অটিস্টিক বাচ্চাদের সুরক্ষা দিন
আমাদের দেশে প্রায় দেড় কোটিরও বেশি শিশু অটিজমে আক্রান্ত। প্রতি বছর ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম দিবস হিসেবে সাড়ম্বরে পালিত হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আজও অধিকাংশ মানুষের ঠিক ধারণা গড়ে তো ওঠেইনি, এ নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির আন্দোলনও চোখে পড়েনি। প্রায় কুড়ি-বাইশ বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে বলতে পারি সাধারণ মানুষ তো দূরস্থান, অনেক বিশেষজ্ঞও শিশুকে দেখে আজও বুঝে উঠতে পারেন না, বাচ্চাটি অটিস্টিক কি না। কারণ, যে সকল প্রাথমিক লক্ষণ দেখে ‘অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার’ চিহ্নিত করা হয়, তা প্রথমে দেখে বোঝা যায় না। সাধারণ মানুষ আজও এদের পাগল ছাড়া কিছু ভাবে না। আজ অবধি কোনও সাপোর্ট গ্রুপ তৈরি বা ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ নেই বললেই চলে, যেখানে বাবা-মা বা অভিভাবকের অবর্তমানে শিশুটিকে নিশ্চিন্তে রাখা যায়। যত দূর জানি, বিদেশে স্বতন্ত্র ভাবে সক্ষম বা বিশেষ সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ছাড়াও সেবা-শুশ্রূষাতে সরকার অনেক বেশি মনোযোগী ও মানবিক। আমাদের দেশে যার বড়ই অভাব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই উদ্যোগে শামিল হই। বলি: এই শিশুরা সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চাদের থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই।
সব্যসাচী পড়ুয়া কলকাতা-৭৫
মুখর হতে হবে
রাজ্য থেকে দেশ সর্বত্রই যে ভাবে দিনের পর দিন নাবালিকা থেকে সাবালিকা— সবাই ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, সে কথা ভাবলে আশ্চর্য বনে যেতে হয়। তবে আশ্চর্যের ঠোকাঠুকি আরও বেশি ঘন হয়ে ওঠে তখনই, যখন শুনি দশ বছর কিংবা তারও কম বয়েসি শিশুরা একে একে যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে সমকালীন ঊর্ধ্বতন মানসিকতা যে খুব জটিল ও ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে, তা সহজেই বোঝা যায়। বেশ কয়েক দিন আগে আমাদের শাসক দলের এক জন এই ব্যাপারগুলোকে ব্যক্তিগত প্রবৃত্তি বলে জাহির করে বলেছিলেন, উল্লেখ্য ব্যাপারগুলোর বিষয়ে সরকার যতই কঠোর পদক্ষেপ নিক না কেন, এ সব বন্ধ হওয়ার নয়। এ কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করারও কোনও উপায় নেই। তবে, এ ব্যাপারে মাঝে মাঝে প্রশাসনের উদারতা আমাদের বেশ নজর কাড়ে। এবং পারিপার্শ্বিক ব্যক্তিদের মৌনও যে খুব স্বাভাবিক তা-ও নয়।
সম্প্রতি কিছু দিন আগে যাদবপুরে আমার এক বান্ধবীর ওপর এক জন বয়স্ক ব্যক্তি নিজের আদিমতাকে উগরে দিয়েছিল। তা নিয়ে ফেসবুকে বেশ হইচইও পড়েছিল, কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের নীরবতা এই ব্যাপারটাকে বেশি দূর এগোতে দেয়নি। এ ক্ষেত্রে মৌন সম্মতির পরিপূরক নয় কি? তাই আজ যখন দেখি অশোকনগরের চাপড়া এলাকায় নির্যাতিতা শিশু কিশোরীদের মায়েরা এই অসামাজিক ও বর্বর ক্রিয়াকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়ে জোট বেঁধেছেন এবং প্রত্যক্ষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন আমাদের বেশ উত্তেজনার জন্ম হয়। তবে তা খুবই সাময়িক। যে কারণে এখনও আমরা সমষ্টিগত ভাবে তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়াইনি! আমাদের রাজ্যে এই উদ্যোগ ও লড়াই খুব বিরল। তবে মনে হয় এ বিষয়ে মেয়েদের বাঁচাতে মেয়েদেরই প্রথমে ঝান্ডা ধরতে হবে। মনে রাখতে হবে যৌন নির্যাতন শুধুমাত্র আঙুলের স্পর্শে হয় না, তা চোখের স্পর্শতেও হয়।
তন্ময় দেবনাথ কলকাতা-১০৩
সৌন্দর্যের ভ্যাট!
ফুটপাতের হকার নিয়ে বলে কোনও লাভ হবে না জানি। কিন্তু তাদের ব্যবসার জন্য রাস্তা দখল ছাড়াও পাশাপাশি স্থান নোংরায় ভরিয়ে দেবে তাও কি মেনে নিতে হবে? সৌন্দর্যায়নের জন্য অনেক ঘেরা জায়গাই আজ ব্যবসার নোংরা ফেলার ভ্যাট। ব্যস্ত মেট্রো স্টেশন রবীন্দ্র সদনের মূল গেটের (এক্সাইডের ঠিক উল্টো দিকে) পাশে যে সৌন্দর্যায়নের জন্য ঘেরা দু’দিকে দু’ফালি জায়গা রয়েছে তা নোংরা ফেলে নরক করা হয়েছে।
সুদর্শন নন্দী রাঙামাটি, মেদিনীপুর শহর
নিয়ন্ত্রণ দরকার
মুর্শিদাবাদ জেলার যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম ব্যস্ত এলাকার নাম বহরমপুর পঞ্চাননতলা মোড়। দক্ষিণে এন এইচ ৩৪, পূর্বে বহরমপুর-জলঙ্গি রাজ্য সড়ক। পশ্চিমে এন এইচ ৩৪-র উপর দিয়ে রেলগেট। আর, অনতিদূরে জেলার প্রধান বাসস্ট্যান্ড ‘মোহনা’। নিত্য দিন যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে অমূল্য সময় অপচয় করাটা যাত্রীসাধারণের ভবিতব্যে পর্যবসিত হয়েছে। পঞ্চাননতলা নামান্তরে এখন ‘যানজটতলা’! প্রয়োজন যান চলাচলের সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
সাবির চাঁদ রেজিনগর, মুর্শিদাবাদ
পথ আটকে ট্রাক
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে যে অংশ বারাকপুর কমিশনারেটের আন্ডারে এবং বিমানবন্দরের দিকে গেছে, সেই রাস্তা পথচারীদের চলাচলের জন্য প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বিশেষ করে, সন্ধ্যার পরে। রাস্তার দু’দিকে অসংখ্য ট্রাকের লম্বা সারি, রাস্তা প্রায় দেখাই যায় না। পুলিশ নির্বিকার। আগে এই রাস্তায় আলো ছিল না। এখন তাও আলো জ্বলছে। তা সত্ত্বেও মানুষ চলাচলের প্রধান অন্তরায় একমাত্র ট্রাক। জাতীয় সড়কের দু’ধারে সার্ভিস রোড দিয়ে পথচারীদের যাওয়ার কথা। কিন্তু বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দু’ধারে সার্ভিস রোড এখনও তৈরি হয়নি। জমি নেওয়া আছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের দু’ধারে কয়েক হাজার মানুষের বাস। খালিশাকোটা ২নং.ব্লক, ৩ নং ব্লক, ৪ নং ব্লক, চাঁদপুর পল্লি, মালঞ্চ, শক্তিগড়, রাজবাড়ি, আরও অনেক এলাকার মানুষ এই রাস্তায় যাতায়াত করেন।
সমীরবরণ সাহা এয়ারপোর্ট সিটি
নিষিদ্ধ হোক
নামখানা থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেন ৭.৩০ মিনিটে যাত্রা শুরু হল। নামখানা থেকে উদয়রামপুর পর্যন্ত ট্রেনে কোনও গণ্ডগোল নেই। লক্ষ্মীকান্তপুর আসতেই শুরু হল ট্রেনের কামরায় গণ্ডগোলের পর্ব। জয়নগরে তা চরম রূপ নেয়। ধীরে ধীরে হইহট্টগোলের মাত্রা বাড়তে থাকে। একে অপরকে অশ্লীল গালিগালাজ প্রয়োগ, এক গোষ্ঠীর সঙ্গে আর এক গোষ্ঠীর ঠেলাঠেলি, কামরায় বেরনোর পথে তাসের আড্ডা, যা যাত্রীদের ওঠানামার পথে অন্তরায়। আর এক দৃষ্টিকটু বিষয় হল ট্রেনের কামরার মধ্যে পর্নোগ্রাফিক ছবি দেখার নেশা। রেল কর্তৃপক্ষ এই সমস্ত অশুভ ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করতে পারবে কি?
শিবপ্রসাদ জানা নামখানা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
বাতাসে দুর্গন্ধ
উত্তর শহরতলির বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় সাফাইকর্মীরা কাঁচা নর্দমার আবর্জনারাশি নর্দমা থেকে তুলে পাশেই রেখে দেন। সেগুলো কখনও সরানো হয়, কখনও হয় না। দুর্গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। বৃষ্টিতে তা আরও ছড়ায় রাস্তায়, কিছু আবার ফিরে যায় নর্দমায়। রোদে শুকিয়ে গেলে বাতাসে ভর করে দিগ্বিদিকে ওড়ে। এঁরা আরও একটা কাজ করেন। রাস্তার পাশের আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে সব চেঁচেপুঁছে ঘাসের আবরণটাই তুলে ফেলেন। ফলে রাস্তার পাশের মাটি ধারণক্ষমতা হারায়, ধুলো হয়ে ওড়ে, রাস্তা কুৎসিত হয়ে ওঠে।
সৈকত রুদ্র ১ রেল পার্ক, ঈশ্বর চ্যাটার্জি রোড
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ই-মেল: letters@abp.in
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy