গ্রাহকদের আশঙ্কা, টিভি দেখার খরচ বাড়বে। ট্রাইয়ের দাবি, খরচ কমবে বই বাড়বে না। প্রতীকী ছবি।
বছর চারেক আগে কেব্ল-ডিটিএইচ পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতে নতুন মাসুল নীতি এনেছিল নিয়ন্ত্রক ট্রাই। ২০২০-তে তা সংশোধন করা হলে চ্যানেলের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তুলে আদালতে যায় বিভিন্ন চ্যানেল সংস্থা। এ বার সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ফ্রেব্রুয়ারি থেকে নতুন মাসুল নীতি কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছে ট্রাই। তবে প্রস্তাবিত নীতি নিয়ে ফের শুরু হয়েছে তরজা। গ্রাহকদের আশঙ্কা, টিভি দেখার খরচ বাড়বে। ট্রাইয়ের দাবি, খরচ কমবে বই বাড়বে না।
সম্প্রতি ট্রাই জানিয়েছে, চ্যানেলের দাম বাজারই ঠিক করবে। তবে যেগুলি ১৯ টাকার বা তার কম, সেগুলিই শুধু ‘বোকে’-তে (প্যাকেজ) থাকবে। তাতে যে ক’টি পে-চ্যানেল থাকবে, তার মোট দামে ৪৫% পর্যন্ত ছাড় দিতে পারবে চ্যানেল সংস্থা। এখন দামের ঊর্ধ্বসীমা ১২ টাকা। ছাড়ের সুযোগ সর্বোচ্চ ৩৩%। নয়া নিয়মে চ্যানেলের দাম ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রাইকে জানাবে সংস্থা। তার ভিত্তিতে ট্রাই বিভিন্ন প্যাকেজের দাম ১ জানুয়ারির মধ্যে জানাবে মাল্টি সার্ভিস অপারেটর (এমএসও), ডিটিএইচ সংস্থা এবং স্থানীয় কেব্ল অপারেটরদের। ফেব্রুয়ারিতে তা চালু হবে গ্রাহকদের জন্য।
গ্রাহকদের খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা উড়িয়ে ট্রাই কর্তার দাবি, এখন প্রায় ৩৩টি চ্যানেলের দাম গড়ে ২২-৩০ টাকা। পছন্দের অনেক চ্যানেল দেখতে আলাদা করে (আলা-কার্টা) দাম দিতে হয়। উপরন্তু প্যাকেজেও সব সময় শুধু ১২ টাকা বা তার কম দামের চ্যানেল রাখা যায় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বাড়তি টাকাগুনতে হয়।
ট্রাই বরং বলছে, নতুন নীতিতে গ্রাহক টানার তাগিদে ১৯ টাকার বেশি দামের পে-চ্যানেল সস্তা হবে। কারণ, গ্রাহকদের গড়ে প্রায় ৬৫-৭০% বোকে বা প্যাকেজ নেন। ২০-২২% আলা-কার্টা। বাকি প্রায় ১০% দামি চ্যানেল দেখেন না। অন্য দিকে, গ্রাহকদের দেওয়া মাসুলের চেয়ে চ্যানেল সংস্থাগুলির বিজ্ঞাপন বাবদ (যা পে চ্যানেলে বেশি থাকে) আয় তিন-চারগুণ বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy