ছবি রয়টার্স।
ভারতে ব্যবসা করার পথ সহজতর হচ্ছে বলে কেন্দ্র তার সাফল্য তুলে ধরতে মরিয়া। সৌজন্যে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসা করার মাপকাঠিতে ৬৩ নম্বরে উঠে আসা। আর ঠিক সেই সময় টেলিকম শিল্পে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা ভোডাফোনের বার্তা কার্যত সেই সাফল্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল। টেলিকম বহুজাতিকটির চিফ এগ্জ়িকিউটিভ নিক রিড কার্যত ভারতে তাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলে ইঙ্গিত দিলেন। আর তার জন্য দায়ী করলেন চড়া করের প্রেক্ষিতে সরকারের অসহযোগিতা ও বকেয়া লাইসেন্স ফি দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়কে।
এ দেশে গোড়ায় একাই ব্যবসা করলেও, ২০১৮ সালে আইডিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে ব্রিটিশ বহুজাতিক ভোডাফোনের ভারতীয় শাখা ভোডাফোন-ইন্ডিয়া। আগেও যাদের কর সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধ বেঁধেছিল। রিড বলেছেন, ভারতে দীর্ঘ দিন ধরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে তাঁদের ব্যবসা। তাঁর কথায়, ‘‘নিয়মে অসহযোগিতা, চড়া কর এবং সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। ফলে বিপুল আর্থিক বোঝা চাপছে।’’
ভোডাফোন কর্তার এটাও দাবি, ভারতে শেয়ার মূলধন ঢালার ক্ষেত্রে তাঁর সংস্থার কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এমনকি সংস্থাটির শেয়ারের দামে ভারতের ব্যবসার অবদান কার্যত শূন্য বলেও জানান তিনি। তবে একই সঙ্গে বলেন, ‘‘ভারত সরকার তাঁদের জানিয়েছে, এ দেশে কোনও একটি সংস্থার একচেটিয়া কারবার গড়ে উঠুক তা চায় না তারা।’’
চড়া করের পাশাপাশি সংস্থার আয়ের কোন হিসেবে লাইসেন্স ফি বা স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ কত হবে, তা নিয়ে পুরনো সংস্থাগুলির সঙ্গে বিরোধ বেঁধেছিল টেলিকম দফতরের। সম্প্রতি শীর্ষ আদালত ডটের পক্ষেই রায় দেওয়ায় বিপুল বকেয়া মেটাতে হবে সংস্থাগুলিকে। এই সব মিলিয়েই ক্ষুব্ধ ব্রিটেনের সংস্থাটি।
ভোডাফোন অবশ্য কেন্দ্রের কাছে আর্থিক ত্রাণের আর্জিও জানিয়েছে। তা খারিজ হলে এ দেশে সংস্থার ব্যবসা করার সম্ভাবনা কতটা? উত্তরে নিক বলেন, ‘‘বলা যায় যে এটা খুবই কঠিন সময়।’’ তবে দেশের বাজারে এখনও ভোডাফোনের অংশীদারি ৩০%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy