প্রতীকী চিত্র।
চিঠি (এক) দয়া করে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন
আমার নাম স্বপন ভুঁইয়া। কাঁথিতে আমার বাড়ি। মায়ামির কাছে জাহাজে আমি আটকে রয়েছি এই মুহূর্তে। কলকাতার অনেকে আটকে রয়েছে এই জাহাজে। কোম্পানি আমাদের বাড়িতে পাঠাতেই চাইছে। কিন্তু বিমানবন্দর বন্ধ। দয়া করে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।
স্বপন ভুঁইয়া, swapanbhunia2530@gmail.com
চিঠি (দুই) স্বাস্থ্য পরিষেবায় মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার দরকার
রাজ্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা যতই বাড়ছে, ততই দিনে দিনে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর ফলে করোনা-আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন পরিজনরা। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ছুটে বেড়াচ্ছেন সবাই। কারণ কোন হাসপাতালে কত বেড আছে কারওর জানা নেই। করোনা-আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য এক থেকে দু’ঘন্টা লম্বা লাইন দিতে হচ্ছে অথবা ফুটপাতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বেডের আশায়। এই জরুরি পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সমস্ত তথ্য তুলে ধরলে ভাল হয়।
এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হাসপাতালের সংখ্যা ও সমস্ত রকম সুযোগসুবিধার উল্লেখ থাকা দরকার। অর্থাৎ কোন হাসপাতালে কত সংখ্যার বেড আছে এবং কত সংখ্যক খালি বেড আছে, তার উল্লেখ থাকলে ভাল হয়। করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিজনরা সঠিক তথ্য জেনে হাসপাতালে রোগীদের সহজে ভর্তি করতে পারবেন। এর ফলে রোগীদের আর অপেক্ষা করতে হবে না।
প্রভাত কুমার শীট, মেদিনীপুর শহর।
চিঠি (তিন) কাজ নেই, পকেটে টাকা নেই, উদ্ধার করুন
আমার নাম আলম শেখ। আমি পশ্চিমবঙ্গের, কোচবিহারের বাসিন্দা। আমরা বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে এসেছি। এখানে আমরা ৩০ জন রয়েছি। কাজ নেই, পকেটে টাকাও নেই। খুব সমস্যা পড়েছি। এ দিকে ট্রেনও বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, ফিরিয়ে নিয়ে যান এখান থেকে।
আলম শেখ, sekhalam727@gmail.com
চিঠি (চার) সব স্বাভাবিকই ছিল, হঠাৎই আতঙ্কের পরিবেশ ফ্রান্সে
গত মাসে ফ্রান্সে জীবন স্বাভাবিক ছিল। তার পরে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্যারিসের সব চেয়ে বিখ্যাত জাদুঘর ল্যুভর করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ ছিল। ইতালির পরিস্থিতি নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল।আমরা কখনওই ভাবিনি যে আমরাও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো। তার পরে ১২ মার্চ এসেছিলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রোঁ। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেন। প্যারিসের বিখ্যাত সমস্ত পর্যটন স্থানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।পরের দিন ফ্রান্স সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে। আমরা ভারতীয়রা খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমরা দেশে ফিরতে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পরের দিনই ভারত সরকার ইউরোপ থেকে সমস্ত বিমান বাতিল করে দেয়। আমরা বুঝতে পারি পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। সে দিন আমরা শেষ বারের জন্য আমাদের ল্যাবে গিয়েছিলাম। আমরা কখনওই ভাবিনি, যে লকডাউন এত দীর্ঘ হবে। আমরা যদি আমাদের বাড়ির বাইরে যেতে চাই, তবে কেন আমরা বাইরে এসেছি তা উল্লেখ করে একটি ফর্ম নিতে হবে। ফ্রান্সের পরিস্থিতি বেশ মারাত্মক হয়ে উঠল। হাসপাতাল কোভিড রোগীদের ভিড়। লকডাউন ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। দোকানের সস্তা জিনিসগুলো দ্রুত বিক্রি হয়ে গেল। লকডাউন আরও দু’বার বাড়ানো হয়। ইস্টারেও চরম ও দুঃখের আবহাওয়া ছিল প্যারিসে। প্যারিসের বিখ্যাত রাস্তাগুলো খালি। আইফেল টাওয়ার দাঁড়িয়ে আছে, তবে তার সামনে সেলফি তোলার ভিড় নেই। সাইন নদী এই শহরের দুঃখের কথা মনে রাখবে।
অনির্বাণ কুণ্ডু, প্যারিস
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy