মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মালদহ জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশকে বলেছেন, পুলিশের চাকরি ছেড়ে নাটক করুন বা গানের দল করুন , একদম সেফ।
কিন্তু আমরা জানি প্রতিবাদী নাটক করার জন্য সফদার হাশমিকে হত্যা করা হয়েছে। দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ রাজরোষে পড়েছিল। উৎপল দত্তের ‘কল্লোল’ থেকে শুরু করে ব্রাত্য বসুর ‘রুদ্ধ সংগীত’ অবধি, রাজরোষে পড়া নাট্য-তালিকা দীর্ঘ।
আর গানের দল? পিট সিগার থেকে শুরু করে হেমাঙ্গ বিশ্বাস হয়ে কবীর সুমন— কে রাজরোষে পড়েননি? তা ছাড়া নাটক বা গান অত্যন্ত সাধনার বিষয়। ইচ্ছে করলেই সবাই তা পারেন না। গানের শিল্পী এবং নাটকের কলাকুশলীরা এই মন্তব্যে আঘাত পেতে পারেন।
দুর্গাশ্রী বসু রায়
হাওড়া
বিদ্যুতের তার
প্রায় ৫০ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ রাজ্যের বহু গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। তখন মানুষের নিরাপত্তার কারণে ও রাস্তার ধারে গাছপালা রক্ষা করার উদ্দেশ্যে, ফাঁকা জমি বা চাষের জমির মধ্য দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ১১,০০০ ভোল্টের ইলেকট্রিক লাইন টেনেছে। আর ৪৪০ বা ২২০ ভোল্টের লাইন রাস্তার ধার দিয়ে টেনে মানুষের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। সেই লাইনে এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা চলছে। পুরনো ১১,০০০-এর লাইনকে উন্নত না করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি নতুন করে রাস্তার ধার দিয়ে উক্ত লাইন টানছে। পরে পুরো লাইন বাতিল করবে। এর ফলে কয়েকটি সমস্যার সৃষ্টি হবে।
১) ৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক সংযোগকারী রাস্তা জাগুলি থেকে জলেশ্বর পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। নগরউখড়া থেকে জলেশ্বর পর্যন্ত বাকি রয়েছে। আবার হাঁসপুর থেকে নহাটাগামী রাস্তা শীঘ্রই সম্প্রসারণ হবে। মাপজোক হয়ে গিয়েছে। এখন যে ভাবে ইলেকট্রিক পোস্ট বসানো হয়েছে তা উভয় রাস্তা সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টি করবে।
২) এখন রাস্তার উপর দিয়ে বা ধার দিয়ে ৪৪০ ভোল্টের লাইনের চারটি তার ও ১১,০০০ ভোল্টের লাইনের তিনটি তার (কভার নয়) মাকড়সার জালের মতো ঝুলে রয়েছে। ঝড় বৃষ্টি দুর্যোগে বা যে কোনও কারণে বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়লে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৩) রাস্তার ধার দিয়ে ১১,০০০ ভোল্টের লাইনের তার টানতে গিয়ে অসংখ্য গাছের ডাল, চারা গাছ কাটা পড়েছে। এই লাইন চালু হলে কিছু দিন অন্তর গাছগুলির ডাল ছেঁটে ন্যাড়া করে দেওয়া হবে। ফলে কিছু গাছ মারা যাবে। তখন রাস্তার ধারে শোভাবর্ধন করবে গাছ নয়, ইলেকট্রিক পোস্ট ও বিদ্যুৎবাহী তার।
৪) গ্রামে রাস্তার বিভিন্ন গাছপালার মধ্যে ফলের গাছও আছে। সেই সব গাছের ইলেকট্রিক তারের সংস্পর্শে থাকা ডালপালা কেটে ফেললে ও বাকি ডালপালার ফল পাড়তে ও জ্বালানির জন্য শুকনো ডাল কাটতে গেলে, বিপদ হতে পারে।
বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের এক মুহূর্ত চলে না, আবার গাছ না থাকলে আমরা বাঁচব না। তাই বিদ্যুৎ আসুক পরিকল্পনামাফিক পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রেখে— মানুষ ও গাছের ক্ষতি না করে।
গোপীনাথ বিশ্বাস
ঘোঁজা, উত্তর ২৪ পরগনা
অদ্ভুত হিসেব
আমি এক জন ইপিএফ পেনশনার। হিমঘরে কাজ করতাম। গত ১-২-২০০০ সালে অবসর গ্রহণ করি। সে সময় আমি কিছু পেনশন বিক্রি করি, যার মূল্য ছিল ১৫,৩০০ টাকা। তাই আমাকে মূল পেনশন থেকে ১৫৩ টাকা কেটে পেনশন দেওয়া হয়। তখন জেনেছিলাম, ১৫ বছর পেনশন পাওয়ার পর, কেটে নেওয়া টাকাটা মূল পেনশনে আবার যোগ হয়ে, ফুল পেনশন পাব। আমার ডেট অব কমেন্সমেন্ট অব পেনশন ছিল ১-২-১৯৯৮। দীর্ঘ ২০ বছর আমি ১৫৩ টাকা করে কাটিয়ে আসছি। হিসেব যদি ধরি, মোট টাকা কাটা হয়েছে ১৫৩x২০=৩৬৭২০ টাকা। সুদ ধরলেও এত টাকা হবে না। ১৫,৩০০ টাকার জন্য দ্বিগুণের বেশি টাকা কাটা হয়েছে।
প্রকাশ চৌধুরী
গোয়ালতোড়, পশ্চিম মেদিনীপুর
বিমার চক্রান্ত
আজকাল কিছু প্রাইভেট ইনশিয়োরেন্স কোম্পানি কায়দা করে তাদের পলিসি বিক্রি করে। এজেন্টরা বিভিন্ন কোম্পানির নেট সার্চ করেন। যাঁদের পলিসি আছে কিন্তু কিছু কিস্তি দিয়ে প্রিমিয়াম দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, তাঁদের মোবাইল নম্বর জেনে যান। এর পর এই সব পলিসি হোল্ডারদের ফোন করে আলাপ জমান এবং পুরনো পলিসির টাকা উদ্ধার করে দেবেন বলে টোপ দেন। তার জন্য আবার মোটা টাকা দিয়ে নতুন একটা পলিসি করতে বলেন। পরে অল্প দিনের মধ্যে বেশি সুদ দিয়ে একসঙ্গে সব টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রক্রিয়া সাঙ্গ হলে, আবার অন্য অজুহাতে টাকা চান। যত ক্ষণ পর্যন্ত ওই সংসার বিপর্যস্ত না হয়, এই প্রক্রিয়া চলে, এজেন্ট ও কোম্পানির যুগলবন্দিতে।
অয়ন মাইতি
বটতলাচক, পশ্চিম মেদিনীপুর
আন্দুল রোড
টালা ব্রিজের সংস্কারের কারণে এন এইচ-৬ এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর সাঁতরাগাছির দিকে গাড়ির চাপ বেড়েছে স্বাভাবিক ভাবেই। আর তার ফলে বেশ কিছু ট্রেলার/ট্রাক সাঁতরাগাছি সংলগ্ন রাস্তার চাপ কমাতে আন্দুল রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে থেকেই আন্দুল রোডের অবস্থা অতি করুণ। অপরিসর রাস্তা আলমপুর থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু তথা বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড অবধি, যা বাস/মিনিবাস আর অজস্র টোটোর কারণে চলাচলের অযোগ্য। তার ওপর এই ভারী ভারী যান চলাচলের ফলে এক ঘণ্টার পথ যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগছে। যদি মৌরিগ্রাম স্টেশন থেকে একটি রাস্তা সোজা সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যোগ করা যায়, ভাল হবে। বর্তমানে একটি সাইকেল চলাচলের মতো সরু রাস্তা রয়েছে, তা গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করে বানালে, আন্দুল রোডের চাপ ৫০ শতাংশ কমে আর ইন্ডিয়ান অয়েলের ট্যাঙ্কার মৌরিগ্রাম ডিপো থেকে বেরিয়ে আর আন্দুল রোড হয়ে বিদ্যাসাগর সেতু যেতে হয় না।
সৌমেন বসু
আন্দুল, হাওড়া
প্রকল্প বন্ধ
নদিয়া জেলার মুড়াগাছা গ্রামে এমএসডিপি-র আন্ডারে জলপ্রকল্প নির্মিত হয়েছিল, প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে। এটার উদ্বোধন হয়েছিল মার্চ ২০১৯। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দূর করাই এটার মূল লক্ষ্য ছিল। ন্যূনতম জলের মূল্য ছিল ২ টাকা আর ৫ টাকা দিয়ে ২০ লিটার জল পাওয়া যেত। কিন্তু কিছু দিন চলার পরেই এটা বন্ধ করে দেওয়া হল, কারণ ওই পানীয় জলে আর্সেনিক পাওয়া গেল। তার পর থেকে বন্ধ হয়ে আছে। এর ফলে জনগণ পানীয় জলের কষ্টে আছেন, আর জল-ব্যবসায়ীদের রমরমা বাজার। সরকারের আর্সেনিক দূষণ দূরীকরণের যে প্রকল্প আছে, সেটাকে এর সঙ্গে সংযুক্ত করে এটাকে চালু করা হোক, তা হলে এ অঞ্চলের জনগণ জল খেয়ে বাঁচবেন। নইলে পুরো প্রকল্পটাই একেবারে নষ্ট।
রণজিৎ মুখোপাধ্যায়
মুড়াগাছা, নদিয়া
কিউআর কোড
এখন মোবাইলে UTS app-এর মাধ্যমে লোকাল ট্রেনের টিকিট কেটে নেওয়া যায়। আর একটি উপায় হল টিকিট কাউন্টারের পাশে দেওয়ালে লাগানো QR কোড স্ক্যান করে নেওয়া। প্রশ্ন হল, সেই টিকিট কাটতে কাউন্টারের পাশে কেন যেতে হবে? বরং প্ল্যাটফর্ম চত্বরে সর্বত্র QR কোড সেঁটে দেওয়া যায় না?
গোপাল চন্দ্র টিকাদার
কলকাতা-৬৫
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy