Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

দিল্লি ডায়েরি

সাধারণ গুজরাতি নিরামিষ রান্নার ঘোষিত ভক্ত মোদী।

প্রেমাংশু চৌধুরী ও অগ্নি রায়
শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

পাতে পড়ল কী? ডাল, স্যালাড, রুটি

মা ও ছেলে খেতে বসেছেন। ছেলের জন্মদিন। তাই সুন্দর থালায় নানা পদ সাজানো। সামনের প্লেটে স্যালাড। ১৭ সেপ্টেম্বরের সেই ছবি দেখে দেশসুদ্ধু লোক মোবাইলে জ়ুম করে দেখেছেন, থালায় কী কী রয়েছে! কৌতূহল হওয়ারই কথা। ছেলে তো যে কেউ নন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকলেই জানতে চান, জন্মদিনে মায়ের সঙ্গে বসে কী খাচ্ছেন তিনি! উত্তর মিলেছে। সাধারণ গুজরাতি নিরামিষ রান্নার ঘোষিত ভক্ত মোদী। জন্মদিনে তাঁর থালিতে ছিল মোদীর পছন্দের ডালের পুর দিয়ে তৈরি মিষ্টি রুটি বা পুরনপোলি, গুজরাতি রুটি, ভাত, মিক্সড কাঠোল বা নানা রকম ডাল, অঙ্কুরিত মুগ, আলু-মটরের তরকারি, শশা-গাজর-টম্যাটোর স্যালাড ও কাঁচা-পাকা টিন্ডার স্যালাড।

আহারে: জন্মদিনে মায়ের কাছে খেতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী

ঠিকানা

কেরল বাদে দেশের আর কোথাও সিপিএমের লাল ঝান্ডায় তেমন হাওয়া নেই, দিল্লিতে সিপিএম নেতারা তাই মনমরা। তবে ভোট না বাড়লেও সিপিএমের স্থাবর সম্পত্তি বাড়ছে। দিল্লিতে দলের নিজস্ব এ কে গোপালন ভবন, সিটু-র বি টি রণদিভে ভবন রয়েছে। এ বার উদ্বোধন হতে চলেছে সিপিএমের পার্টি স্কুল ‘হরকিষেণ সিংহ সুরজিৎ ভবন’। পি চিদম্বরম মামলার জন্য হালে বিখ্যাত হয়ে ওঠা রাউজ় অ্যাভিনিউয়ের জেলা আদালতের কাছেই এই ভবনে পার্টির স্কুল চলবে। নেতা-কর্মীদের থাকারও বন্দোবস্ত হবে। সাংসদ সংখ্যা কমে যাওয়ায় থাকার জায়গা সঙ্কট, তাই সিপিএম নেতারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে পার্টির স্কুলে থাকার ছাড়পত্র আদায় করেছেন। উদ্বোধনের পরে, পুজোর আগেই নতুন ভবনে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসবে।

সাধ্যের বাইরে

ডাক্তারদের হাতের লেখা পড়তে পারেন শুধু ওষুধের দোকানের লোকেরাই, ফের প্রমাণিত। তা-ও একেবারে দেশের সুপ্রিম কোর্টে। কাশ্মীরে গৃহবন্দি থাকা সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছিল। এমস-এ ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত সপ্তাহে তিনি ছাড়া পান। হাসপাতালের ‘ডিসচার্জ সার্টিফিকেট’ পেশ করা হয় প্রধান বিচারপতির সামনে। কিন্তু ডাক্তারবাবুদের হাতের লেখা উদ্ধার করে, কার সাধ্যি! প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নির্দেশ দিয়েছেন, এ বার তারিগামি চাইলেই শ্রীনগর ফিরে যেতে পারেন। সঙ্গে এ-ও জানিয়েছেন, ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে কী লেখা রয়েছে, তা তাঁদের বোঝার সাধ্যের বাইরেই রয়ে গিয়েছে।

শুধু পড়া

অযোধ্যা মামলায় মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধবন তাঁর কড়া মেজাজের জন্য বিখ্যাত। সময়ে সময়ে বিচারপতিদেরও ছেড়ে কথা বলেন না তিনি। আবার পরক্ষণেই গলে জল হয়ে ক্ষমাও চান। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর সঙ্গে তাঁর খটাখটি, খুনসুটি দুইই চলে। ধবন এক দিন বললেন, সংসদের বক্তৃতার রেকর্ড পড়তে তাঁর খুবই ভাল লাগে। এক বার তিনি ১৯৫০-১৯৭৮ পর্যন্ত বিচারবিভাগ সংক্রান্ত সমস্ত বিতর্ক সংগ্রহ করেছিলেন। শুনে প্রধান বিচারপতির মুচকি হাসি ও প্রশ্ন, ‘‘শুধু পড়েছেন, কোনও দিন সংসদের বক্তৃতায় অংশ নিতে চাননি?’’

ইউনূস-কাণ্ড

বিপাকে: মুহাম্মদ ইউনূস

নীতি আয়োগ ও এক ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার আমন্ত্রণে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। অনাড়ম্বর মানুষটির সঙ্গে পুরনো একটা সুটকেস, তাতেই জামাকাপড়, ল্যাপটপ, সব কিছু। ঢাকার পথে দিল্লি বিমানবন্দরে এক কাণ্ড হল। চেক-ইন লাগেজেই চার্জার, পাওয়ার ব্যাঙ্ক-সহ সব কিছু রয়ে যাওয়ায় সুটকেস আটকালেন কর্তৃপক্ষ। অবস্থা সামাল দিতে মন্ত্রী-আমলাদের বিস্তর ফোন, প্লেনের দাঁড়িয়ে থাকা... অবশেষে কোনও ক্রমে বিমান ধরলেন নোবেলজয়ী।

নবরূপে

অওধের সুবেদার নবাব ছিলেন আবুল মনসুর মির্জা মহম্মদ মুকিম আলি খান। মুঘল সম্রাট মহম্মদ শাহ তাঁর প্রশাসন দক্ষতা ও বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে কাশ্মীরের ভারও তাঁকে দেন, সঙ্গে ‘সফদরজং’ উপাধি। দিল্লিতে সফদরজং-এর সমাধিই চারবাগ বা চারটি বাগানে ঘেরা স্থাপত্য। ১৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে তৈরি সেই সমাধি এ বার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এলইডি আলোয় সেজে উঠল। বহু দিন ধরে অযত্নে পড়ে থাকা ন’টি ফোয়ারাও প্রাণ ফিরে পেল।

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Diaries দিল্লি ডায়েরি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy