প্রতীকী ছবি।
এক বছর আগে আজকের দিনেই কোভিড-১৯ সংক্রমণকে অতিমারি ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার পর থেকে ভারত-সহ গোটা বিশ্বে ছত্রখান অর্থনীতি, কাজ-কারবার, রুজি-রোজগারের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে এগিয়েছে মানুষ। এ বার যখন ফের ব্যবসাপত্তর, দোকান-বাজার খুলে যাওয়ায় দ্রুত ছন্দে ফেরার আশা দানা বাঁধছে, ঠিক তখনই মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ় ইনভেস্টর্স সার্ভিসের সতর্কবার্তা, অতটাও মসৃণ নয় ঘুরে দাঁড়ানোর পথ। বরং এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় শ্লথ গতিতে এবং অনিশ্চয়তাকে সঙ্গে করেই এগোতে হবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে। এমনকি নতুন রূপে (স্ট্রেন) ফের ভাইরাস হামলার ঝুঁকিও থাকছে। যা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে যাবতীয় প্রত্যাশার মুখে। ফলে করোনাকে বাদ দিয়ে এগোনোর বদলে সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে শেখাই ভাল।
প্রতিষেধক প্রয়োগ শুরু হওয়ায় কিছুটা নিশ্চিন্ত বোধ করছেন মানুষ। যদিও এ দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার উদ্বেগ মাথাচাড়া দিয়েছে ফের কিছু জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায়। চিন্তা বহাল করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়েও। তবে সরকারের দাবি, ছন্দে ফিরছে অর্থনীতি। আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি এল বলে। এ দিন মুডি’জ়ের বার্তা, বেশিরভাগ অর্থনীতিতেই কর্মকাণ্ড ২০২২ সালের আগে করোনা-পূর্ব অবস্থায় ফিরবে না। বরং আপাতত হোঁচট খেতে খেতে এগোনোই ভবিতব্য। সংস্থাটির দাবি, যে সব ক্ষেত্রে সংক্রমণের ভয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করা যাচ্ছে না, সেগুলির কারণে ঝুঁকি রয়েই যাচ্ছে।
ঘুরে দাঁড়াতে কোনও দেশেই করোনা মোকাবিলায় চালু সুরাহাগুলি সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তড়িঘড়ি ফিরিয়ে নিলে চলবে না, বলেছিল আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাঙ্ক। মুডি’জ়ের হুঁশিয়ারি, করোনার দাপট ফিকে হয়ে এলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাহায্যের হাত এখনকার মতোই এগিয়ে রাখতে হবে নীতিপ্রণেতাদের। এমনকি কোনও কোনও দেশে তা চালাতে হবে বছরের পর বছর ধরে। তবে তাদের দাবি, এই সমস্তই বলা হচ্ছে চলতি বছরে সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমবে ধরে নিয়ে। সেটা হলে, সর্বত্র চলাফেরা, কাজকর্মে বিধিনিষেধ কমতে থাকবে। কিন্তু ভাইরাসের নতুন মিউটেশনজনিত ঝুঁকি থাকছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy