প্রতীকী ছবি
এপ্রিলে পাইকারি বাজারের মূল্য সূচক আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বাড়ল ১০.৪৯%। এর আগে কখনও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার এত উপরে ওঠেনি। সোমবার কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খাদ্যপণ্য, অশোধিত তেল এবং তৈরি পণ্যের দাম বৃদ্ধিই এর কারণ। তবে বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি, দেশে যে ভাবে তেলের দাম বাড়ছে, তাতে খাদ্যপণ্য এবং কল-কারখানায় তৈরি পণ্যের দামি হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধির হার আরও চড়তে পারে। যার চাপে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও ফের বিপজ্জনক উচ্চতায় পৌঁছতে পারে বলে সাবধান করেছেন তাঁরা। তবে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে দাবি, গত বছরের এপ্রিলে পাইকারি মূল্যসূচক ছিল (-)১.৫৭%। ফলে নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে তুলনা করার কারণেও এ বার এতখানি বেশি দেখাচ্ছে তার হার।
এপ্রিলে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে ৪.২৯% হয়েছে। তবে এ দিনই স্টেট ব্যাঙ্কের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই হার বিভ্রান্তিমূলক। জিনিসপত্রের দামের ঠিক ছবিটা উঠে আসেনি ওই সংখ্যায়। আসলে পেট্রল-ডিজেল, চিকিৎসা, অনলাইন পণ্য কেনার খরচ বিপুল বেড়েছে। যা এই হার দেখে বোঝা যাচ্ছে না। এগুলোই আগামী দিনে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে উপরে তুলবে। সমীক্ষা বলছে, জ্বালানি, চিকিৎসার মতো অত্যাবশ্যক পণ্যের খরচ এতটাই বাড়ছে যে, অত্যাবশ্যক নয় এমন জিনিসপত্রে খরচ বাঁচাচ্ছেন মানুষ। ফলে এক দিকে সেগুলির চাহিদা মার খাচ্ছে, অন্য দিকে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার কম দেখাচ্ছে। অর্থনীতির পক্ষে যা সুখের নয়। তাঁদের মতে, এতে মূল্যবৃদ্ধি আগামী দিনে চড়ারই আশঙ্কা। আবার চাহিদা সার্বিক ভাবে না-বাড়ায় আর্থিক বৃদ্ধির ছন্দে ফেরার পথেও তৈরি হচ্ছে বাধা।
ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের বক্তব্য, এপ্রিলে খাদ্যপণ্যের পাইকারি মূল্য সূচক ছ’মাসে সর্বাধিক (৪.৯২%)। জোগান-শৃঙ্খলে ধাক্কা লাগাই যার কারণ। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার মে মাসে ১৩-১৩.৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy