Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: গাছের ক্ষতি হচ্ছে

গাছের গায়ে পেরেক সাঁটা বা গাছের কোনও রকম ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে নিজেরা সচেতন হোন। কাউকে গাছের কোনও রকম ক্ষতি করতে দেখলে নিষেধ করুন।

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

গাছের যে প্রাণ আছে সে তো সর্বজনবিদিত। তবুও আমরা ভুলে যাই কেন? বিজ্ঞাপন টাঙানোর জন্য আমরা গাছকেই সহজ মাধ্যম হিসাবে বেছে নিচ্ছি। কোনও বাড়তি হ্যাপা নেই ভেবে, গাছের শক্ত কাণ্ডে পেরেক সেঁটে ঝুলিয়ে দিচ্ছি বিজ্ঞাপন। এক বারও ভাবছি না, এতে গাছের কতটা ক্ষতি হতে পারে। গাছের গায়ে পেরেক সাঁটার ফলে গাছের ওই জায়গা সংক্রামিত হয়ে পচন ধরতে পারে। হয়তো এক সময় গাছটা মরেও যেতে পারে। গাছের গায়ে পেরেক সাঁটা বা গাছের কোনও রকম ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে নিজেরা সচেতন হোন। কাউকে গাছের কোনও রকম ক্ষতি করতে দেখলে নিষেধ করুন। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিন। সঙ্গের ছবিতে দেখুন, সচেতনতার বার্তাটিও গাছে পেরেক সেঁটেই দেওয়া হয়েছে। ছবির স্থান: মহিষরেখা, উলুবেড়িয়া।

জয়িতা কুণ্ডু (কুঁতি)

সম্পাদিকা, মাধবপুর পরিবেশ
চেতনা সমিতি

বিড়ম্বনা

আমার মেয়ের বিয়ের পর, তার ভোটার কার্ডে পদবি ও ঠিকানা পরিবর্তন এবং বাবার নামের জায়গায় স্বামীর নাম নথিভুক্ত করার দায়িত্বটা আমিই নিই। কারণ, তারা দু’জনেই চাকরিজীবী, আর আমি অবসরপ্রাপ্ত। এই জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে জারি হওয়া সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী স্থানীয় স্কুলের (যেখানে আমাদের ভোটদান কেন্দ্র হয়েছিল) থেকে ফর্ম নিয়ে এসে তা পূরণ করে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরের দিন ওখানেই জমা দিই। তখন আমায় জানানো হল, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮-য় নতুন কার্ড ওখান থেকেই পাওয়া যাবে।

সেইমত গত ১৫ জানুয়ারির পর থেকে বেশ কয়েক দিন ঘোরাঘুরি করে জানতে পারলাম, ওখান থেকে নয়, নতুন কার্ড দেওয়া হবে বিধাননগরের ‘প্রশাসনিক ভবন’ থেকে। এ-বার প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে জানতে পারলাম, কার্ড পেতে হলে আরও একটা ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেই ফর্ম নিতে গিয়ে দেখলাম একতলায় বিশাল লম্বা লাইন— একটাই কাউন্টারে মাত্র এক জন যুবক কর্মী বিভিন্ন ফর্ম দেওয়া, জমা নেওয়া, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন একাই করে চলেছেন, যার জন্য ফর্মটা তুলতেই ঘণ্টাখানেক সময় লেগে গেল।

পর দিন সেই ফর্ম পূরণ করে আবার সেই লাইনে দাঁড়িয়ে জমা দেওয়ার পর, আমাকে বলা হল দোতলায় একটি ঘরে (২০৬) চলে যেতে। সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর, হাতে একটা স্লিপ ধরিয়ে দেওয়া হল এবং বলা হল, তিন তলায় আর একটি ঘরে (৩০৬) গিয়ে ২৫ টাকা জমা দিতে। এর পর সেখানে টাকা জমা দিয়ে রসিদ নিয়ে আবার একতলায় আসতে হল কার্ড হাতে পাওয়ার জন্য। তার পর আবার প্রতীক্ষা। অনেকক্ষণ বাদে ডাক পড়ল, এ-বার সত্যি-সত্যি নতুন কার্ডটি হাতে পেয়ে মনে হল কার্ড নয়, আকাশের চাঁদই যেন পেলাম!

এর পর বাইরে এসে কার্ডের দিকে তাকিয়েই চক্ষুস্থির— মেয়ের পদবি পরিবর্তিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বামীর নাম নেই। পুরনো ঠিকানাটাই আছে, তবে তার পিনকোডটি পালটে গেছে! সঙ্গে-সঙ্গে ভিড় ঠেলে কাউন্টারে গিয়ে বলতেই জানানো হল, তাঁদের কিছু করার নেই, আমাকেই আবার সেই একই পদ্ধতিতে আর একটা ফর্ম নিয়ে, পূরণ করে...। সে দিনের মতো রণে ভঙ্গ দিলাম। বাড়িতে ফিরে মেয়েকে সমস্ত ঘটনাটা বলতে সে বলল, ‘আর কিছু করার প্রয়োজন নেই, এই কার্ডে ভোট দিতে পারলে দেব, না হলে ভোটই দিতে যাব না।’ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!

সমর গঙ্গোপাধ্যায়,

কলকাতা-৪৮

এবড়োখেবড়ো

শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের নীচে (দি নিউ ছায়া স্টোর্স) থেকে ছবিঘর পর্যন্ত পায়ে চলার পথের বেহাল দশা। কয়েক দিন আগে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে পূর্ত দফতরের কাজ চলেছিল। কাজ শেষ, কিন্তু রাস্তা তার নিজস্ব চেহারায় ফিরল না। খোঁড়া গর্তে পাইপ ঢুকিয়ে সেই পাইপের উপর কোনও ভাবে মাটি ও ইট চাপা দিয়ে রেখে গেছেন কর্মীরা। যদি বৃষ্টি হয়, দুর্দশা বাড়বে। এখনই রাস্তা ভয়ানক এবড়োখেবড়ো। প্রতি মুহূর্তে ঠোক্কর খাওয়ার ভয়।

সনৎকুমার নস্কর,

কলকাতা–১৪৪

প্রায় নরক

কান্দি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তার অবস্থা এখন প্রায় নরকে পরিণত হয়েছে। কিছু ক্ষমতাশালী লোক নিজেদের সুবিধার জন্য রাস্তার দু’ধারে বালি, নিকাশি নালায় ইট ফেলে রেখেছে। এর ফলে নর্দমার জমা জলে মশামাছির উপদ্রব বাড়ছে। তা ছাড়া রাস্তা এত সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে, যে-কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা হতে পারে।

দেবাশিস চৌধুরী,

ই-মেল মারফত

জঞ্জাল

এম আর বাঙুর হাসপাতালের গেটের ঠিক উলটো দিকের ফুটপাতে জঞ্জাল উপচে পড়ছে এবং এই অংশ দিয়ে স্বভাবতই লোকজন চলাফেরা করতে পারছেন না। একে ফুটপাত ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা অগুনতি অ্যাম্বুল্যান্স, তার পর এই জঞ্জাল!

চন্দন দাশ,

কলকাতা-২৬

সমাধান

আসিফ হোসেন (‘রোজ চলছে’, ১৫-২) ও বিমল বসুর (‘রেলে গুন্ডামি’, ২২-২) চিঠি পড়লাম। ট্রেনে কয়েকটি ছেলের এই গুন্ডামি রোখার উপায়, সিভিল ড্রেসে ট্রেনের মধ্যে পুলিশ থাকবেন, তাঁদের চিহ্নিত ছেলেগুলিকে মল্লিকপুর স্টেশনে থাকা অন্য পুলিশরা গ্রেফতার করবেন, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হবে। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই থানায় চালান করে দেওয়া হবে।

আশিস ভট্টাচার্য,
বারুইপুর

ওরা তো পারছে

মৌসুমী রায়ের চিঠির (ডব্লিউবিসিএস, ২৪-২) প্রেক্ষিতে যোগ করি, ইউপিএসসি আয়োজিত আইএএস পরীক্ষার (প্রিলি, মেন্‌স ও ইন্টারভিউ) ফলাফল প্রকাশ হয় ১১ মাসের মধ্যেই, তা হলে আমাদের রাজ্যের ডব্লিউবিপিএসসি কেন পারবে না এক বছরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে? কেন আমরা দু’বছর অপেক্ষা করব চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য? এখানে বিশেষ উল্লেখ্য, আইএএস পরীক্ষার মেন্‌স পর্যায়ে ডেসক্রিপটিভ পেপার থাকে অপশনাল ছাড়াও আলাদা ভাবে পাঁচটি এবং ল্যাঙ্গোয়েজ পেপার দুটি। অথচ ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার মেন্‌স-এ ল্যাঙ্গোয়েজ পেপার দুটি ও অপশনাল পেপার বাদ দিয়ে বাকি পেপারগুলি এমসিকিউ টাইপের প্রশ্নের পেপার। তা হলে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে সময় তো কম লাগা উচিত!

শ্রাবণী চক্রবর্তী,

বিদ্যাসাগর পল্লি, কাটোয়া

জলকষ্ট

আমার এলাকা মাকড়দহ ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত (ডোমজুড় ব্লক) হাওড়া। এখানে দীর্ঘ দিন প্রচণ্ড জলকষ্ট চলছে। এটি হাওড়া জেলার অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ও ডোমজুড় ব্লক ডেভেলপমেন্টের অফিসারের অধীন এলাকা। জলের জন্য পঞ্চাশ টাকা দিয়ে ফর্ম কিনতে হয়েছে। তার পর এক হাজার টাকা জমা দিয়ে টাইম কলের জন্য দরখাস্ত করি, মাকড়দহ ১নং পঞ্চায়েত অফিসে। তার পর টাইম কলের জন্য সাত হাজার টাকা আবার জমা দিয়ে তবে কয়েক দিনের জন্য জল পাই। তাও বিশুদ্ধ পানীয় জল নয়। বর্তমানে জল একেবারেই বন্ধ। আমার বয়স ৭৯। বার বার বিভিন্ন দফতরে যাতায়াত করতে আর পারছি না।

অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়,

মাকড়দহ, ডোমজুড়

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

অন্য বিষয়গুলি:

Save Tree Environment Voter Card
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy