প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমের শুরু থেকে কাজের বাজারে উন্নতির আশা করেছিলেন দেশবাসী। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান বলছে, সেই প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূরণ করে সেপ্টেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার কমেছে। বেড়েছে কাজ। তবে এখনও উদ্বেগে রেখেছে শহরের পরিস্থিতি। সিএমআইই-র রিপোর্ট বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাচ্ছে, গত মাসে শহরে কাজের বাজারে পা রাখা মানুষের হার গিয়েছে কমে। বেকারত্বের হার কমার সেটাও কারণ। বরং বেশি স্বস্তি দিচ্ছে গ্রামাঞ্চল। সেখানে নতুন কাজ তৈরির পাশাপাশি, কাজের বাজারে যোগ দেওয়া মানুষের হারও বেড়েছে।
সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশে বেকারত্ব অগস্টের ৮.২৮% থেকে সেপ্টেম্বরে নেমেছে ৬.৪৩ শতাংশে। যা ২০১৮ সালের অগস্টের পর সবচেয়ে কম। শহর এবং গ্রামে তা যথাক্রমে ৯.৭৫% থেকে ৭.৭০% এবং ৭.৬৮% থেকে ৫.৮৪% হয়েছে।
তবে উদ্বেগের মেঘ পিছু ছাড়ছে না। ১৫ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে যাঁরা কাজ খুঁজতে চেষ্টা করেও পাচ্ছেন না, তাঁদেরই কর্মহীন ধরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাজারে কাজ না থাকায় হতোদ্যম হয়ে বহু মানুষ কাজই খোঁজা বন্ধ করে দিয়েছেন। অতিমারিকালে এই প্রবণতার জন্যও কখনও কখনও বেকারত্বের হার কমতে দেখা গিয়েছে। এ দফায় শহরে সেটাই ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সিএমআইই কর্তা মহেশ ব্যাসের দাবি, গত মাসে শহরে বেকারত্বের হার ১.৮৭ শতাংশ বিন্দু কমেছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নাগরিক সংখ্যা এবং কাজের খোঁজে বাজারে পা রাখা মানুষের অনুপাতও (লেবার পার্টিসিপেশন রেট) কমেছে। ০.৩১ শতাংশ বিন্দু কমে ৩৬.৯৯% থেকে তা নেমেছে ৩৬.৬৮ শতাংশে। সেটাও বেকারত্ব কমাতে সাহায্য করেছে। তবে কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে নতুন কাজ।
অন্য দিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত গ্রামীণ কর্মিবাহিনীর উপরে নির্ভর করে সারা দেশে কাজের বাজারে পা রাখা মানুষের হার ৩৯.২৪% থেকে পৌঁছেছে ৩৯.৩২ শতাংশে। শুধু গ্রামে তা ৪০.৩৯% থেকে বেড়ে ৪০.৬৮% হয়েছে। এর আগে গত জুনে গ্রামাঞ্চলে তা ৪০ শতাংশের নীচে নেমেছিল। তার পরে প্রত্যেক মাসে উন্নতি করে ফের সেপ্টেম্বরে ওই হার ৪০% পার করেছে। গ্রামাঞ্চলেও নতুন কাজও তৈরি হয়েছে ৭৮.৬ লক্ষ। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আলোচ্য সময়ের মধ্যে গ্রামে কৃষির তুলনায় কর্মসংস্থান বেশি তৈরি হয়েছে নির্মাণ, উৎপাদন এবং খনন ক্ষেত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy