প্রতীকী ছবি।
অত্যাবশ্যক, তাই লকডাউনের মধ্যেও চালু রয়েছে ডাক পরিষেবা। ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের দাবি, কাজ হচ্ছে অধিকাংশ ডাকঘরে। এই সময়টায় কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের (সিবিএস) সঙ্গে যুক্ত ডাকঘরগুলিতে বিভিন্ন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে মোট লেনদেনের হিসেবে দেশের ২৩টি সার্কলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সার্কল রয়েছে সার্বিক ভাবে দ্বিতীয় স্থানে। এর মধ্যে দৈনিক লেনদেনের ভিত্তিতে ক’দিন উত্তরপ্রদেশ সার্কলকেও পিছন ফেলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামান-নিকোবরকে নিয়ে গঠিত এই সার্কল। যেখানে গ্রামীণ বাদে অধিকাংশ ডাকঘরই সিবিএস ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত।
ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, ২৪ মার্চ থেকে ৮ মে পর্যন্ত দেশে সিবিএস সুবিধা যুক্ত ডাকঘরে মোট ৩৪,০২১ কোটি টাকা জমা পড়েছে। গ্রাহকেরা তুলছেন ২৬,১৫০ কোটি। এর মধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে সেই অঙ্ক যথাক্রমে ৩৯৬১ এবং ৩৩৪৭ কোটি। উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে ৪৫৪৭ ও ৩৮৮৭ কোটি টাকা। বাদবাকি সার্কল অনেকটা পিছিয়ে। ওয়েস্ট বেঙ্গলের চেয়ে উত্তরপ্রদেশ সার্কল অনেকটা বড়। তাই তুলনায় ওয়েস্ট বেঙ্গলের কৃতিত্ব বেশি বলেই দাবি বিভাগীয় কর্তাদের।
ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের কার্যনির্বাহী চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যে দৈনিক লেনদেনের মোট অঙ্কের বিচারে বেশ ক’দিন এই সার্কল দেশে শীর্ষে ছিল। যেমন, ৩১ মার্চ, ১৭ এপ্রিল ও ১ মে, এখানে মোট লেনদেনের অঙ্ক ছিল যথাক্রমে ৪২৩, ২৫৮ ও ২৬০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে ছিল মহারাষ্ট্র (৩১ মার্চ ৩৬৭ কোটি) ও উত্তরপ্রদেশ (১৭ এপ্রিল ২০২ কোটি, ১ মে ২৪৫ কোটি)।
নীরজ বলেন, লকডাউনের আগে ২০ মার্চ সিবিএস ব্যবস্থা যুক্ত ডাকঘরে প্রায় ৩৫৫ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। গ্রাহকেরা তুলেছিলেন ৩২৫ কোটির বেশি। ৮ মে সেই দুই অঙ্ক ছিল যথাক্রমে ২২০ ও ২০৫ কোটির বেশি।
ডাক কর্মীদের পাশাপাশি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্টরাও এই পুরো সময়টায় লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুমার। তিনি বলেন, ৪৭টি প্রধান ডাকঘরের পাশাপাশি ৬০ শতাংশেরও বেশি সাব-পোস্ট অফিস ও ৯০ শতাংশের বেশি গ্রামীণ ডাকঘর এখন খোলা। পরিবহণ সমস্যার জন্য বাকিগুলি বন্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy