—ফাইল চিত্র।
রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা আর ভোট-বছরের খরচ সামাল দিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে কেন্দ্র ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা দাবি করেছে বলে খবর মিলেছিল বিভিন্ন সূত্রে। এ নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধছেনও বিরোধীরা। এই চাপের মুখে আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গের দাবি, শীর্ষ ব্যাঙ্ককে আদৌ ১ বা ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে দেওয়ার কথা বলেনি দিল্লি। ওই টাকা না-এলেও বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে।
টাকা চাওয়ার খবর খারিজ করলেও গর্গ অবশ্য মানছেন, অর্থনীতির বিপদের কথা ভেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে যে টাকা সঞ্চিত থাকে, তার মধ্যে কতটা সরকারি কোষাগারে পাঠানো উচিত, সেই নিয়মে বদল চাইছেন তাঁরা। যা শুনে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, তা হলে তো সেই শীর্ষ ব্যাঙ্কের টাকায় ভাগ বসানোর কথাই বলা হল।
আগের দিন রাহুল গাঁধীর টুইটের পরে শুক্রবার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কটাক্ষ, ভোটের বছরে খরচ বাড়িয়েও ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে গিয়ে এখন শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে এক লক্ষ কোটি টাকা দাবি করছে মোদী সরকার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে ৯.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা রয়েছে। সূত্রের খবর ছিল, তার মধ্যে ৩.৬ লক্ষ কোটি দাবি করছে অর্থ মন্ত্রক। বিলগ্নিকরণ ধাক্কা খেয়েছে। নোটবন্দির ধাক্কা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্থনীতি। অথচ ভোটের বছরে আমজনতার মন পেতে ঢালাও সরকারি ব্যয় প্রয়োজন হতে পারে। শোনা গিয়েছিল, তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে টাকা নিয়ে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে মরিয়া অর্থ মন্ত্রক।
তহবিল ভাগের নিয়ম বদল নিয়েও মন্ত্রকের যুক্তি, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্কের বোর্ডের যে বৈঠকে নিয়ম ঠিক হয়েছিল, তাতে কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না। উল্টো দিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যুক্তি, ভাণ্ডারের টাকা অর্থনীতির বিপদের কথা ভেবে তা রাখা জরুরি। এই পরিস্থিতিতেই টাকা না চাওয়ার দাবি করলেন গর্গ। তবে নিয়ম বদলে আগ্রহের কথা উড়িয়ে দিলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy