—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি পরিসংখ্যান হোক বা বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থার তথ্য, দেশে কাজের ছবি নিয়ে গত কয়েক মাসে বার বার বিদ্ধ হয়েছে মোদী সরকার। কর্মসংস্থানে অনিশ্চয়তা ভবিষ্যতে দেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছে উপদেষ্টা সংস্থা। এই অবস্থায় শহরে কাজের ছবিতে খুব সামান্য হলেও স্বস্তি পেল কেন্দ্র। শনিবার পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানাল, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে শহরে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৯.৩%। যা তার আগের তিনটি ত্রৈমাসিকের থেকে কম। তবে এই পরিসংখ্যানে নেই ২০১৮ সালের জানুয়ারি-মার্চের হিসেব। ফুটে ওঠেনি গ্রামে কাজের ছবিও।
কর্মসংস্থান নিয়েই ২০১৭-১৮ সালের জন্য এনএসএসও-র সমীক্ষা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সেই রিপোর্টে বলা হয় ২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১%। যা ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। কেন্দ্র এই তথ্য চেপে রাখার চেষ্টা করলেও, তা ফাঁস হয়ে যায়। পরে সেই রিপোর্ট মানলেও কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, তা আগের বছরের সঙ্গে তুলনীয় নয়।
আজ নিজেদের ত্রৈমাসিক বুলেটিনে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও), তাতে বলা হয়েছে ২০১৮ সালের এপ্রিল-জুনের (তখন বেকারত্ব ছিল ৯.৮%) তুলনায় এ বছর জানুয়ারি-মার্চে শহরে কাজের উন্নতি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর-ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার ছিল যথাক্রমে ৯.৭% ও ৯.৯%। পরিসংখ্যানের জন্য সমীক্ষার সময়ে কোনও সপ্তাহে ১ ঘণ্টা কাজের জন্য প্রস্তুত থেকেও কাজ না-পেলে, সেই কর্মীকে বেকার হিসেবে ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের যদিও বক্তব্য, এ ভাবে বেকারত্বের হিসেব কষা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
অনেকের আবার মত, গ্রামের বেকারত্বের হার প্রকাশ করা হয়নি এনএসও-র ওই বুলেটিনে। যেখানে মানুষের আয় কমা ও কাজ হারানোর কথা বার বার উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। যার জেরে বাজারে বিস্কুট, শ্যাম্পুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের চাহিদায় টান পড়ছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। ফলে শহরের সঙ্গেই গ্রামের কাজের ছবিটাও জানা গেলে, তখন বোঝা যাবে দেশে সামগ্রিক ভাবে কর্মসংস্থানের ছবিটা ঠিক কী রকম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy