Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Sensex

বাজারে ধস, ছ’দিনে মুছল ১১.৩১ লক্ষ কোটি

বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, অর্থনীতির কোনও উন্নতি না-হওয়া সত্ত্বেও যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল বাজার, তাতে এই সংশোধন হওয়ারই ছিল। শুধু প্রয়োজন ছিল অজুহাতের। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজ়ের চেয়ারম্যান কমল পারেখেরও দাবি, এটা সংশোধন।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৩৭
Share: Save:

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার করোনা সংক্রমণ। যে সব জায়গায় পুরোদস্তুর ব্যবসা-বাণিজ্য, কেনাবেচা, বেড়ানো, হই-হুল্লোড় ফিরেছিল, করোনাকে রুখতে সেখানে ফের লকডাউন করে সব বন্ধ রাখার আশঙ্কা মাথা তুলছে দ্রুত। যার হাত ধরে অর্থনীতির আরও তলিয়ে যাওয়ার ভয় গোটা বিশ্বের প্রায় সমস্ত শেয়ার বাজারকে ধরাশায়ী করল বৃহস্পতিবার। বাড়তে থাকা সংক্রমণের মধ্যেই চাহিদা ও ব্যবসা ফেরার আশায় চাতক পাখির মতো দিন গোনা ভারতও বাদ গেল না। বৃহস্পতিবার সেনসেক্স প্রায় ১১১৫ পয়েন্ট পড়ে সটান নেমে এল ৩৬ হাজারের ঘরে। নিফ্‌টিও প্রায় ৩২৬ খুইয়ে দাঁড়াল ১০,৮০৫.৫৫ অঙ্কে।

বাজারে চোট


• বৃহস্পতিবার সেনসেক্স পড়েছে ১১১৪.৮২ পয়েন্ট বা ২.৯৬%। দাঁড়াল ৩৬,৫৫৩.৬০ অঙ্কে।


• টানা ছ’দিনে ওই সূচক নামল প্রায় ২৭৪৯।


• নিফ্‌টি ছ’দিনে ৭৯৯ পড়েছে। শুধু বৃহস্পতিবারের পতনই প্রায় ৩২৬.৩০ পয়েন্ট বা ২.৯৩%। থেমেছে ১০,৮০৫.৫৫-এ এসে।


• এই ছ’দিনে বিএসই-তে মুছে গিয়েছে লগ্নিকারীর মোট ১১.৩১ লক্ষ কোটি

কারণ


• দেশে-বিদেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় করোনা-সঙ্কট কাটিয়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াতে আরও অনেক বেশি সময় লাগার আশঙ্কা।


• সংক্রমণ রুখতে সরকার ফের লকডাউন ঘোষণা করতে পারে বলে জল্পনা।


• ভয়, ফের লকডাউন ক্ষত আরও গভীর করবে।


• বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির তরফে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার মতো দাওয়াইয়ের অভাবে প্রায় সমস্ত দেশের শেয়ার বাজারে বিপুল পতন।

বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, অর্থনীতির কোনও উন্নতি না-হওয়া সত্ত্বেও যে উচ্চতায় পৌঁছেছিল বাজার, তাতে এই সংশোধন হওয়ারই ছিল। শুধু প্রয়োজন ছিল অজুহাতের। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজ়ের চেয়ারম্যান কমল পারেখেরও দাবি, এটা সংশোধন। সূচকের নীচে নামার দরকার ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘২৩ মার্চ নিফ্‌টি ছিল ৭৮০০ পয়েন্টের কাছে। মাস ছয়েকে প্রায় ৪৫% বেড়ে তা সাড়ে ১১ হাজার পেরিয়েছে কোনও সংশোধন ছাড়াই। অথচ অর্থনীতির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। বাজারকে স্থিতিশীল হতে আরও অন্তত ১৫০০-২০০০ পয়েন্ট পড়তে হবে।দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র বক্তব্য, ‘‘সারা বিশ্বে হুড়মুড়িয়ে পড়ছে সূচক। ভারতেও ধাক্কা লেগেছে। দেশি-বিদেশি লগ্নিকারী নাগাড়ে শেয়ার বেচছে। জুলাই থেকে ভারতে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঢেলেছিল বিদেশি লগ্নিকারীরা। গত দিন চারেকে তারা তুলে নিয়েছে প্রায় ৫০০০ কোটি। এ বছর বাজার চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা কম।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Share Bazaar Sensex Nifty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE