বছর ষোলো ধরে চলছিল নার্সিংহোম। আপাতত ঝাঁপ বন্ধ। বাইরে মোতায়েন দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৩ নম্বর রেলগেট এলাকার ‘বনানী’ নামে এই নার্সিংহোম থেকেই বেআইনি শিশু বিক্রি চলত বলে অভিযোগ।
শনিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, নার্সিংহোমের বাইরে জটলা। বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা এত দিন কিছুই টের পাননি। তবে তরুণী বা অল্পবয়সী মহিলাদের প্রায়ই নার্সিংহোমে আনাগোনা করতে দেখা যেত। চিকিৎসার জন্যই তাঁরা আসছেন বলে মনে করতেন লোকজন। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, বেআইনি গর্ভপাত করানো হত এখান থেকে। শিশু জীবিত থাকলে তাকে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়া হত।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০০২ সালে রঞ্জিতা রায়ের নামে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয় নার্সিংহোমের। ২০১৬ সালের পরে লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করানো হয়নি। পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘নার্সিংহোমটির ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পুরসভার তরফেও আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
বাসিন্দারা জানানেল, অতীতে রঞ্জিতার স্বামী অমল নার্সিংহোমটি দেখাশোনা করতেন। কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান। মাঝে বছর দু’য়েক নার্সিংহোম বন্ধ ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পরে রঞ্জিতা দায়িত্ব নেন। তবে কেয়ারটেকার রঞ্জিতই বকলমে নার্সিংহোমটি চালান। এলাকার লোকজন মনোজকে চিকিৎসক বলেই জানতেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরে জানা যাচ্ছে, তিনি হাতুড়ে।
স্থানীয় এজি কলোনি এলাকার বাসিন্দা মনোজ চেম্বারও করতেন। প্রসূতিদের দেখতেন তিনি। সেখান থেকে মহিলাদের ‘বনানী’তে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করাতেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
স্থানীয় কাউন্সিলর মলিনা সরকার বলেন, ‘‘আজই বিষয়টি জানতে পেরেছি। পুলিশকে বলেছি, কড়া পদক্ষেপ করতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy