—ফাইল চিত্র।
জাপানি বহুজাতিক টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের ভাইস চেয়ারম্যান শেখর বিশ্বনাথন অভিযোগ করেছিলেন, ভারতে গাড়িতে চড়া কর বসে। তাই এখানে ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত থাকছে। এই মন্তব্যে কার্যত ঝড় ওঠে দেশে। ভারত বিদেশি লগ্নির আকর্ষণীয় গন্তব্য বলে হামেশাই বড়াই করা মোদী সরকার কটাক্ষের মুখে পড়ে। দুপুরের পরে বিবৃতিতে সুর নরম করে সংস্থা। তার পরে আচমকাই আসে খোদ ভারী শিল্পমন্ত্রী প্রকাশ জা়ভড়েকরের টুইট, ‘‘খবরটা ঠিক নয়। টয়োটা বরং ১২ মাসে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে।’’ মন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থনও করেন আর এক ভাইস চেয়ারম্যান বিক্রম কির্লোস্কর! সব মিলিয়ে মঙ্গলবার জমজমাট এক নাটকের সাক্ষী থাকে সারা দেশ এবং গাড়ি শিল্প। উড়ে এসেছে প্রশ্নও, ‘অস্বস্তি’ ঢাকতেই এত কিছু নাকি!
সহজে ব্যবসার পরিবেশ তৈরির দাবি করে ও চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে বারবার বিদেশি লগ্নির ডাক দেয় কেন্দ্র। কিন্তু সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুলেই বিশ্বনাথন মঙ্গলবার এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘গাড়ি সংস্থা কি ড্রাগ বা মদ তৈরি করে? আমরা ব্রাত্য, এখানে লগ্নির পরে এই বার্তাই পেয়েছি। তাই লগ্নি না-গোটালেও, সম্প্রসারণ করব না।’’ তাঁর বক্তব্য, করের জন্যই অনেকে গাড়ি কিনতে পারেন না। কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা পুরো কাজে লাগে না। কর্মসংস্থান হয় না। ‘শাস্তিমূলক’ কর বিদেশি লগ্নিকে দমিয়ে দেয়। আর পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির সামান্য ইঙ্গিতও মিললে, করের পর কর চাপানো হয়।
পরে অবশ্য কেন্দ্রের প্রশংসা করে সংস্থা জানায়, তারা ভারতের বাজার সম্পর্কে দায়বদ্ধ। বিক্রম বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশ, প্রযুক্তি ইত্যাদিতে ২০০০ কোটিরও বেশি লগ্নি করবেন তাঁরা। এটা বিতর্ক চাপা দেওয়ার চেষ্টা বলে সন্দেহ প্রকাশ করলেও, চড়া করের কথা বলেছে শিল্পের একাংশও। যে কারণে চাহিদা বাড়াতে বারবার তা কমানোর আর্জি জানাচ্ছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy