Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus Lockdown

নরওয়েতে করোনা নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু দেশের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা ম‌‌নোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।

কিছুটা শঙ্কামুক্ত অসলো।

কিছুটা শঙ্কামুক্ত অসলো।

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৫৪
Share: Save:

কোনও দিন ভাবিনি এমন দিন দেখতে হবে ! চাকরিসূত্রে নরওয়েতে আছি।| মার্চের প্রথম সপ্তাহে এখানে আসি | ভারতে তখনও করোনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়নি | তবে এয়ারপোর্টে মানুষের আতঙ্কের ছবিটা চোখে পড়েছিল। আমি যখন আসি তখনও এখানে লকডাউন শুরু হয়নি| ঠিক এক সপ্তাহ পর, করোনার প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে | প্রথমে অফিসে নোটিস আসে, অল্টারনেট ডে -তে কাজ করার জন্য। কিন্তু তার দু’দিনের মধ্যেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নোটিস এসে যায় | আমরাও নিজেদের ঘরবন্দি করে ফেলি|

নরওয়ের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খুবই উন্নত। লকডাউন হওয়ার পর থেকে মনে মনে ভয় থাকলেও ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠি | লকডাউন শুরুর পর থেকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী এর্না সোলবার্গ কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। সুপারমার্কেট, খাবারের দোকান বাদে সব বন্ধ করে দেওয়া হয় | খাবার নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সপ্তাহে এক দিন বেরিয়ে খাবার কিনে আনি। আর এখানকার লোকজনও যথেষ্ট সচেতন। অনেকেই অনলাইনে খাবার অর্ডার ও করছে| এক মাস হয়ে গেল, ঘর থেকেই অফিসের কাজ চলছে।

মার্চ অবধি লকডাউন কঠোর ছিল। এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে তা শিথিল করা হয়। নরওয়ে সরকার করোনাকে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছে। এখানকার মানুষ খুবই ফিট। সব সময় রাস্তায় সাইকেল চালাচ্ছে, না হয় জগিং করছে| এখানে থাকলেও দেশের খবর রোজই পাচ্ছি, শুনছি, জানছি। এখন এখানকার থেকে দেশের জন্য বেশি ভয় লাগছে| সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখানে ৭ হাজার চারশো ছাড়িয়েছে। মৃত ২০১ | পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে| কিছু দিনের মধ্যে হয়তো ধীরে ধীরে কিন্ডারগার্ডেনগুলো খুলে দেবে| তার পর অফিস, স্কুল ও কলেজ। যদিও প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিয়েই রেখেছেন, দরকার পড়লে আবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যদি না দেশের লোকজন নিয়ম মেনে চলে। আপাতত এখানে দিন বাড়ছে ধীরে ধীরে| রাত ৮ টা অবধি সূর্যের আলো দেখতে পাচ্ছি| পার্ক গুলোতে মানুষ বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে আসছে, খেলছে। আশা করছি, নরওয়ে খুব তাড়াতাড়ি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে|

জানি না আমার দেশের কি অবস্থা হতে চলেছে। সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে! কবে কোথায় গিয়ে যে থামবে কিচ্ছু বুঝতে পারছি না! প্রার্থনা করি সব কিছু যেন দ্রুত আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে |


সুদীপ্ত দে
অসলো, নরওয়ে

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown COVID-19 Letter To The Editor সম্পাদক সমীপেষু Oslo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy