একান্তে: রাহুল-প্রীতি। নিজস্ব চিত্র।
এবছরই আমি আর প্রীতি(বিশ্বাস) বিয়ে করেছি।ফলে এটাই আমাদের প্রথম জামাইষষ্ঠী।আমি প্রীতির মা, মানে আমার শাশুড়িমাকে কাকিমা বলি। যখনই কাকিমার কাছে যাই তখনই উনি এত খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করেন যে মনে হয় সব সময়েই জামাইষষ্ঠী চলছে। আমি গেলেই কাকিমা মাটন, পাবদা, চিংড়ি মিলিয়ে পাঁচ-ছ’রকমের পদ রান্না করবেন।তার সঙ্গেলুচি-আলুর তরকারি হবেই। কাকিমা জানেন লুচির সঙ্গে আলুর তরকারি বা দম আমি ভীষণ ভালবাসি।
জামাই ষষ্ঠীর দিন আদৌ কী হবে জানি না। চারপাশের যা অবস্থা।তার মধ্যেও কাকিমা নিমন্ত্রণ করেছেন।আর লকডাউনের পর থেকে প্রীতি আমার বাড়িতেই আটকে আছে।মা-বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য একটু অস্থির হয়ে পড়েছে। তাই ভাবছি জামাইষষ্ঠীর দিন যদি সম্ভব হয় একবার কাকিমার কাছে যাব।সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত রাস্তায় বেরোনো যাচ্ছে।কিছুক্ষণ থেকে ফিরে আসার ইচ্ছে আছে। কিন্তু এখনও সত্যি জানি না যাওয়া হবে কিনা। এখনও অনেক মানুষ জল ও বিদ্যুৎ ছাড়া আছেন।খুব সমস্যায় আছেন অনেকে।অনেক জায়গায় রাস্তা অবরোধওকরছেন বিক্ষুব্ধ মানুষ।সেটাই হয়তো স্বাভাবিক।আমার বাড়িতেও ঝড়ের পর বিদ্যুৎ ছিল না।আমরাও তাই জানি জল ও বিদ্যুৎ না থাকলে কতটা দুর্ভোগ হতে পারে।
এমনিতেই করোনা, লকডাউন মিলিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক থেকে অভিনেতা, প্রত্যেকের অবস্থাই খারাপ। প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করাটা ইতিমধ্যেইঅনেকের কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।সরকারি-বেসরকারি ত্রাণই এই মুহূর্তে অনেকের ভরসা।
প্রীতি-রাহুলের এ বছর প্রথম জামাইষষ্ঠী
এই কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জামাইষষ্ঠী পালন করাটা নিজের কাছেই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।কিন্তু কাকিমার ইমোশনাল গ্রাউন্ডটাও ভাবতে হচ্ছে।তাই একেবারে না বলতে পারিনি।কাকিমাকে বার বার অনুরোধ করেছি যাতে একটি মাত্র পদ করা হয়।আশা করি কাকিমা বুঝবেন।
যা-ই হোক না কেন, আশা করবআমপানের পরে যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব এলাকা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের উপযোগী হয়ে উঠবে তাড়াতাড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy