শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর নিজের উপলব্ধি ব্যতীত কোনও ধর্মমত প্রচার করেননি। শিবজ্ঞানে জীবসেবা, মেয়েদের মাতৃজ্ঞানে দেখা এবং সর্বোপরি সহজতম ভাষায় কথা বলা এবং সব ধর্মের প্রতি সম শ্রদ্ধা তাঁর ধর্মদর্শনের মূল আধার। পরতত্ত্ব বা আলটিমেট রিয়্যালিটিকে তিনি বলছেন সচ্চিদানন্দ। তাঁর অনুভূতি, “কি রকম জান? যেন সচ্চিদানন্দ সমুদ্র কূল-কিনারা নাই ভক্তিহিমে স্থানে স্থানে জল জমে বরফ হ’য়ে যায়— বরফ আকারে জমাট বাঁধে। অর্থাৎ ভক্তের কাছে তিনি ব্যক্তভাবে, কখন কখন সাকার রূপ ধ’রে থাকেন। জ্ঞান-সূর্য উঠলে সে বরফ গলে যায়, তখন আর ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ হয় না। তাঁর রূপও দর্শন হয় না। কি তিনি মুখে বলা যায় না। কে বলবে? যিনি বল্বেন, তিনিই নাই। তাঁর ‘আমি’ খুঁজে পাওয়া যায় না।” এ কথার অর্থ, ভক্তের কাছে ঈশ্বর সাকার, যেমন বরফ। আবার জ্ঞানীর কাছে সেই ঈশ্বরই নিরাকার, যেমন জল— যখন যে-পাত্রে রাখা যায়, তখন সে পাত্রের আকার ধারণ করে, নিজস্ব কোনও আকার-আকৃতি নেই। জল যেমন সত্য তেমনই বরফও সত্য। তাই সাকার ও নিরাকার উভয়ই সত্য। ভক্ত ও ভগবানের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রবিচারে এ উপমার তাৎপর্য আছে। এই সম্পর্কে খানিকটা দূরত্ব থাকলে ঈশ্বরকে সগুণ বলে মনে হতে পারে। আর জ্ঞানী যখন নিজ আত্মার সঙ্গে তাঁর পরমাত্মাকে লীন করে নেন, তখন ঈশ্বর সাক্ষাৎ ব্রহ্ম! তখন জ্ঞানীর চোখে সব কিছু ব্রহ্মময় বলে বোধ হয়। শ্রীচৈতন্যদেবের অনেকটা এ অবস্থা হত। যাঁহা যাঁহা নেত্র পড়ে, তাঁহা তাঁহা কৃষ্ণ স্ফুরে— এ অবস্থা প্রকৃত জ্ঞানের অবস্থা। সাধক সে সময়ে ভূমানন্দের অবস্থায় থাকেন। উপনিষদের ‘ভূমৈব সুখম্’ এই অনুভূতিকে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর সাধনার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
অদ্বৈতবাদের ধারণা যেমন বহু ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করেছেন সেই রকম দ্বৈতবাদের প্রতিও তাঁর প্রগাঢ় অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণের এই যে ঈশ্বরানুভূতি, এ তাঁর নিজের কথায়— তিনি অনন্ত, পথও অনন্ত। তাঁর এই অনুভবের মধ্যে নিহিত আছে সনাতন ভারতীয় দর্শনের উচ্চতম ভাবমার্গ, সেই সঙ্গে গ্রামীণ লোকায়ত জীবনচর্যা। নিতান্ত অনাড়ম্বর ভাবে ঈশ্বর উপলব্ধিতে দর্শনচিন্তার প্রসঙ্গ তিনি সহজ ভাবে সাধারণ মানুষের চিন্তাজগতে সঞ্চারিত করে দিয়ে গিয়েছেন। এর জন্যে কোনও জাঁকজমক বা ঠমকের প্রয়োজনীয়তাকে তিনি সরাসরি অস্বীকার করেছেন। তাই এক দিকে ঈশ্বরজ্ঞান, অন্য দিকে জাগতিক ধ্যানধারণা— এই দুই ভাব তাঁকে লোকজীবনের মর্মস্থলে পৌঁছনোর প্রেরণা ও শক্তি জুগিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান গ্রন্থটির আলোচনা। তত্ত্ব, পাঠ এবং শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনবৃত্তান্তের প্রেক্ষিতে গ্রন্থকার গড়ে তুলেছেন এক-একটি ব্যাখ্যা এবং সেই সঙ্গে বিশ্লেষণ। সঙ্গে যুক্তি। সে যুক্তির সম্ভাব্য বিরুদ্ধ মতের কথা মনে করে যথাযথ যুক্তি সহযোগে তার উত্তরও তৈরি করে দিয়েছেন। সেই সব যুক্তি পাঠককে ভাবাবার পরিসর তৈরিতে সহায়ক হবে। রামকৃষ্ণ-সাহিত্য এবং প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের দর্শনের গভীরতম বিষয়ভাবনার নিবিড় আত্তীকরণ গ্রন্থকারকে তাঁর অধীত নানাবিধ বিষয়ে পাঠ-উত্তর অনায়াস বিচরণ ক্ষমতা জুগিয়েছে। সেই জন্যে এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের আলোচনা সুরচিত— প্রতিটি আলোচনায়, যুক্তিনির্মাণে গ্রন্থকারের প্রজ্ঞার নিদর্শন। রচনাকর্মের পারম্পর্য এবং সমীচীন উপস্থাপনার কারণে আলোচ্য গ্রন্থটি বিদগ্ধ পাঠকমহলে সমাদৃত হওয়ার আশা রাখে। দর্শনের দুরূহ তত্ত্বের চর্চার মাধ্যমে লেখক এক-একটি উপলব্ধির স্তরে পাঠককে পৌঁছে দিয়েছেন। এ আলোচনায় পাণ্ডিত্যের বিস্তার সহজ এবং স্বচ্ছন্দ। এর অন্যতম কারণ বোধ হয়, দর্শনের জ্ঞানগর্ভ সারমর্মের আলোচনাকালে শ্রীরামকৃষ্ণের সরস উক্তির উপস্থাপনের ক্রম এবং পর্ব সময়োচিত। অনুপুঙ্খ এবং জীবনমুখী দর্শনবোধে সে কারণে গভীরতর হয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণের শাশ্বত মানবতাবাদের কথা। এ বিষয়ে তৃতীয় অধ্যায় মিস্টিক্যাল এক্সপিরিয়েন্স-এ গ্রন্থকার সংযোজন করেছেন নির্বিকল্প সমাধি সম্পর্কে শ্রীরামকৃষ্ণের অনুভূতির প্রসঙ্গ... প্রথমে মন স্থির হয়, মনের লয় হয়, এর পর নির্বিকল্প সমাধি। ব্রহ্মজ্ঞান। কথামৃতের সেই উপমার কথা এসেছে, লুনের (নুনের) পুতুলের সমুদ্র মাপতে যাওয়ার কথা, সেই যে সে গেল তারপর আর তার খপর (খবর) পাওয়া যায়নি!
গ্রন্থকার প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য দর্শনের বিজ্ঞ ও মনোগ্রাহী পাঠক সেই সঙ্গে চর্চাকারও। এই চর্চায় মানবতাবাদের প্রসঙ্গটিও সে কারণে উপেক্ষণীয় নয়। পরমহংসদেব যে-মানবতাবাদের প্রবক্তা ছিলেন, তার মূল কথা অহিংসা, নিষ্কাম কর্ম এবং সহমর্মিতা। ঈশ্বরকে মা বা বাবা হিসাবে দেখলে যেমন তাঁর সমস্ত সম্পত্তিতে সন্তানদের সমান অংশ বা হিস্যা, সে ভাবে এ কথাটি বলে গিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়— “যখন ছেলে বিষয়ের ভাগের জন্য ব্যতিব্যস্ত করে, তখন বাপ মা দুজনে পরামর্শ করে, আর ছেলেকে আগেই হিস্যা ফেলে দেয়।... তিনি যেকালে জন্ম দিয়েছেন, সেকালে তাঁর ঘরে আমাদের হিস্যা আছে। তিনি আপনার বাপ, আপনার মা,— তাঁর উপর জোর খাটে। ‘দাও পরিচয়। নয় গলায় ছুরি দিব!’”
ইনফিনিট পাথস টু ইনফিনিট রিয়্যালিটি/ শ্রীরামকৃষ্ণ অ্যান্ড ক্রস-কালচারাল ফিলজ়ফি অব রিলিজিয়ন
অয়ন মহারাজ
৮৫০.০০
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস
গ্রন্থকার অয়ন মহারাজ বার্কলের ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট। রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের এই তরুণ ব্রহ্মচারী দর্শনের খ্যাতকীর্তি অধ্যাপক, ইতিপূর্বে আন্তঃসাংস্কৃতিক দর্শন বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থও রচনা করেছেন। তিনি এই গ্রন্থে পর্যালোচনা করে দেখিয়েছেন, এ মত শুধু কথার কথা নয়, নিজের জীবনে প্রয়োগ করে দেখিয়ে গিয়েছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। সেই সঙ্গে এই মানবতাবাদে উদ্বুদ্ধ যাঁরা, তাঁরাও ঈশ্বরের প্রতি অনুরাগকে মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করার পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। বইটি চারটি মূল পর্বে বিভক্ত, প্রতিটি পর্বে একাধিক পরিচ্ছেদ, তার মধ্যে অধ্যায়ের ভাগ। পরিকল্পনার পারিপাট্য থেকে বিষয় নির্বাচন, বিশ্লেষণী পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্রাদির উল্লেখ এবং সর্বোপরি টীকা সহযোগে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যে গ্রন্থকারের ঐকান্তিক নিষ্ঠা, বৌদ্ধিক তাত্ত্বিক ও তার্কিক মননের ফসল, তা পৃষ্ঠা ওলটালে চোখে পড়বে। এ আলোচনা সেজন্যে দর্শনের ইতিহাস রচনায় প্রামাণ্যতারও দাবিদার।
আর-একটি উল্লেখ করার মতো বিষয়— বইটিতে আদ্যোপান্ত সাবলীল গদ্যরীতি অনুসৃত হয়েছে। ফলত সামগ্রিক ভাবে রচনা একটা ধীরস্থির অথচ বিচক্ষণ গতি লাভ করেছে, অহেতুক আলঙ্কারিকতার প্রয়োগ নেই। ‘বিজ্ঞান’ বলতে শ্রীরামকৃষ্ণ কী বুঝতেন, বেদে বর্ণিত সপ্তভূমি এবং সেখানে মনের অধিষ্ঠানের প্রসঙ্গটি কথামৃতের একটি পরিচিত প্রসঙ্গ। লেখক এ প্রসঙ্গে আধুনিক দার্শনিকরা বিজ্ঞান বলতে ঠিক কী বোঝেন, শ্রীরামকৃষ্ণের তথাকথিত সে বিজ্ঞানের সঙ্গে কোথায় তাঁদের মিল আর কোথায় অমিল, সে সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন। সে আলোচনায় লেখক দেখিয়েছেন যে, সকলেই শ্রীরামকৃষ্ণের মতানুসারী হয়েছেন তা নয়, এমনকি তাঁরা অনেকে হয়তো শ্রীরামকৃষ্ণের নামও শোনেননি কিন্তু তাঁদের চিন্তাধারা এবং প্রেক্ষিতের সঙ্গে রামকৃষ্ণ-দর্শনের মিল-অমিলের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে তিনি ঐকান্তিক প্রচেষ্টা করেছেন। সেখানে যুক্তির অসারতা বোধ হয়নি বরং তর্ক আর প্রতিতর্কের একটা পরিসর তৈরি করে দিয়েছে বলা যেতে পারে। এর একটি চমৎকার নিদর্শন— সনাতন বেদান্তবাদে কর্ম এবং লীলার কথা বলতে গিয়ে গ্রন্থকার তুলনামূলক আলোচনা করেছেন শঙ্করাচার্য বর্ণিত ‘কর্ম’ এবং আধুনিক দার্শনিক মতবাদে এর ভূমিকা নিয়ে।
শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন, কলিতে নারদীয় ভক্তি। এই ভক্তির অর্থ ব্যাপক। ভক্ত ও ভগবানের মাঝে সেতুর মতো যা, তাকেই ভক্তিবাদীরা ভক্তি বলে বিশ্বাস করেন। সকল ধর্মের প্রবক্তা এবং মহাপুরুষরাও বলে গিয়েছেন, ভক্তের কোনও বর্ণ-সম্প্রদায় হয় না, ভক্ত সব ধর্মেই আছেন। এই ভক্তির শক্তি অসীম, অফুরান। শ্রীরামকৃষ্ণও এমনটা মনে করতেন, এতটাই যে, ভক্তের ভক্তি ভগবানকে ভক্তের কাছে পর্যন্ত টেনে নিয়ে আসতে পারে! সেই জন্যে তাঁর মনে হত ভক্তি মানে অনুরাগ আসলে আর কিছু নয়, শুধুমাত্র পরানুভূতি। অন্যের জন্যে বেঁচে থাকা। এখানে তাই কোনও রকম বিনিময় নেই। চাওয়া-পাওয়ার দোকানদারিও নেই! ভক্তি মানে শুধু দিয়ে যাওয়া। বিন্দুমাত্র বিনিময়ের প্রত্যাশা না-করা। এর নাম অহৈতুকী ভক্তি। অর্থাৎ আত্মনিবেদন। নিজেকে সমর্পণ করার নামও সে অর্থে ভক্তি। ভক্তি ভক্তকে ভগবানের শরণাগত করে তোলে। ভক্তের প্রথম ও শেষ অবলম্বন যে ভগবান, সে কথাই যেন ভক্তির ভাবে ফুটে ওঠে। তাই ভক্তকে বলছেন, ঈশ্বরদর্শন আসলে সত্যের সম্মুখে দাঁড়ানো, সত্যদর্শন।
উপনিষদে বলা হয়েছে, ‘সত্যেন পন্থা বিততো দেবযানঃ’ অর্থাৎ, সত্য দিয়ে আলোর যে-পথ, সে তো ধ্রুবপথ। সেই পথ আস্তীর্ণ হয়ে আছে। আর সত্য হল সেই ভূমি, যার ওপর তৈরি হয়েছে ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন অধ্যাত্মসাধনার বিচিত্রগামী ইতিহাস। সে ইতিহাস আবহমানকালের, স্মরণাতীত সময়ের। তাই তো সে ইতিহাস বলে ‘ন হি সত্যাৎ পরো ধর্মঃ’— অর্থ একটাই, সত্যের চেয়ে বড় ধর্ম, বড় সাধনা আর কিছু হতে পারে না। শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর জীবনে, তাঁর সাধনায় এ কথাই প্রমাণ করে দিয়ে গিয়েছেন। তিনি কোনও নতুন ধর্মমতের প্রচার করেননি। চিরন্তন ভারতবর্ষের কথাই তিনি বলেছেন। কিন্তু বলেছেন, তা তদানীন্তন সময়ের উপযোগী করে বা বলা ভাল আরও আগামীর পথরেখা তৈরির মধ্য দিয়ে। কারণ, তিনি তাঁর সমসময়ের চেয়েও অনেকটা এগিয়ে ছিলেন। তিনি যে-সময়ে দাঁড়িয়ে যে-কথা বলেছেন, তখন সে কথা আর-পাঁচজন ভাবতেও পারতেন না। তাঁর মুক্তমনা চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছে, সর্বত্র— তাঁর বাণীতে, উপদেশে। তিনি সমন্বয়ের কথা শুধু বলেননি, ধর্ম সমন্বয়ের সাধনাকে নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। উপনিষদে আছে, ‘যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যঃ’ প্রত্যেকে তার নিজের পথ নিজে আবিষ্কার করে নিক, তারপর সে পথে যাত্রা শুরু করুক। এ পথে বাধা আসবে পদে পদে, কিন্তু চলা তাতে থামবে না। তার পথ তাকেই তো পেরোতে হবে।
এই ভাবনাকে শ্রীরামকৃষ্ণ সেদিন ভারতবর্ষের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। এর জন্য তিনি সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন। না, একটু ভুল বলা হল। সব কিছুকে তো তিনি ত্যাগ করতে পারেননি! সব দিলেও সত্যকে কিছুতেই তিনি তাঁর মায়ের কাছে সমর্পণ করতে পারেননি। বলেছিলেন, “সব মাকে দিতে পারলুম, ‘সত্য’ মাকে দিতে পারলুম না”। সত্যের স্বরূপকে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর ঈশ্বরপ্রাণতার আনন্দের মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন। এই উপলব্ধি আজকের দিনে বিশেষ প্রয়োজন। তবেই বিভাজন বিভেদ বৈষম্য থেকে আমাদের মুক্তির পথনির্দেশ পাওয়া সহজ হবে। মানুষের জীবনে মহান সেই উপলব্ধি বোধ জাগ্রত হওয়ার সম্ভাবনার দিকটি উন্মোচিত করে তুলতে শ্রীরামকৃষ্ণ বিষয়ক এ গ্রন্থটি বিশেষ সহায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy