রাজ্য বাজেটকে একযোগে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল। তাদের মতে, বাজেট এক দিকে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে। অন্য দিকে পথ করে দিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির এগোনোর। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা, মানুষের আয় বৃদ্ধি ও কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতির মতো বিষয়ের দিকে তাকানো হয়েছে বলেও দাবি তাদের।
বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বারের ডিজি রাজীব সিংহ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে সাহায়ক হবে। চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই খাতে প্রাপ্যের অঙ্ক বাড়ানোটা জরুরি ছিল।’’ ভারত চেম্বারের সভাপতি এন জি খেতানের বক্তব্য, শিল্প ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিক জোগানোর প্রকল্প ও কর্মসংস্থান বাড়াতে রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি স্টেট লেভেল ইনভেস্ট সিনার্জি কমিটির মাধ্যমে রাজ্যে লগ্নি এবং শিল্প স্থাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুমোদন দ্রুত সারার উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের প্রসারে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে আর্থিক সহায়তা বজায় রাখার ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ সার্বিক ভাবে গতি আনবে শিল্পায়নে। ধর্মীয় স্থানগুলির উন্নয়নে রাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রসদ জোগাবে বলে মন্তব্য করেন খৈতান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ কেউ অবশ্য এ দিনের বাজেটে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পে বরাদ্দ কিছুটা কমায় অসন্তুষ্ট। তবে পরিকাঠামো উন্নয়নের বার্তা ভোটমুখী হলেও, রাজ্যবাসীর জন্য ইতিবাচক বলেই মেনে নিচ্ছেন তাঁরা। দাবি করছেন, সত্যিই এর হাত ধরে কর্মসংস্থানের পথ খুলবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)