কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
সাধারণ লগ্নিকারীদের মধ্যে যে ভাবে শেয়ার বাজারের ফিউচার অ্যান্ড অপশনে (এফঅ্যান্ডও) আগাম লেনদেনের প্রবণতা বাড়ছে, তা নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ জানিয়েছেন, এই ধরনের বিনিয়োগে ৯০% লগ্নিকারীই লোকসানের মুখে পড়ছেন। এ বার একই কথা শোনা গেল কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের গলায়।
নির্মলা জানান, কার্যত নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে এফঅ্যান্ডও-র বাজারে সাধারণ লগ্নিকারীদের পুঁজি ঢুকছে। এতে যে শুধু পারিবারিক সঞ্চয় ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে এমন নয়, বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মূলধনী বাজারেও। আজ বণিকসভা সিআইআইয়ের এক কর্মসূচিতে নাগেশ্বরন বলেন, এফঅ্যান্ডও-তে যাতে এক লপ্তে বেশি পুঁজি ঢালতে না হয়, তার জন্য ছোট লট চালু করার কথা ভাবা যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এফঅ্যান্ডও-তে লগ্নি তুলনামূলক ভাবে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে একগুচ্ছ শেয়ারে (লট) একসঙ্গে লগ্নি করতে হয়। এক একটি লটের দাম ৫-১০ লক্ষ টাকা। এর একটি নির্দিষ্ট অংশ আবার আগাম জমা করতে হয়। ফলে লোকসানের ঝুঁকিও বেশি। নাগেশ্বরন বলেন, ‘‘যথেষ্ট জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও লগ্নিকারীরা এফঅ্যান্ডও-তে বিনিয়োগ করে হাত পোড়াচ্ছেন। সাধারণ শেয়ারের সঙ্গে এর প্রভেদ রয়েছে। সে কারণে সাধারণ লগ্নিকারীদের কথা মাথায় রেখে ছোট লটের এফঅ্যান্ডও চালু করা উচিত।’’ সরকারি পরিসংখ্যান, ২০২২-২৩ সালে দেশে পারিবারিক সঞ্চয়ের পরিমাণ তিন বছর আগের তুলনায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা কমে ১৪.১৬ লক্ষ কোটিতে নেমেছে। কেন্দ্র অবশ্য অতীতে এ ব্যাপারে সমস্যার কথা স্বীকার করেনি। বরং মূলধনী বাজারে লগ্নিকে ইতিবাচক হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy