপের মাধ্যমে বাসের টিকিটও কাটা যাচ্ছে এবং তাতে পাঁচ পার্সেন্ট ছাড়ও পাওয়া যাচ্ছে। এ মাসের প্রথমে আমি এসি-৩৭এ বাসে করে গড়িয়া থেকে নিউটাউন যাচ্ছিলাম। অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটতে গিয়ে ‘ট্রানজ়াকশন ফেল’ দেখাল। ফলে আবার নগদ দিয়ে টিকিট কাটতে হল। কিন্তু পরে দেখি আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ৯০ টাকা কেটে নিয়েছে। আমি অভিযোগ জানালাম। ওঁরা বললেন, ব্যাঙ্ক ফেরত দেবে। আমি ব্যাঙ্কের লোক, জানি ব্যাঙ্ক নিলে দু’দিনের মধ্যে ফেরত দেবে। ফেরত না পেয়ে আবার ওঁদের বললাম। ওঁরা বললেন, আমরা সামনে মিটিং ডেকেছি। আপনার টাকাটা ফেরত দেওয়া হবে কি না, ওতে ঠিক হবে। প্রায় এক মাস কেটে গেল, এখনও কোনও খবর পেলাম না। সে দিন ওই বাসে আবার গেলাম। কন্ডাকটর বারণ করলেন অ্যাপে টিকিট কাটতে। অনলাইনে পেমেন্ট করার পরে মোবাইলের ছবিতে কন্ডাকটর স্ক্যান করার পর টিকিট বেরোয়। সেই টিকিট নাকি বেরোচ্ছে না। আর না বেরোলে আপনাকে আবার টিকিট কাটতে হবে। অনেকেই নাকি ভুক্তভোগী। ডিজিটাল ইন্ডিয়া কি শুধুই স্বপ্ন?
রঞ্জন মুখোপাধ্যায়
গড়িয়া, কলকাতা
কচুরিপানা
2 দুর্গাপুরে দামোদর নদ গত ৩-৪ মাস যাবৎ কচুরিপানায় ভরে রয়েছে। ভর্তি হয়ে যাচ্ছে বহু আগাছা, জঙ্গলে, বাড়ছে মাঝের চরা। ফলে ওই জল দ্রুত গতিতে দূষিত হয়ে পড়ছে। একে তো বার্ণপুর, আসানসোল, রানিগঞ্জ, অন্ডাল, দুর্গাপুর ও পানাগড়ের কয়েকশো কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য, কলোনিগুলোর ড্রেনের নোংরা জল ফেলা হচ্ছে দামোদরে। তার উপর কচুরিপানা! এতে ওই জল আর ব্যবহারের উপযোগী থাকছে না। এলাকার ৮-১০টি জল পরিশুদ্ধি প্রকল্পের দ্বারা সামান্য পরিশুদ্ধ করে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ ওই জলই পান করে থাকেন। ফলে এলাকায় জলবাহী রোগে ভোগেন সিংহভাগ মানুষ, পশুরাও।
দুলাল চন্দ্র সরকার
শ্যামপুর মানাচর, পশ্চিম বর্ধমান
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy