বিভোর: নগর-সঙ্কীর্তনে ভাববিহ্বল শ্রীচৈতন্যদেব। ‘চৈতন্য সিরিজ়’, শিল্পী গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। বই থেকে
জোড়াসাঁকোর দুই ঠাকুরবাড়ি থেকে যে সব উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ভারতের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির জগৎকে আলোকিত ও আলোড়িত করেছিলেন, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁদের অন্যতম। পিতৃব্য রবীন্দ্রনাথ ও অনুজ অবনীন্দ্রনাথ যতটা সুপরিচিত, মেধায় সৃষ্টিশীলতায় ব্যক্তিত্বে কোনও অংশে কম না হয়েও গগনেন্দ্রনাথ কিন্তু কিছুটা অপরিচিত রয়ে গিয়েছেন। স্মৃতিচারণায়, সমসাময়িক লেখায় ব্যক্তি গগনেন্দ্রনাথ সম্পর্কে নানা কথা জানা গেলেও শিল্পী গগনেন্দ্রনাথ সম্পর্কে তার ভগ্নাংশও জানা যায় না।
শিল্পীর শিল্পসম্ভার নিয়ে একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রামাণিক গ্রন্থ রচনা করতে গিয়ে শিবকুমার প্রথমেই তাঁর সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অধিকাংশ ছবিতে তারিখ নেই, কোথায় আঁকা হয়েছিল তা ঠিক করে জানবার উপায় নেই, অনেক ছবির হদিশ পাওয়া যায় না, অনেক ছবি কলকাতার দাঙ্গায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তিনটি ‘সিরিজ়’ ছাড়া অন্য ছবিগুলি কোনও ধরাবাঁধা রীতিতে আঁকা নয় ও একই সময়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকতেন বলে তাঁর শিল্পরীতি বা শিল্পীসত্তার ক্রমবিবর্তনের কোনও বিবরণ দেওয়া কঠিন। অগত্যা শিবকুমারও তাঁর পূর্বসূরিদের অনুসরণে নিজের মতো করে গগনেন্দ্রনাথের শিল্পকৃতিকে কয়েকটি পর্বে ভাগ করেছেন।
প্রথমে ‘দ্য ওয়ার্লড অ্যারাউন্ড’। শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশের ঢের আগে থেকেই গগনেন্দ্রনাথের শিল্পজীবনের সূচনা। ছোটবেলায় বাড়ির রেওয়াজ অনুযায়ী পাশ্চাত্য রীতিতে ছবি আঁকার পাঠ নিয়েছেন। তাঁর কন্যা লিখেছেন, তেলরঙের কিছু ছবিও এঁকেছিলেন এই পর্বে— যদিও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অমৃতসর, লখনউ, পটনা থেকে ছবির ব্যবসায়ীদের আনা পাহাড়ি, মুঘল ও রাজস্থানি ছবির পসরা থেকে বেছে বেছে ছবি সংগ্রহ করেছেন, দক্ষিণের বারান্দায় আগন্তুক দেশি ও নামী জাপানি শিল্পীদের ছবি আঁকার বিশেষ ধরন মন দিয়ে লক্ষ করেছেন, বিদেশি শিল্পের অজস্র বই কিনেছেন, আবার পাশের আরামকেদারায় বসে কনিষ্ঠ ভ্রাতা অবনীন্দ্রনাথের শিল্পী হিসাবে পরিণত হয়ে ওঠা প্রত্যক্ষ করেছেন। মাত্র চোদ্দো বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে অগ্রজের দায়দায়িত্বও ধীরে ধীরে কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাই বলে পারিবারিক রেওয়াজ অনুযায়ী পাশ্চাত্য ও রাগসঙ্গীত, নাট্যাভিনয় বা সাহিত্যের তালিমে ছেদ পড়েনি। দামি ক্যামেরা কিনে ফটো তুলেছেন বিপুল উৎসাহে, এমনকি ডার্করুম তৈরি করে ফিল্ম ডেভেলপ ও প্রিন্ট করার কায়দাও রপ্ত করেছেন। নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে মঞ্চসজ্জা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। দক্ষিণের বারান্দায় দেশি-বিদেশি জ্ঞানীগুণীদের নক্ষত্রসমাগমে সিস্টার নিবেদিতা, আনন্দ কুমারস্বামী, ওকাকুরা, রোদেনস্টাইন, ভিক্টর গোলব্যু, কাউন্ট কাইজ়ারলিং, স্টেলা ক্রামরিশের মতো মানুষকে আতিথ্য দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় ঋদ্ধ হয়েছেন। তবু ইউরোপীয়, দূরপ্রাচ্য ও ভারতের প্রাচীন যুগ থেকে সমসাময়িক শিল্পকলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে পরিচিত হলেও নিজে তুলি ধরতে অনেক সময় নিয়েছেন।
তবে ছবি যে আঁকতেন না তা নয়, খাতা পেন্সিল পাশে রাখা থাকত, যাঁরাই দক্ষিণের বারান্দায় কাজে-অকাজে আসতেন তাঁদের কৌতুককর ভাবসাব দেখে চুপচাপ স্কেচ করে নিতেন। জুরি হয়ে আদালতে উপস্থিত লোকজনের নানা মজাদার অভিব্যক্তি টুক করে এঁকে রাখতেন। আরও অনেকের মতো শিবকুমারেরও মনে হয়েছে যে ১৯০৫-এ জ্যেষ্ঠপুত্র গেহেন্দ্রনাথের অকালমৃত্যুর গভীর শোকাঘাত যখন তাঁকে অন্তর্মুখী করে দেয়, তখন ক্ষেত্রনাথ শ্রীমানির কথকতা ও শিবু কীর্তনিয়ার কীর্তনগান তাঁর চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনে। কালি কলম ও রংতুলির মাধ্যমে তার বহিঃপ্রকাশ থেকে তাঁর শিল্পীজীবনের প্রকৃত সূত্রপাত হয়। ১৯১০ সালে যখন রথীন্দ্রনাথ আমেরিকা থেকে পাঠ নিয়ে জোড়াসাঁকোয় ফিরেছেন তখনও গগনদাদাকে ‘মাঝে মাঝে ছবি আঁকতে’ দেখেছেন, নিয়মিত অনুশীলন করতে দেখেননি। পুরীর সমুদ্রতীরে নিজের ডিজ়াইন করা বাড়ি ‘পাথারপুরী’তে বসবাস করার সময় অনেক ছবি এঁকেছেন। তার অধিকাংশই মন্দিরে যাতায়াতের পথে দেখা পান্ডা, পুণ্যার্থীর সঙ্গে পুরীর মন্দির ও কোণারকের নানা খণ্ডচিত্র। ১৯১১ সালের ঘটনাবহুল দিনগুলির মাঝে এক দিকে তাঁর প্রধান অবলম্বন মায়ের মৃত্যু, অন্য দিকে দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। ওই বছরে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’র কিস্তিগুলি প্রকাশিত হয়। পরে যখন তা বইয়ের আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা হয় তখন কবি গগনকে তার জন্য কিছু ছবি আঁকার ভার দেন। ১৯১২ সালে যখন গগনেন্দ্রনাথের আঁকা ছবি-সহ ‘জীবনস্মৃতি’র প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হল তা বিদ্বজ্জন মহলে সাড়া জাগায়।
পেন্টিংস অব গগনেন্দ্রনাথ টেগোর
আর শিবকুমার
৮০০০.০০
প্রতিক্ষণ
দ্বিতীয় অধ্যায় ‘সিন অ্যান্ড ইমাজিনড ল্যান্ডস্কেপস’ ও তৃতীয় অধ্যায়, ‘পুরী অ্যান্ড নকচার্নাল্স’ সময়, বিষয়বস্তু ও শিল্পরীতির বিচারে প্রথম অধ্যায়ের সঙ্গেই আলোচিত হতে পারে। তৃতীয় অধ্যায়ে রাঁচি, বেনারস, শান্তিনিকেতন, দার্জিলিং ও জোড়াসাঁকোর ছবিও আছে, আর সব দৃশ্যগুলি যে নৈশ দৃশ্য তাও নয়। কিছু ছবির উল্লেখ সমসাময়িক লেখা বা চিঠিতে পাওয়া গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অন্ধকারে হাতড়াতে হয়।
চতুর্থ অধ্যায়, ‘চৈতন্য অ্যান্ড আদার ন্যারেটিভস’-এর মুখ্য বিষয় চৈতন্যজীবনের নানা পর্যায়ের ছবি। ১৯১২-১৩ সালে আঁকা ছবিগুলি তাঁর শিল্পী-জীবনে ধর্মীয় বিষয়ের একমাত্র সিরিজ়। ১৯১৪ সালে প্যারিস ও লন্ডনে ‘দ্য নিউ ক্যালকাটা স্কুল’ প্রদর্শনীতে এই সিরিজ়ের সব ছবি ছিল। ছবিগুলি ওরিয়েন্টাল সোসাইটির প্রদর্শনীতে দেখানো হলে দর্শকমহলে সাড়া পড়ে যায়।
পঞ্চম অধ্যায়ে লেখক গগনেন্দ্রনাথের শিল্পপ্রতিভার এক ভিন্নধর্মী অভিমুখ নিয়ে আলোচনা করেছেন, নাম দিয়েছেন ‘বিজ়ার ট্রুথ’, বিচিত্র সত্য। গগনেন্দ্রনাথের স্বল্প ও মৃদুভাষী, শান্ত ও আপাতগম্ভীর অভিব্যক্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকত একজন অন্য মানুষ, যাঁর সমাজের বৈষম্য, অনাচার নিয়ে অসন্তোষ, বিদেশি শাসকশ্রেণির পদলেহনকারী অভিজাত সমাজের প্রতি ঘৃণা, স্বাধীনতাকামীদের প্রতি সহানুভূতি, আর ছিল গভীর রসবোধ। কিন্তু উচ্চকণ্ঠে রোষ প্রকট করা তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ, তাই আশ্রয় নিয়েছিলেন কার্টুনের। রঙে, রেখায়, তুলির আঁচড়ে কষাঘাতের এই উপায় অবলম্বন করে তিনি রীতিমতো আলোড়ন তুলেছিলেন। ১৯১৭ সালে পর পর দু’টি বড় পোর্টফোলিয়ো প্রকাশ করেন: ‘বিরূপ বজ্র’ ও ‘অদ্ভুতলোক’। তৃতীয় ‘নবহুল্লোড়’ প্রকাশিত হয় ১৯২১-এ। এগুলি কৌতুকচিত্র নয়, কিছু সমসাময়িক ঘটনাবলির উপর তির্যক কষাঘাত, আবার জগদীশচন্দ্র বসু ও প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের যুগান্তকারী আবিষ্কারের উপর কৌতুক-মেশানো মন্তব্য। শিবকুমার তাঁর সংক্ষিপ্ত লেখায় জানিয়েছেন, শিল্পী কত অনায়াসে বিদেশি স্যাটায়ার বা নামী জাপানি ও ইউরোপীয় চিত্রকরদের ভাবধারায় নিজস্ব ভাষায় ও শৈলীতে এগুলি নির্মাণ করেন। একশো বছর পরেও এর প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে যায়নি।
১৯১৫ সাল থেকে প্রায় নিয়মিত গরমের মাসগুলি গগনেন্দ্রনাথ সপরিবার দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কিংবা মুসৌরি ভ্রমণে যেতেন। ষষ্ঠ অধ্যায়ে লেখক এই সময়কার ছবিগুলি নিয়ে লিখেছেন: ‘অ্যান এনগেজ়মেন্ট উইথ দ্য মাউন্টেনস’। কয়েকটি তারিখযুক্ত ছবি দেখে জানা যায়, শেষ বার ১৯২৮ সালে অর্থাৎ আকস্মিক অসুস্থতার জন্য ছবি আঁকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মাত্র দু’বছর আগেও তিনি পাহাড় ভ্রমণে গিয়েছিলেন। এই পর্বের অধিকাংশ ছবির বিষয়বস্তু হল পাহাড়। দিগন্তবিস্তারী হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গের বিশালত্ব, নৈঃশব্দ্য, ব্যাপ্তি আর রোদ, মেঘ, কুয়াশা, রাতের মায়াবী অন্ধকার, সূর্য ওঠার বা পাটে যাওয়ার আগের মুহূর্তগুলির বর্ণালী সমাবেশ তাঁকে বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করেছিল।
সপ্তম অধ্যায় ‘কিউবিস্ট ভিশনস’-এ লেখক শিল্পীর কিউবিজ়ম নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করে আঁকা ছবির আলোচনা করেছেন। আধুনিক শিল্পী হিসাবে গগনেন্দ্রনাথের পরিচিতি মূলত এই পর্বের ছবির জন্য। ১৯২১ সালের কোনও সময় তিনি এই ছবি আঁকা শুরু করেন। ১৯২২-এর এক প্রদর্শনীতে কয়েকটি ছবি দেখানো হয় ও ওই বছরেই ‘রূপম’ পত্রিকায় স্টেলা ক্রামরিশের নিবন্ধ ‘অ্যান ইন্ডিয়ান কিউবিস্ট’ প্রকাশিত হয়। আলো ও রঙের ব্যবহারে ছবির বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলা, ছবির মুখ্য বিষয়বস্তু বা পাত্রপাত্রীর দিকে দর্শকের দৃষ্টিকে কেন্দ্রীভূত করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। কিউবিস্ট শিল্পীদের কাজ দেখে তিনি অনুভব করেছিলেন তাঁর চিন্তাভাবনাকে কী ভাবে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপিত করা যায়। শিবকুমার মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতিকথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, গগনেন্দ্রনাথ এই সময় ক্যালাইডোস্কোপের মতো একটা খেলনা কিনে এনে তাতে চোখ লাগিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কাচের টুকরো থেকে বিচ্ছুরিত রামধনুর মতো নানা রঙের ছটা দেখার পর ছবিতে সেই রকম বর্ণচ্ছটা ফুটিয়ে তুলতেন। স্থাপত্যবিদ্যা, ফটোগ্রাফি ও মঞ্চসজ্জায় তাঁর গভীর জ্ঞান থাকায় রঙের সমাহারে ছবিগুলি নতুন মাত্রা পেত। তবে শিবকুমার যেমন বলেছেন, দেল্যনের মতো পাশ্চাত্য শিল্পীদের কাজের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল, তাঁদের রঙের ব্যবহার তাঁর নিজস্ব ধ্যানধারণার উপর ছায়া ফেলতেই পারে।
বইয়ের শেষ অধ্যায়, ‘টুওয়ার্ডস আ সায়লেন্ট ডার্কনেস’। সারা জীবন সংসারের সব রকম সমস্যা, শোক, দায়দায়িত্ব হাসিমুখে পালন করতেন, মনের গভীরের ব্যথাবেদনার বহিঃপ্রকাশ দেখা যেত না, কখনও কথক ঠাকুরের পাঠ, কীর্তনিয়াদের ভক্তিগান, কখনও পুরীর মন্দির, অন্তহীন সমুদ্র, কখনও হিমালয়ের বিশালতার মধ্যে নিজেকে ভুলিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে এঁকে চলেছেন নানা ধরনের প্রতিকৃতি, নিসর্গদৃশ্য, ব্যঙ্গচিত্র আর ছবি, কখনও কালো-সাদায় আর কখনও বা রঙের মালা গেঁথে। শিল্পীজীবনের শেষ ক’টি বছরে নেমেছিলেন নতুন পরীক্ষায়। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন স্ত্রী প্রমোদকুমারীর অসুস্থতা তাঁকে বেশ অসহায় করে দেয়। কিউবিস্ট পর্বের বেশ কিছু ছবিতে শোক, শূন্যতা কিংবা মৃত্যুর ছায়া সুস্পষ্ট। এই পর্বে আর যাদের দেখা মেলে তারা হল নারী— তাদের হাতে কখনও প্রদীপ, কখনও শিশুদের নিয়ে আহ্লাদিত, কিংবা কথাবার্তায় মগ্ন, কখনও আকাশের তারায় নিমগ্ন দৃষ্টি— নীরবে, নিভৃতে, নিঃশব্দে। এর পরেই আকস্মিক ভাবে তাঁর জীবনে অন্ধকার নেমে আসে, পক্ষাঘাতে বাক রুদ্ধ হয়ে যায়, ছবি আঁকার হাতও অকেজো হয়ে যায়।
গগনেন্দ্রনাথের শিল্পভাণ্ডার থেকে ৩৫৫টি ছবির ডালি সাজিয়ে উপহার দেওয়ার জন্য প্রকাশক ও লেখককে অশেষ ধন্যবাদ। তাঁর ছবির সিংহভাগই রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির তত্ত্বাবধানে পরিরক্ষিত ছিল। ফলে তাঁর শিল্পকীর্তিকে তেমন করে জানবার বা জানাবার সুযোগ ছিল না। প্রকাশক জানিয়েছেন যে অনেক চেষ্টা করেও তাঁরা শিল্পীর সব ছবির ফটোগ্রাফি বা পরীক্ষা করার অনুমতি পাননি। তাই যতগুলি ছবির ফটো তোলা সম্ভব হয়েছিল তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়, দ্বিতীয় বার রং যাচাইয়ের সুযোগও মেলেনি। এখন অবশ্য সোসাইটির সংগ্রহ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে স্থানান্তরিত হয়েছে, তাই আশা রইল লেখক বাকি ছবিগুলি ভাল করে পরীক্ষা ও ছবি তোলবার সুযোগ পাবেন ও যথাকালে তা প্রকাশের ব্যবস্থাও করা যাবে। তার সঙ্গে যে সব সংগ্রহের ছবি এখানে দেওয়া যায়নি, যেমন অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস, বিড়লা, কস্তুরভাই লালভাই, ভারত কলাভবন, মহিশুর রাজার সংগ্রহ, আর বিভিন্ন নিলাম সংস্থায় বিক্রয় হওয়া ও ব্যক্তিসংগ্রহের ছবিগুলিও সংযোজিত হবে। আশা করি লেখক তখন আরও বিস্তারে আলোচনার সুযোগ পাবেন, কারণ শিল্পী গগনেন্দ্রনাথ সম্বন্ধে আমাদের আরও অনেক কথা জানতে বাকি আছে যা শিবকুমারই জানাতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy