লড়াই: আর জি কর-কাণ্ডের শুনানিতে কপিল সিব্বল-সহ আইনজীবীরা
আর জি কর-কাণ্ডে রাজ্য সরকার কেন প্রধান অভিযুক্তকে বাঁচাতে আইনজীবী হিসাবে কপিল সিব্বলকে খাড়া করেছে, তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে প্রবল ক্ষোভ। বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, এই কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সিব্বলের সঙ্গে আরও কুড়ি জন আইনজীবীর নাম রয়েছে। তৃণমূল সরকার অভিযুক্তকে বাঁচাতে ২১ জন আইনজীবীকে ভাড়া করেছে কেন? কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সামনে বলেই ফেললেন, “প্রচার হচ্ছে যে, আমাদের সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে।” রাজ্যের অন্যতম আইনজীবী আস্থা শর্মা জানিয়েছেন, তাঁদের সমাজমাধ্যমে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা মোটেই অভিযুক্তের পক্ষে মামলা লড়ছেন না। কলকাতা পুলিশের হয়ে মামলা লড়ছেন। বাস্তবিকই কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেনি। সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে মামলা শুরু করেছে। সিবিআইয়ের কাছে মূল ঘটনার তদন্ত ও কলকাতা পুলিশের কাছে হাসপাতালে হামলার তদন্তের অগ্রগতি কী হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়েছে। আর কলকাতা পুলিশ এক জন আইনজীবীকে দায়িত্ব দেয়। তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের সকলের নামই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে লেখা হয়। এটাই রীতি।
চাঁদে হাত?
পেশাদার জালিয়াতেরও কাণ্ডজ্ঞান থাকে! কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নামে সমাজমাধ্যমে জাল হ্যান্ডল বানিয়ে অসাধু কর্মে লিপ্ত ব্যক্তিটির সেই জ্ঞানটুকুও নেই বলেই ধারণা। দিল্লির সাইবার অপরাধ বিভাগ সম্প্রতি একটি এক্স হ্যান্ডলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। চন্দ্রচূড়ের নামে সেখান থেকে পোস্ট করে পাঁচশো টাকা অনলাইন ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করা হয়েছে! কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ট্যাক্সির ভাড়া মেটানোর টাকা নেই! স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তা সত্যি হতে পারে না। এও লেখা হয়েছে যে, বিশেষ এক ট্যাবলেট থেকেই পোস্টটি করা হল। ঘটনাচক্রে চন্দ্রচূড় কাগজ-বইয়ের পরিবর্তে আইনজীবীদের আধুনিক গ্যাজেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি নিজেও ব্যবহার করেন বিশেষ ট্যাব। এই অবাক জালিয়াতিতে চোরের বোকামি নিয়ে আইনজীবী মহল হেসে বাঁচে না!
বিজেপির নম্রতা
তৃতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় এলেও বিজেপির শক্তি কমেছে। শরিক দলের উপর নির্ভরশীল সরকারকে অনেক কিছু সমঝে, শরিকদের মেজাজ-মর্জি বুঝে এগোতে হচ্ছে। অনেক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হচ্ছে। সাংবাদিকদের আদর-আপ্যায়নেও পরিবর্তন এসেছে। আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে শুধু জলের ব্যবস্থা থাকত। এখন জলপানের আয়োজন থাকছে। সম্প্রতি সন্ধ্যা সাতটার সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হতে দেখা গেল, ভর সন্ধ্যাবেলায় সাংবাদিকদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে! আর এক দিন বিকেল চারটেয় সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হলেও দেখা গেল, সাংবাদিকদের জন্য মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন রাখা হয়েছে!
হেঁটে হেঁটে কথা বলি
চিরকালই মানুষের মধ্যে পৌঁছে যেতে পছন্দ করেন ‘মামা’। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান তাঁর রাজ্যে পরিচিত এই নামেই। কেন্দ্রে প্রথম বার দায়িত্ব পাওয়ার পর, সংসদে এসে কখনওই এক জায়গায় বসে থাকতে দেখা যায়নি তাঁকে। সব সময়ই হেঁটে বেড়াচ্ছেন, কথা বলছেন সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে। সম্প্রতি তাঁর বক্তৃতার ধরনেও বদল দেখা গেল। পোডিয়ামের উপর দাঁড়িয়ে কথা বলার বদলে তাঁকে দেখা গেল ‘ওয়াক দ্য টক’-এর মেজাজে। দু’টি পৃথক সম্মেলনে সরকারি দুই যোজনা ‘লাখপতি দিদি’ এবং ‘নমো ড্রোন দিদি’-র উপভোক্তাদের সঙ্গে অন্য সব বক্তা মঞ্চে দাঁড়িয়েই বক্তৃতা দিলেন। ব্যতিক্রম শিবরাজ। কর্ডলেস মাইক হাতে মঞ্চ জুড়ে এবং মানুষের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে কথা বললেন তিনি।
এক ঢিলে...
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লিতে যন্তর মন্তরের সামনে ধর্নায় বসেও প্রতীকী ওপিডি চালু রেখে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন এমস-এর জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এক ডজনেরও বেশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শাখার পরামর্শ দিতে ওই ওপিডি খোলা হল। কিন্তু রোগীরা তো সব এমস-এ। যদিও বেলা বাড়তেই খবর রটে যায় যন্তর মন্তরের আশেপাশে। স্থানীয়রা ডাক্তার দেখাতে ছুটে এলেন। খবর করতে গিয়ে এই মওকায় এমস-এর চিকিৎসকদের থেকে নিজেদের স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত জেনে নিলেন সংবাদকর্মীদের একাংশ।
,
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy